ফ্রান্সে ২০২০ সালে স্যামুয়েল প্যাটি নামে ইতিহাসের এক শিক্ষককে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার ছয় কিশোরকে দোষীসাব্যস্ত করেছে দেশটির একটি আদালত।
৪৭ বছরের স্যামুয়েল প্যাটি হত্যাকাণ্ড পুরো ফ্রান্সকে হতবিহ্বল করে দিয়েছিল। ওই মাসের শুরুর দিকে প্যাটি তার শ্রেণীকক্ষে ইসলাম ধর্মের মহানবী মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র দেখিয়েছিলেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল।
বলা হয়েছিল, ইতিহাসের শিক্ষক প্যাটি ক্লাসে বাকস্বাধীনতা বিষয়ে পাঠদানের সময় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন দেখান।
যার জেরে চেচেন বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর ছুরি হাতে ওই শিক্ষককে আক্রমণ করে এবং তাকে গলা কেটে হত্যা করে। চেচনিয়া মুসলমান অধ্যুষিত দেশ।
মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন দেখানো নিয়ে তখন মুসলিম বিশ্বও ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল এবং ফ্রান্সের তীব্র সমালোচনা করে ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিল।
প্যাটি হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ নয়জনকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। যাদের বিচার চলছে তাদের মধ্যে একজন কিশোরীও রয়েছে। অভিযোগ আছে, ওই কিশোরী স্কুল থেকে ফিরে তার বাবা-মা কে বলেছিল, শিক্ষক প্যাটি নবী মোহাম্মদের কার্টুন দেখানোর আগে মুসলমান শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষ থেকে বের করে দিয়েছিলেন।
কিন্তু আদালতে পরে প্রমাণিত হয় যে, ওই কিশোরীর ঘটনার সময় শ্রেণীকক্ষে উপস্থিতই ছিল না। মিথ্যা অভিযোগ এবং কুৎসা রটনার জন্য আদালত তাকে দোষীসাব্যস্ত করেছে।
বাকি কিশোর-কিশোরীদের পূর্ব পরিকল্পিত অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়ার এবং একটি হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠে নিজের স্কুলের বাইরেই খুন হন প্যাটি। খুনি চেচেন বংশোদ্ভূত ১৮ বছরের এক তরুণ। পরে পুলিশ গুলি করে হামলাকারীকে হত্যা করে।
প্যাটির বোন মিশেলের আইনজীবী লুই ক্যালিজ সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা আদালতে ‘সম্পূর্ণরূপে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তার মক্কেল সন্তুষ্ট’। তবে যে সাজা দেওয়া হয়েছে তাতে তিনি ‘খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারেননি’। তার মনে হয়েছে ‘সাজা কম হয়েছে’।
অভিযুক্ত কিশোরদের একজনের আইনজীবী ডিলান স্লামা বলেন, যদিও এই ধরনের দুঃখজনক পরিস্থিতিতে সন্তুষ্টির কথা বলা কঠিন। তবে তার মক্কেলের জন্য এটা স্বস্তির অনুভূতি ছিল।
কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যাকে সবচেয়ে কঠোর সাজা দেওয়া হয়েছে তিনি ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন। তবে তিনি চাইলে এই সময়টা যন্ত্রের সাহায্যে নজরদারির মধ্যে বাড়িতেও থাকতে পারবেন।
মিথ্যা অভিযোগ ও কুৎসা রটনা করায় দোষী সাব্যস্ত কিশোরীকে ১৮ মাসের স্থগিত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে দুই বছর প্রবেশনে থাকতে হবে।
ছয় কিশোর-কিশোরীর সবাইকে স্থগিত দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের দুই থেকে তিন বছর কঠোর প্রবেশনের মধ্যে থাকতে হবে।
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
ফ্রান্সে ২০২০ সালে স্যামুয়েল প্যাটি নামে ইতিহাসের এক শিক্ষককে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার ছয় কিশোরকে দোষীসাব্যস্ত করেছে দেশটির একটি আদালত।
৪৭ বছরের স্যামুয়েল প্যাটি হত্যাকাণ্ড পুরো ফ্রান্সকে হতবিহ্বল করে দিয়েছিল। ওই মাসের শুরুর দিকে প্যাটি তার শ্রেণীকক্ষে ইসলাম ধর্মের মহানবী মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র দেখিয়েছিলেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল।
বলা হয়েছিল, ইতিহাসের শিক্ষক প্যাটি ক্লাসে বাকস্বাধীনতা বিষয়ে পাঠদানের সময় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন দেখান।
যার জেরে চেচেন বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তি ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর ছুরি হাতে ওই শিক্ষককে আক্রমণ করে এবং তাকে গলা কেটে হত্যা করে। চেচনিয়া মুসলমান অধ্যুষিত দেশ।
মুহাম্মদ (সা.) এর কার্টুন দেখানো নিয়ে তখন মুসলিম বিশ্বও ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল এবং ফ্রান্সের তীব্র সমালোচনা করে ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিল।
প্যাটি হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ নয়জনকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। যাদের বিচার চলছে তাদের মধ্যে একজন কিশোরীও রয়েছে। অভিযোগ আছে, ওই কিশোরী স্কুল থেকে ফিরে তার বাবা-মা কে বলেছিল, শিক্ষক প্যাটি নবী মোহাম্মদের কার্টুন দেখানোর আগে মুসলমান শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষ থেকে বের করে দিয়েছিলেন।
কিন্তু আদালতে পরে প্রমাণিত হয় যে, ওই কিশোরীর ঘটনার সময় শ্রেণীকক্ষে উপস্থিতই ছিল না। মিথ্যা অভিযোগ এবং কুৎসা রটনার জন্য আদালত তাকে দোষীসাব্যস্ত করেছে।
বাকি কিশোর-কিশোরীদের পূর্ব পরিকল্পিত অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে অংশ নেওয়ার এবং একটি হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকণ্ঠে নিজের স্কুলের বাইরেই খুন হন প্যাটি। খুনি চেচেন বংশোদ্ভূত ১৮ বছরের এক তরুণ। পরে পুলিশ গুলি করে হামলাকারীকে হত্যা করে।
প্যাটির বোন মিশেলের আইনজীবী লুই ক্যালিজ সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা আদালতে ‘সম্পূর্ণরূপে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তার মক্কেল সন্তুষ্ট’। তবে যে সাজা দেওয়া হয়েছে তাতে তিনি ‘খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারেননি’। তার মনে হয়েছে ‘সাজা কম হয়েছে’।
অভিযুক্ত কিশোরদের একজনের আইনজীবী ডিলান স্লামা বলেন, যদিও এই ধরনের দুঃখজনক পরিস্থিতিতে সন্তুষ্টির কথা বলা কঠিন। তবে তার মক্কেলের জন্য এটা স্বস্তির অনুভূতি ছিল।
কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যাকে সবচেয়ে কঠোর সাজা দেওয়া হয়েছে তিনি ৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন। তবে তিনি চাইলে এই সময়টা যন্ত্রের সাহায্যে নজরদারির মধ্যে বাড়িতেও থাকতে পারবেন।
মিথ্যা অভিযোগ ও কুৎসা রটনা করায় দোষী সাব্যস্ত কিশোরীকে ১৮ মাসের স্থগিত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাকে দুই বছর প্রবেশনে থাকতে হবে।
ছয় কিশোর-কিশোরীর সবাইকে স্থগিত দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের দুই থেকে তিন বছর কঠোর প্রবেশনের মধ্যে থাকতে হবে।