alt

আন্তর্জাতিক

আসছে নতুন এআই, হুমকির মুখে পড়বে ‘নিরাপদ’ চাকরিও

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

চলতি বছরের শুরুর দিকে ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটজিপিটি নিয়ে এসে কর্মক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। এ নিয়ে আলোচনা-বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি গোল্ডম্যান স্যাকস গত এপ্রিলের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এআইয়ের কারণে ৩০ কোটি পূর্ণকালীন কর্মী সরিয়ে নেওয়া হলেও চ্যাটজিপিটি ও একই ধরনের জেনারেটিভ এআইগুলো ৭ শতাংশ পর্যন্ত বৈশ্বিক জিডিপি বৃদ্ধি করতে পারে।

অনেকের ধারণা, রেস্তোরাঁয় রোবট, কারখানায় উন্নত ফেব্রিকেশন মেশিন এআই-সম্পর্কিত চাকরি হারানোর প্রথম তরঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করবে। অনেক কর্মী হয়তো বিশ্বাস করেছেন যে ফাস্টফুড রেস্তোরাঁয় বার্গার-ফ্লিপিং রোবট বা কারখানায় উন্নত ফেব্রিকেশন মেশিনগুলো এআইয়ের কারণে কর্মীদের চাকরি হারানোর প্রথম ধাপের প্রতিনিধিত্ব করবে।

বর্তমানে এর গতি হালকা হলেও এআইয়ের বিবর্তন হচ্ছে দ্রুত। আর এর কারণে দীর্ঘকাল ধরে ‘নিরাপদ’ হিসেবে বিবেচিত চাকরিগুলো প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত হুমকির মুখে পড়তে পারে। এর আওতায় সৃজনশীল কাজগুলোও আছে। অনেকের ধারণা বিপণন, সংগীত ও গ্রাফিক ডিজাইনের মতো কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় করা কঠিন হবে। কিন্তু এআইয়ের বিবর্তনে এই কাজগুলোও হুমকির মুখে পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো মার্ক মুরো প্রযুক্তি, মানুষ ও স্থানের আন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেন। তিনি বলেন, গবেষকেরা বলছেন, এআইয়ের রেখা ঊর্ধ্বমুখী। এর মানে হলো মানুষকে ঐতিহ্যগতভাবে উচ্চ স্তরের ভাবা হয়। কিন্তু এআইয়ের কারণে পেশাদার অবস্থানের এই কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি হুমকিতে আছেন।

এআই এই উচ্চ স্তরের কাজগুলো দখল করে নেবে।

এর কারণ হলো জেনারেটিভ এআই টুলস ও প্রযুক্তি শিগগির আরও শক্তিশালী হবে। এক বছরে এআই যা করতে পেরেছে, তার আরও উন্নয়ন হচ্ছে। আর এ নিয়ে অত্যন্ত দক্ষ মানুষেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এআই হয়তো এবার মার্কেটিং পরিকল্পনা, অনুসন্ধান কৌশল এবং আরও অনেক কিছু একসঙ্গে করতে পারবে।

নতুন এ প্রযুক্তির একটি অংশ ইতিমধ্যে বাজারে আসছে। রোবটগুলোও এখন এআই সহকর্মীদের মতো কাজ করছে। যদিও মনে করার কারণ আছে, কর্মীদের জন্য এআই আশীর্বাদ হতে পারে। তবে এমনও কিছু কারণ আছে যে জ্ঞান-কর্মের অবস্থানে কর্মীদের তাদের দিকেই হয়তো তাকিয়ে থাকতে হবে।

ছবি

তুরস্কের একদিনে তুষারপাত, অন্যদিকে দাবানল

রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে হারতে দিতে পারি না : ইইউকে চীন

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিল হামাস

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে রাজি নয় ইরান : ট্রাম্প

ছবি

সিরিয়া কি ‘ইসরায়েলের’ সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে?

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে হামলা করল ইসরায়েল

ছবি

‘আগামী সপ্তাহেই’ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আশাবাদ ট্রাম্পের

ছবি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে সম্ভাবনা, যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত প্রস্তাবে সম্মতি হামাসের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে হড়কা বানে ২৪ জনের মৃত্যু

শিকাগোতে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৪

ছবি

তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি

ছবি

চীনের হামলা মোকাবিলায় ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি তাইওয়ানের

গুপ্তচর সন্দেহ, হাজার হাজার আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই : ট্রাম্প

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালাতে ‘ক্ষুধা’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

ছবি

ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’-এ কী আছে

ছবি

কংগ্রেসে উতরে গেল ট্রাম্পের ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’

ছবি

তালেবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

ছবি

র‌্যাপারের অ্যালবাম রিলিজ অনুষ্ঠানে রক্তক্ষয়ী হামলা, পালালো হামলাকারীরা

ছবি

ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ যে প্রভাব ফেলবে যুক্তরাষ্ট্রে

