ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদচাপার ফলে ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে শনিবার রাতে, যখন কাইফাতলপুর নামক স্থানে একটি হিন্দু উৎসবে ভক্তরা জমায়েত হয়েছিল। ভিড় নিয়ন্ত্রণের অভাবে এবং আতঙ্কের সৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই পদচাপায় পড়ে যান।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এক নারী বলেন, স্থানীয় এক গুরুর সম্মানে ওই প্রার্থনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। লোকজন বিদায় নেওয়ার সময়েই ঘটে পদপিষ্টের ঘটনা।
আরেক নারী বলেন, সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরই পদচাপার ঘটনা ঘটে। আমরা পাশ দিয়েই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।”
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সরকারের একাধিক মন্ত্রীও ঘটনাস্থলে যান। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে বাস এবং টেম্পুতে করে কয়েকটি লাশ নিয়ে আসা এবং স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে।
হাথরসের ডিস্ট্রিক্ট মেজিস্ট্রেট আশিষ কুমার বলেছেন, কমিউনিটি হেলথ সেন্টার থেকে মৃতের সংখ্যার যে হিসাব পাওয়া গেছে তাতে বলা হয়েছে ৫০-৬০ জন নিহত হয়েছে। আর ইতাহ জেলার কর্মকর্তারা আরও ২৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন।
পদচাপার ঘটনাটি হাথরসের সিকন্দরারাউ পুলিশ স্টেশনের অধীন পুরালি গ্রামে ঘটেছে। আহতদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আশিষ কুমার।
এনডিটিভি জানায়, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোটা ঘটনার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং পরিস্থিতি নজরে রাখছেন। কীভাবে এত বড় ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গঠন করা হয়েছে বিশেষ তদন্ত দল।
ওদিকে পার্লামেন্টের ভাষণে হাথরসের ঘটনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “হাথরসের ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।”
প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মূ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
পদচাপার এ ঘটনায় দু:খপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদচাপার ঘটনা নতুন কিছু নয়; অতীতে বহুবার এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে প্রচুর মানুষ একত্রিত হয় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে দুর্ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪
ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদচাপার ফলে ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে শনিবার রাতে, যখন কাইফাতলপুর নামক স্থানে একটি হিন্দু উৎসবে ভক্তরা জমায়েত হয়েছিল। ভিড় নিয়ন্ত্রণের অভাবে এবং আতঙ্কের সৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই পদচাপায় পড়ে যান।
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এক নারী বলেন, স্থানীয় এক গুরুর সম্মানে ওই প্রার্থনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। লোকজন বিদায় নেওয়ার সময়েই ঘটে পদপিষ্টের ঘটনা।
আরেক নারী বলেন, সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরই পদচাপার ঘটনা ঘটে। আমরা পাশ দিয়েই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।”
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সরকারের একাধিক মন্ত্রীও ঘটনাস্থলে যান। কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে বাস এবং টেম্পুতে করে কয়েকটি লাশ নিয়ে আসা এবং স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে।
হাথরসের ডিস্ট্রিক্ট মেজিস্ট্রেট আশিষ কুমার বলেছেন, কমিউনিটি হেলথ সেন্টার থেকে মৃতের সংখ্যার যে হিসাব পাওয়া গেছে তাতে বলা হয়েছে ৫০-৬০ জন নিহত হয়েছে। আর ইতাহ জেলার কর্মকর্তারা আরও ২৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন।
পদচাপার ঘটনাটি হাথরসের সিকন্দরারাউ পুলিশ স্টেশনের অধীন পুরালি গ্রামে ঘটেছে। আহতদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আশিষ কুমার।
এনডিটিভি জানায়, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোটা ঘটনার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং পরিস্থিতি নজরে রাখছেন। কীভাবে এত বড় ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গঠন করা হয়েছে বিশেষ তদন্ত দল।
ওদিকে পার্লামেন্টের ভাষণে হাথরসের ঘটনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “হাথরসের ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।”
প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মূ নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
পদচাপার এ ঘটনায় দু:খপ্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদচাপার ঘটনা নতুন কিছু নয়; অতীতে বহুবার এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে প্রচুর মানুষ একত্রিত হয় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে দুর্ঘটনা ঘটে।