alt

আন্তর্জাতিক

নেটোর নতুন প্রধান হলেন সাবেক ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট্টে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর নতুন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট্টে।

ইউক্রেন যুদ্ধের সংকটময় মুহূর্তে ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এই সংস্থার দায়িত্ব নিলেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ব্রাসেলসে অবস্থিত নেটো কার্যালয়ে নরওয়ের জেনস স্টলটেনবার্গের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেবেন রুট্টে।

নেটো কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের প্রত্যাশা, ৩২ সদস্যের এই সংস্থায় স্টলটেনবার্গের অগ্রাধিকারগুলো রুট্টে ধরে রাখবেন। এসব অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের জন্য সমর্থন চালিয়ে যাওয়া, প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানো ও ইউরোপীয় নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাখা।

কিন্তু মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতিসহ বিভিন্ন কারণে ইউক্রেন যুদ্ধে সমর্থন বজায় রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। অন্যদিকে মার্কিন নির্বাচনে যথেষ্ট সমর্থন থাকা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিয়েভ ও নেটোর প্রতি সমর্থন নিয়ে আশঙ্কায় আছে সামরিক জোটটি।

১৪ বছর প্রধানমন্ত্রীত্ব করা রুট্টে চলতি বছর অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বরাবরই ইউক্রেনের কট্টর সমর্থক। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের ‘প্রলাপ বকা বন্ধ’ করে মহাদেশীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে মনোযোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

স্নায়ুযুদ্ধকালে পশ্চিম ইউরোপের ওপর সোভিয়েত ইউনিয়নের যেকোনও হামলা প্রতিহত করতে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা নেটো। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সংস্থাটি দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক রাজনীতির কেন্দ্রে এসে পড়ে।

নিজেদের দীর্ঘদিনের জোট নিরপেক্ষতার নীতি ঝেড়ে ফেলে যৌথ নিরাপত্তা সুবিধা পাওয়ার জন্য নেটোর সদস্যপদ গ্রহণ করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। জোটের যেকোনও সদস্যের ওপর আক্রমণ সবার ওপর হামলার সমান ও সবাই মিলে তা প্রতিহত করবে- এটাই হচ্ছে যৌথ নিরাপত্তার মূলনীতি।

পশ্চিমারা নেটোকে প্রতিরক্ষা জোট বলে প্রচারণা চালালেও সংস্থাটিকে সবসময় রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবেই বিবেচনা করে এসেছে মস্কো।

কূটনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, নয়া প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে বাড়তি সেনা, অস্ত্র ও অর্থ বরাদ্দে জোটের সদস্যদের সম্মত করানো হবে রুট্টের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

যুক্তরাষ্ট্র এই জোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হলেও নেটো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। তাই সদস্যদের সমঝোতায় আনার চেষ্টা করাই নেটো প্রধানের গুরুদায়িত্ব। দীর্ঘদিন জোট সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকায় এই পদের জন্য রুট্টেকেই যোগ্য ব্যক্তি বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা।

ছবি

হামাসের শর্ত ‘অগ্রহণযোগ্য’ বললেও আলোচনা চালিয়ে যাবে ইসরায়েল

ছবি

৯ জুলাইয়ের পর কী হবে, পরিষ্কার নয়; শুল্ক বাড়ানোর হুমকি ট্রাম্পের

ছবি

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর প্রথমবার প্রকাশ্যে এলেন খামেনি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠনের ঘোষণা ইলন মাস্কের

ছবি

টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩, নিখোঁজ ২৭ শিশু

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত, ত্রাণ কেন্দ্রের কাছেও হামলা

ছবি

তুরস্কের একদিনে তুষারপাত, অন্যদিকে দাবানল

রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে হারতে দিতে পারি না : ইইউকে চীন

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিল হামাস

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে রাজি নয় ইরান : ট্রাম্প

ছবি

সিরিয়া কি ‘ইসরায়েলের’ সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে?

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে হামলা করল ইসরায়েল

ছবি

‘আগামী সপ্তাহেই’ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আশাবাদ ট্রাম্পের

ছবি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে সম্ভাবনা, যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত প্রস্তাবে সম্মতি হামাসের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে হড়কা বানে ২৪ জনের মৃত্যু

শিকাগোতে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৪

ছবি

তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি

ছবি

চীনের হামলা মোকাবিলায় ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি তাইওয়ানের

গুপ্তচর সন্দেহ, হাজার হাজার আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই : ট্রাম্প

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালাতে ‘ক্ষুধা’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

ছবি

ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’-এ কী আছে

ছবি

কংগ্রেসে উতরে গেল ট্রাম্পের ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’

ছবি

তালেবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

ছবি

র‌্যাপারের অ্যালবাম রিলিজ অনুষ্ঠানে রক্তক্ষয়ী হামলা, পালালো হামলাকারীরা

ছবি

ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ যে প্রভাব ফেলবে যুক্তরাষ্ট্রে

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ২ বছর পিছিয়ে গেছে : পেন্টাগন

ছবি

গাজা উপত্যকার ৮৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে

মার্কিন অস্ত্র সহায়তা স্থগিতে রুশ হামলা জোরদারের শঙ্কায় ইউক্রেন

গুপ্তচর সন্দেহে বিপুলসংখ্যক আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ, বহু দেশে ‘রেড অ্যালার্ট’

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দুই বছর পিছিয়ে গেছে: পেন্টাগন

ছবি

বালি উপকূলে ফেরি ডুবি, চারজনের মৃত্যু

ছবি

‘গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল’

তৃতীয় দফা ভোটেও জয়, জোহরান এখন নিউইয়র্ক সিটির আনুষ্ঠানিক মেয়র প্রার্থী

ছবি

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের বড় ঘোষণা

tab

আন্তর্জাতিক

নেটোর নতুন প্রধান হলেন সাবেক ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট্টে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪

পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর নতুন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট্টে।

ইউক্রেন যুদ্ধের সংকটময় মুহূর্তে ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এই সংস্থার দায়িত্ব নিলেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ব্রাসেলসে অবস্থিত নেটো কার্যালয়ে নরওয়ের জেনস স্টলটেনবার্গের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেবেন রুট্টে।

নেটো কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের প্রত্যাশা, ৩২ সদস্যের এই সংস্থায় স্টলটেনবার্গের অগ্রাধিকারগুলো রুট্টে ধরে রাখবেন। এসব অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের জন্য সমর্থন চালিয়ে যাওয়া, প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানো ও ইউরোপীয় নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রাখা।

কিন্তু মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতিসহ বিভিন্ন কারণে ইউক্রেন যুদ্ধে সমর্থন বজায় রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। অন্যদিকে মার্কিন নির্বাচনে যথেষ্ট সমর্থন থাকা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিয়েভ ও নেটোর প্রতি সমর্থন নিয়ে আশঙ্কায় আছে সামরিক জোটটি।

১৪ বছর প্রধানমন্ত্রীত্ব করা রুট্টে চলতি বছর অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বরাবরই ইউক্রেনের কট্টর সমর্থক। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের ‘প্রলাপ বকা বন্ধ’ করে মহাদেশীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে মনোযোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

স্নায়ুযুদ্ধকালে পশ্চিম ইউরোপের ওপর সোভিয়েত ইউনিয়নের যেকোনও হামলা প্রতিহত করতে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা নেটো। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সংস্থাটি দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক রাজনীতির কেন্দ্রে এসে পড়ে।

নিজেদের দীর্ঘদিনের জোট নিরপেক্ষতার নীতি ঝেড়ে ফেলে যৌথ নিরাপত্তা সুবিধা পাওয়ার জন্য নেটোর সদস্যপদ গ্রহণ করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। জোটের যেকোনও সদস্যের ওপর আক্রমণ সবার ওপর হামলার সমান ও সবাই মিলে তা প্রতিহত করবে- এটাই হচ্ছে যৌথ নিরাপত্তার মূলনীতি।

পশ্চিমারা নেটোকে প্রতিরক্ষা জোট বলে প্রচারণা চালালেও সংস্থাটিকে সবসময় রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবেই বিবেচনা করে এসেছে মস্কো।

কূটনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, নয়া প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে বাড়তি সেনা, অস্ত্র ও অর্থ বরাদ্দে জোটের সদস্যদের সম্মত করানো হবে রুট্টের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

যুক্তরাষ্ট্র এই জোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হলেও নেটো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। তাই সদস্যদের সমঝোতায় আনার চেষ্টা করাই নেটো প্রধানের গুরুদায়িত্ব। দীর্ঘদিন জোট সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতা থাকায় এই পদের জন্য রুট্টেকেই যোগ্য ব্যক্তি বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা।

back to top