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ২ বছর পিছিয়ে গেছে : পেন্টাগন

ছবি

গাজা উপত্যকার ৮৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে

মার্কিন অস্ত্র সহায়তা স্থগিতে রুশ হামলা জোরদারের শঙ্কায় ইউক্রেন

গুপ্তচর সন্দেহে বিপুলসংখ্যক আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ, বহু দেশে ‘রেড অ্যালার্ট’

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দুই বছর পিছিয়ে গেছে: পেন্টাগন

ছবি

বালি উপকূলে ফেরি ডুবি, চারজনের মৃত্যু

ছবি

‘গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল’

তৃতীয় দফা ভোটেও জয়, জোহরান এখন নিউইয়র্ক সিটির আনুষ্ঠানিক মেয়র প্রার্থী

ছবি

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের বড় ঘোষণা

মুসলিম দেশ কাজাখস্তানে বোরকা ও নিকাব পরা নিষিদ্ধ

ইরান ভ্রমণে আবারও নাগরিকদের সতর্ক করল চীন

ছবি

হরমুজ প্রণালিতে ইরানের মাইন পাতার প্রস্তুতি, উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

গাজায় ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতিতে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প

ছবি

তেলেঙ্গানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত ৪৪, নিখোঁজ ১২ শ্রমিক

ছবি

আরও উত্তপ্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক

tab

আন্তর্জাতিক

আসছে নতুন এআই, হুমকির মুখে পড়বে ‘নিরাপদ’ চাকরিও

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

চলতি বছরের শুরুর দিকে ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটজিপিটি নিয়ে এসে কর্মক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। এ নিয়ে আলোচনা-বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি গোল্ডম্যান স্যাকস গত এপ্রিলের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এআইয়ের কারণে ৩০ কোটি পূর্ণকালীন কর্মী সরিয়ে নেওয়া হলেও চ্যাটজিপিটি ও একই ধরনের জেনারেটিভ এআইগুলো ৭ শতাংশ পর্যন্ত বৈশ্বিক জিডিপি বৃদ্ধি করতে পারে।

অনেকের ধারণা, রেস্তোরাঁয় রোবট, কারখানায় উন্নত ফেব্রিকেশন মেশিন এআই-সম্পর্কিত চাকরি হারানোর প্রথম তরঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করবে। অনেক কর্মী হয়তো বিশ্বাস করেছেন যে ফাস্টফুড রেস্তোরাঁয় বার্গার-ফ্লিপিং রোবট বা কারখানায় উন্নত ফেব্রিকেশন মেশিনগুলো এআইয়ের কারণে কর্মীদের চাকরি হারানোর প্রথম ধাপের প্রতিনিধিত্ব করবে।

বর্তমানে এর গতি হালকা হলেও এআইয়ের বিবর্তন হচ্ছে দ্রুত। আর এর কারণে দীর্ঘকাল ধরে ‘নিরাপদ’ হিসেবে বিবেচিত চাকরিগুলো প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত হুমকির মুখে পড়তে পারে। এর আওতায় সৃজনশীল কাজগুলোও আছে। অনেকের ধারণা বিপণন, সংগীত ও গ্রাফিক ডিজাইনের মতো কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় করা কঠিন হবে। কিন্তু এআইয়ের বিবর্তনে এই কাজগুলোও হুমকির মুখে পড়বে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সিনিয়র ফেলো মার্ক মুরো প্রযুক্তি, মানুষ ও স্থানের আন্তপ্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেন। তিনি বলেন, গবেষকেরা বলছেন, এআইয়ের রেখা ঊর্ধ্বমুখী। এর মানে হলো মানুষকে ঐতিহ্যগতভাবে উচ্চ স্তরের ভাবা হয়। কিন্তু এআইয়ের কারণে পেশাদার অবস্থানের এই কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি হুমকিতে আছেন।

এআই এই উচ্চ স্তরের কাজগুলো দখল করে নেবে।

এর কারণ হলো জেনারেটিভ এআই টুলস ও প্রযুক্তি শিগগির আরও শক্তিশালী হবে। এক বছরে এআই যা করতে পেরেছে, তার আরও উন্নয়ন হচ্ছে। আর এ নিয়ে অত্যন্ত দক্ষ মানুষেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এআই হয়তো এবার মার্কেটিং পরিকল্পনা, অনুসন্ধান কৌশল এবং আরও অনেক কিছু একসঙ্গে করতে পারবে।

নতুন এ প্রযুক্তির একটি অংশ ইতিমধ্যে বাজারে আসছে। রোবটগুলোও এখন এআই সহকর্মীদের মতো কাজ করছে। যদিও মনে করার কারণ আছে, কর্মীদের জন্য এআই আশীর্বাদ হতে পারে। তবে এমনও কিছু কারণ আছে যে জ্ঞান-কর্মের অবস্থানে কর্মীদের তাদের দিকেই হয়তো তাকিয়ে থাকতে হবে।

back to top