গত কদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে খ্যাতনামা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকশ’ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের সিংহভাগই শিক্ষার্থী।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে এই বিক্ষোভকারীদের প্যালেস্টাইনপন্থি হিসেবে। তাদের বিক্ষোভ দমানোর পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারের কথা।
যাদের প্যালেস্টাইনপন্থি বলা হচ্ছে, বা বলা হচ্ছে ইহুদিবিদ্বেষী, তাদের দাবিগুলো আসলে কী? সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মূল দাবি হচ্ছে, ইসরায়েলে যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বা বিনিয়োগ প্রত্যাহার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে। তাছাড়া বিশেষজ্ঞরাও বলছে, যদিও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি এ ধরনের বিনিয়োগ যা আছে, তা প্রত্যাহারও করে নেয়, তার খুব একটা প্রভাব নেই। এছাড়া এই বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্কও ছিন্ন করতে বলছে। এছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান নিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি দাবি বিক্ষোভকারীদের।
বিক্ষোভে যোগ দেয়া কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলথি সিএনএনকে বলেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে বলেছি, প্যালেস্টাইনিদের প্রতি গণহত্যা বা অন্যায়-অত্যাচারে জড়িত যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নিতে, সম্পর্ক ছিন্ন করতে।
গত কদিনে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল, নিউইয়র্ক, কলম্বিয়া, টেক্সাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিক্ষোভ চলছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তো সমাবর্তনই বাতিল করা হয়েছে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য বিক্ষোভকারী তাবু গেড়ে গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে, ইসরায়েল বিরোধিতায় বিক্ষোভে নামে।
সেই বিক্ষোভ দমাতে ইসরায়েলের পক্ষে প্রত্যক্ষ সমর্থন জানানো যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বেশ স্পষ্ট অবস্থান নেয়। পুলিশ সবগুলো জায়গাতেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে তৎপর হয়। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের আরও দাবি যুক্ত হয়েছে।
তারা বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে এবং নিপীড়নের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় ভূমিকা নিতেও দাবি জানাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি।
সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ক্যাম্পাসকে পুলিশের আওতামুক্ত করার দাবিও উঠেছে।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীরা যেসব দাবি তুলেছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে যুদ্ধাস্ত্র বিষয়ক গবেষণা বন্ধ করার। তারা বলছে, এই অস্ত্র দিয়েই গণহত্যা চালানো হচ্ছে প্যালেস্টাইনিদের ওপর।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের যত ধরনের সম্পর্ক আছে তা জনসম্মুখে উন্মোচনের এবং ছিন্ন করার। তাদের দাবিদাওয়ার মধ্যে আবাসনসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়হ্রাসের দফাও আছে।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির এই শিক্ষার্থীরা সুনির্দিষ্টভাবে বলছে, তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কিছু যৌথ প্রোগ্রাম আছে কলম্বিয়ার।
রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
গত কদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে খ্যাতনামা বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠেছে। সেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকশ’ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের সিংহভাগই শিক্ষার্থী।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে এই বিক্ষোভকারীদের প্যালেস্টাইনপন্থি হিসেবে। তাদের বিক্ষোভ দমানোর পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা নিয়ে সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারের কথা।
যাদের প্যালেস্টাইনপন্থি বলা হচ্ছে, বা বলা হচ্ছে ইহুদিবিদ্বেষী, তাদের দাবিগুলো আসলে কী? সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মূল দাবি হচ্ছে, ইসরায়েলে যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বা বিনিয়োগ প্রত্যাহার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে। তাছাড়া বিশেষজ্ঞরাও বলছে, যদিও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি এ ধরনের বিনিয়োগ যা আছে, তা প্রত্যাহারও করে নেয়, তার খুব একটা প্রভাব নেই। এছাড়া এই বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্কও ছিন্ন করতে বলছে। এছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে অবস্থান নিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি দাবি বিক্ষোভকারীদের।
বিক্ষোভে যোগ দেয়া কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলথি সিএনএনকে বলেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে বলেছি, প্যালেস্টাইনিদের প্রতি গণহত্যা বা অন্যায়-অত্যাচারে জড়িত যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নিতে, সম্পর্ক ছিন্ন করতে।
গত কদিনে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল, নিউইয়র্ক, কলম্বিয়া, টেক্সাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই বিক্ষোভ চলছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তো সমাবর্তনই বাতিল করা হয়েছে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য বিক্ষোভকারী তাবু গেড়ে গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে, ইসরায়েল বিরোধিতায় বিক্ষোভে নামে।
সেই বিক্ষোভ দমাতে ইসরায়েলের পক্ষে প্রত্যক্ষ সমর্থন জানানো যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বেশ স্পষ্ট অবস্থান নেয়। পুলিশ সবগুলো জায়গাতেই বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে তৎপর হয়। এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের আরও দাবি যুক্ত হয়েছে।
তারা বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে এবং নিপীড়নের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় ভূমিকা নিতেও দাবি জানাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি।
সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ক্যাম্পাসকে পুলিশের আওতামুক্ত করার দাবিও উঠেছে।
প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীরা যেসব দাবি তুলেছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে যুদ্ধাস্ত্র বিষয়ক গবেষণা বন্ধ করার। তারা বলছে, এই অস্ত্র দিয়েই গণহত্যা চালানো হচ্ছে প্যালেস্টাইনিদের ওপর।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের যত ধরনের সম্পর্ক আছে তা জনসম্মুখে উন্মোচনের এবং ছিন্ন করার। তাদের দাবিদাওয়ার মধ্যে আবাসনসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়হ্রাসের দফাও আছে।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির এই শিক্ষার্থীরা সুনির্দিষ্টভাবে বলছে, তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কিছু যৌথ প্রোগ্রাম আছে কলম্বিয়ার।