alt

আন্তর্জাতিক

কেলেঙ্কারির মাঝেই জাপানে আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

জাপানে একের পর এক কেলেঙ্কারির ধাক্কায় টালমাটাল ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণের মাধ্যমে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। দলের নতুন প্রধান শিগেরু ইশিবা ক্ষমতায় আসার তিন দিন পরই এই নির্বাচন ঘোষণা করেন, যা এলডিপির জন্য একপ্রকার রাজনৈতিক জুয়া বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এলডিপির জনপ্রিয়তা বর্তমানে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, যা রাজনৈতিক তহবিল নিয়ে কেলেঙ্কারি এবং বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চের সঙ্গে দলের সম্পর্ক প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই ধস নামে। এতকিছুর পরেও, এলডিপির প্রধান বিরোধী দলগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। বিরোধীদের সমর্থন এখনো কম, এবং তাদের বিকল্প হিসেবে প্রমাণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

কিছু ভোটার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। যেমন, মিয়ুকি ফুজিসাকি, যিনি দীর্ঘদিন ধরে এলডিপির সমর্থক, বলেন, “বিরোধীরা অনেক অভিযোগ তুললেও তারা আসলে কী চায়, তা স্পষ্ট নয়।” নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের জন্য জাপানিরা ক্ষুব্ধ হলেও, তাদের ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তনের আশাও ক্ষীণ।

টেম্পল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেফ কিংস্টন মনে করেন, এলডিপি নিজেদের তৈরি করা সংকটে পড়েছে, যা থেকে বের হতে তাদেরকে ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে। যদিও এর মাধ্যমে এলডিপির পরাজয় হবে বলে মনে করেন না তিনি। তার মতে, এলডিপি এমন আসন হারানোর শঙ্কায় রয়েছে যেখানে জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা সমান।

এ পরিস্থিতিতে মিয়ুকি ফুজিসাকির মতো ভোটাররা চাইছেন, এলডিপি তাদের প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়ে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হোক।

ছবি

ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ: বিনিয়োগ প্রত্যাহার করল নরওয়ের বৃহৎ পেনশন কোম্পানি কেএলপি

ছবি

‘শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর, দেখা যায় খালি চোখেও’

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্ত করার দাবিতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ

ইরান শান্তি চাইলে উঠে যেতে পারে নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে: ইরান

ছবি

হুমকি ও শান্তির বার্তা, গাজা নিয়ে দ্বৈত নীতি

পাকিস্তানের জন্য ৩৪০ কোটি ডলারের ঋণ নবায়ন করলো চীন

ছবি

আলোচনা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে: ইরান

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৭২

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মী নিহত

ছবি

সার্বিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, উত্তাল বেলগ্রেড

‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ : ফের ট্রাম্পের সমালোচনায় ইলন মাস্ক

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ ইরানের

ইরান কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে

নেতানিয়াহুর দুর্নীতির বিচার বন্ধ করতে চান ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি চুক্তির উদ্যোগের পরও গাজায় থেমে নেই হত্যাযজ্ঞ

ছবি

পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যায় দুই দিনে ৩২ জনের মৃত্যু

ছবি

পুরিতে রথযাত্রায় ভিড়ের চাপে পিষ্ট হয়ে নিহত ৩, আহত ১০

ছবি

নর্থ ওয়াজিরিস্তানে সামরিক বহরে আত্মঘাতী হামলা, শিশু আহত ছয়

কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করছেন ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনের শহর দখল করতে ১ লাখের বেশি সেনা জড়ো করেছে রাশিয়া

ছবি

বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও ইরানের সমর্থন নিয়ে অনিশ্চয়তা, অস্তিত্ব-সংকটে হামাস

ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ ইরানি সাংবাদিক

ছবি

শোক-সমবেদনায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের স্মরণ করলেন ইরানিরা

আল-আকসা চত্বরে নাচ-গানের অনুমতি দিল ইসরায়েল

ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী ভারতের সংসদ সদস্যরা

ছবি

নতুন এমআই-সিক্স প্রধানের দাদা ছিলেন হিটলারের ‘গুপ্তচর’

ছবি

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যচুক্তিতে সই, জানালেন ট্রাম্প

ছবি

খামেনিকে একহাত নিলেন ট্রাম্প, পারমাণবিক কর্মসূচি চালালে ইরানে ফের হামলার হুমকি

ছবি

বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

ইসরায়েল চেয়েছিল খামেনিকে হত্যা করতে, কিন্তু সুযোগ মেলেনি: প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক

ছবি

‘সন্ত্রাসবাদ’ নিয়ে ঐকমত্যের অভাবে যৌথ বিবৃতিতে ভারতের অস্বীকৃতি

যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক ইরানি সেনাসহ গ্রেপ্তার ১৩০

ছবি

মধ্যপ্রাচ্যে কীভাবে সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল

গাজায় মানবিক পরিস্থিতি ‘বিপর্যয়কর’: ইউরোপীয় কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট

tab

আন্তর্জাতিক

কেলেঙ্কারির মাঝেই জাপানে আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

জাপানে একের পর এক কেলেঙ্কারির ধাক্কায় টালমাটাল ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণের মাধ্যমে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। দলের নতুন প্রধান শিগেরু ইশিবা ক্ষমতায় আসার তিন দিন পরই এই নির্বাচন ঘোষণা করেন, যা এলডিপির জন্য একপ্রকার রাজনৈতিক জুয়া বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এলডিপির জনপ্রিয়তা বর্তমানে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, যা রাজনৈতিক তহবিল নিয়ে কেলেঙ্কারি এবং বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চের সঙ্গে দলের সম্পর্ক প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই ধস নামে। এতকিছুর পরেও, এলডিপির প্রধান বিরোধী দলগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। বিরোধীদের সমর্থন এখনো কম, এবং তাদের বিকল্প হিসেবে প্রমাণ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

কিছু ভোটার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। যেমন, মিয়ুকি ফুজিসাকি, যিনি দীর্ঘদিন ধরে এলডিপির সমর্থক, বলেন, “বিরোধীরা অনেক অভিযোগ তুললেও তারা আসলে কী চায়, তা স্পষ্ট নয়।” নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের জন্য জাপানিরা ক্ষুব্ধ হলেও, তাদের ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তনের আশাও ক্ষীণ।

টেম্পল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেফ কিংস্টন মনে করেন, এলডিপি নিজেদের তৈরি করা সংকটে পড়েছে, যা থেকে বের হতে তাদেরকে ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে। যদিও এর মাধ্যমে এলডিপির পরাজয় হবে বলে মনে করেন না তিনি। তার মতে, এলডিপি এমন আসন হারানোর শঙ্কায় রয়েছে যেখানে জয়-পরাজয়ের সম্ভাবনা সমান।

এ পরিস্থিতিতে মিয়ুকি ফুজিসাকির মতো ভোটাররা চাইছেন, এলডিপি তাদের প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়ে সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে উদ্যোগী হোক।

back to top