বাংলাদেশকে ‘সহযোগিতা’ করাই এখন ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি রিচার্ড ভার্মা। তবে বাংলাদেশ ‘কোন দিকে যাচ্ছে’ তা নিয়ে মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস বিষয়ক এই উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত: বহু গন্তব্যে পৌঁছানো এবং সামনের পথনির্দেশ’ শিরোনামে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নে এই কথা বলেন রিচার্ড ভার্মা।
সোমবার ওয়াশিংটনে হাডসন ইনস্টিটিউট আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, (বাংলাদেশ) কোন পথে যাচ্ছে, তা বলার সময় এখনও আসেনি।’
‘শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক পালাবদলে সহযোগিতার কথা বলতে আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়েছে। আমি মনে করি, এটাই এখনকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,’ বলেন ভার্মা।
অনুষ্ঠানে তাকে প্রশ্ন করা হয় — ‘বাংলাদেশ — সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকে অনেক উগ্র বক্তব্য আসছে, সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করা হচ্ছে। আপনি সেখানকার ভবিষ্যৎ কীভাবে দেখছেন?’ ‘পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তির কথাও বলছে, যেখানে পাকিস্তান বাংলাদেশকে পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে সুরক্ষা দেবে। এটা অবশ্যই ভারতের জন্য খুবই উদ্বেগের। যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন জানতে চাচ্ছি।’
রিচার্ড ভার্মার উত্তর, ‘আমাদের একটি প্রতিনিধি দল মাত্রই বাংলাদেশ সফর করে ফিরেছে এবং কঠিন এই সময়ে জনগণের জন্য অতিরিক্ত মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও আইনি পালাবদলে সহযোগিতার চেষ্টা করা। আমার মনে হয়, এটা সবার স্বার্থেই। এটা এক ধরনের দৈনন্দিন দৃষ্টিভঙ্গি।
‘আশা করি, নিরাপত্তা ফিরে আসবে, আইনশৃঙ্খলা ঠিক হবে এবং মানুষ মৌলিক অর্থনৈতিক সেবা পাবে। এবং এটা দীর্ঘমেয়াদি কাজ।’
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে দুই বছর ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন ভার্মা।
রিচার্ড ভার্মা আরও বলেন, ‘কীভাবে-কখন নির্বাচন করতে চায় আর অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ বাংলাদেশের জনগণের। আমি মনে করি, এই গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় আমরা কীভাবে সহায়তা করতে পারি, সেটা নিয়ে জনগণের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব।’
‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের’ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ, খোলামেলাভাবে বললে যে কোনো বেসামরিক মানুষের ওপর হলেই সেটা উদ্বেগের। আমরা মনে করি, আমাদের এটা খুব গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।’
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। জনরোষের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেল পাওয়া মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
এই সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি দল ঢাকা ঘুরে গেছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সংস্কার কাজে’ ‘সহযোগিতার’ ঘোষণাও দিয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠালো।
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশকে ‘সহযোগিতা’ করাই এখন ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি রিচার্ড ভার্মা। তবে বাংলাদেশ ‘কোন দিকে যাচ্ছে’ তা নিয়ে মন্তব্য করার সময় এখনও আসেনি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্সেস বিষয়ক এই উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত: বহু গন্তব্যে পৌঁছানো এবং সামনের পথনির্দেশ’ শিরোনামে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নে এই কথা বলেন রিচার্ড ভার্মা।
সোমবার ওয়াশিংটনে হাডসন ইনস্টিটিউট আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, (বাংলাদেশ) কোন পথে যাচ্ছে, তা বলার সময় এখনও আসেনি।’
‘শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক পালাবদলে সহযোগিতার কথা বলতে আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়েছে। আমি মনে করি, এটাই এখনকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,’ বলেন ভার্মা।
অনুষ্ঠানে তাকে প্রশ্ন করা হয় — ‘বাংলাদেশ — সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর থেকে অনেক উগ্র বক্তব্য আসছে, সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করা হচ্ছে। আপনি সেখানকার ভবিষ্যৎ কীভাবে দেখছেন?’ ‘পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তির কথাও বলছে, যেখানে পাকিস্তান বাংলাদেশকে পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে সুরক্ষা দেবে। এটা অবশ্যই ভারতের জন্য খুবই উদ্বেগের। যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন জানতে চাচ্ছি।’
রিচার্ড ভার্মার উত্তর, ‘আমাদের একটি প্রতিনিধি দল মাত্রই বাংলাদেশ সফর করে ফিরেছে এবং কঠিন এই সময়ে জনগণের জন্য অতিরিক্ত মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও আইনি পালাবদলে সহযোগিতার চেষ্টা করা। আমার মনে হয়, এটা সবার স্বার্থেই। এটা এক ধরনের দৈনন্দিন দৃষ্টিভঙ্গি।
‘আশা করি, নিরাপত্তা ফিরে আসবে, আইনশৃঙ্খলা ঠিক হবে এবং মানুষ মৌলিক অর্থনৈতিক সেবা পাবে। এবং এটা দীর্ঘমেয়াদি কাজ।’
২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে দুই বছর ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন ভার্মা।
রিচার্ড ভার্মা আরও বলেন, ‘কীভাবে-কখন নির্বাচন করতে চায় আর অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজ বাংলাদেশের জনগণের। আমি মনে করি, এই গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় আমরা কীভাবে সহায়তা করতে পারি, সেটা নিয়ে জনগণের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব।’
‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের’ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ, খোলামেলাভাবে বললে যে কোনো বেসামরিক মানুষের ওপর হলেই সেটা উদ্বেগের। আমরা মনে করি, আমাদের এটা খুব গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।’
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। জনরোষের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেল পাওয়া মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
এই সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি দল ঢাকা ঘুরে গেছে। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সংস্কার কাজে’ ‘সহযোগিতার’ ঘোষণাও দিয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠালো।