alt

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে কমলা হ্যারিসের পরাজয় নিয়ে ক্ষোভ ও আত্মসমালোচনা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সাম্প্রতিক নির্বাচনে পরাজয়ের পর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। দলের কিছু কর্মকর্তা ও ভোটার হতবাক হয়ে পড়েছেন এবং আত্মসমালোচনায় মগ্ন হয়েছেন।

মাত্র তিন মাস আগে নির্বাচনি দৌঁড়ে নামা হ্যারিসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা কমই ছিল। তবে হ্যারিসের পরাজয়ের ধরন পার্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

সবচেয়ে তীব্র সমালোচনা উঠেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা নিয়ে। দলটির নেতারা দাবি করেন, বাইডেনের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে সমর্থকদের ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে। জুন মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেওয়ার সময় বাইডেনের স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রকাশ পায় এবং তা থেকে দলের অস্বস্তি শুরু হয়।

এক ডেমোক্র্যাট দাতা প্রশ্ন তুলেছেন, “বাইডেন কেন প্রার্থী হিসেবে এতদিন থেকে গেলেন? তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণের কাছে সততা বজায় রাখা উচিত ছিল।”

৮১ বছর বয়সী বাইডেন মনে করতেন তিনিই একমাত্র ডেমোক্র্যাট যিনি ট্রাম্পকে হারাতে পারেন। জুলাই মাসে তিনি দৌঁড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন, কিন্তু এপ্রিলে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই দলের কিছু অংশ সংশয় প্রকাশ করে আসছিল।

এক ডেমোক্র্যাট কর্মকর্তা বাইডেনের ঘনিষ্ঠ চক্রের অসততার জন্য পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। হ্যারিসের শিবিরের এক সহযোগী জানান, অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের প্রতি আনুগত্যের কারণে হ্যারিস বিপর্যয়ের মুখে পড়েন। তিনি যদি বাইডেনের বিরোধিতা করে নতুন কোনো প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসতেন তবে হয়তো পার্টির জয় সম্ভব ছিল।

অন্যদিকে, পশ্চিমা অনেক দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও উদারপন্থি দলগুলো অভিবাসন নিয়ে চাপের মুখে আছে। এর মধ্যেই হ্যারিসের পরাজয়ের বিষয়টি দলের ভেতরে আরও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কিছু দাতা এবং ভোটার পার্টির কাছ থেকে জবাবদিহিতা চাইছেন।

দীর্ঘ সময় ধরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে সমর্থনকারী হলেও এবার ট্রাম্পকে সমর্থন জানানো হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক বিল অ্যাকম্যান মন্তব্য করেন, “দলের নতুন করে শুরু করা দরকার।”

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত ৫০ ভারতীয় তরুণ: উন্নত জীবনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চলছে শাটডাউন, বন্ধ হচ্ছে খাদ্য সহায়তা

ছবি

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

ছবি

জ্বালানি সংকটে মালিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ছবি

চীনা পণ্যে বাড়তি শুল্ক বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র!

ছবি

শীতে আরও ভয়াবহ হতে পারে গাজার পরিস্থিতি

ছবি

কারা যোগ দিয়েছেন, কী হতে পারে

ছবি

পাকিস্তানে আবার বাড়ছে দারিদ্র্যের হার

ছবি

কানাডার ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

জাতিসংঘ এখন কাজ করছে না, নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর: লুলা

ছবি

জোটের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান আনোয়ার ইব্রাহিমের

ছবি

আরেকটি শান্তি চুক্তির সাক্ষী হলেন ট্রাম্প

ছবি

পালাতে পালাতে ক্লান্ত গাজার মানুষ

ছবি

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে যুদ্ধ: আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ছবি

শুল্কবিরোধী বিজ্ঞাপনে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, কানাডার পণ্যে বাড়ালেন আরও শুল্ক

ছবি

কম্বোডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করবেন থাই প্রধানমন্ত্রী

ছবি

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত

ছবি

বিরোধীদের ‘মুসলিম’ পরিচয় এনে কটাক্ষের জবাব যেভাবে দিচ্ছেন জোহরান

ছবি

আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানে টমেটোর কেজি ৬০০ রুপি

ছবি

ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রণতরী, ‘যুদ্ধাবস্থা তৈরির’ অভিযোগ ভেনেজুয়েলার

ছবি

ট্রাম্প-জিনপিং শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান

ছবি

কোনো নতুন আক্রমণ হবে ‘আরেকটি ব্যর্থতা’: ইরান

ছবি

সহিংস বিক্ষোভে প্রাণহানি, টিএলপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো পাকিস্তান

ছবি

ঝুঁকি মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোকে বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা কমাতে হবে

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও গাজার মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রণা দূর হচ্ছে না

ছবি

একের পর এক অঞ্চল দখল করছে মায়ানমার জান্তা, কেন পিছু হটছে বিদ্রোহীরা

ছবি

ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক কেন ভেস্তে গেল, ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী

ছবি

রাশিয়ার দুটি প্রধান তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

আসিয়ান সম্মেলন এড়িয়ে যাচ্ছেন মোদি, যাবেন না মালয়েশিয়া

ছবি

চীনের সহায়তায় হারানো এলাকা পুনর্দখলে নিচ্ছে মায়ানমার সেনাবাহিনী

ছবি

বিশ্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে আসছে ম্যালেরিয়া

ছবি

পাকিস্তান-তালেবান উত্তেজনায় অনিশ্চিত জীবন আফগান শরণার্থীদের

ছবি

রাশিয়ার দুই তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

‘কয়েক প্রজন্ম ধরে’ চলবে গাজায় স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ মাসে পাঁচ লাখ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

ছবি

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

tab

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে কমলা হ্যারিসের পরাজয় নিয়ে ক্ষোভ ও আত্মসমালোচনা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সাম্প্রতিক নির্বাচনে পরাজয়ের পর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। দলের কিছু কর্মকর্তা ও ভোটার হতবাক হয়ে পড়েছেন এবং আত্মসমালোচনায় মগ্ন হয়েছেন।

মাত্র তিন মাস আগে নির্বাচনি দৌঁড়ে নামা হ্যারিসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা কমই ছিল। তবে হ্যারিসের পরাজয়ের ধরন পার্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

সবচেয়ে তীব্র সমালোচনা উঠেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা নিয়ে। দলটির নেতারা দাবি করেন, বাইডেনের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে সমর্থকদের ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে। জুন মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেওয়ার সময় বাইডেনের স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রকাশ পায় এবং তা থেকে দলের অস্বস্তি শুরু হয়।

এক ডেমোক্র্যাট দাতা প্রশ্ন তুলেছেন, “বাইডেন কেন প্রার্থী হিসেবে এতদিন থেকে গেলেন? তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণের কাছে সততা বজায় রাখা উচিত ছিল।”

৮১ বছর বয়সী বাইডেন মনে করতেন তিনিই একমাত্র ডেমোক্র্যাট যিনি ট্রাম্পকে হারাতে পারেন। জুলাই মাসে তিনি দৌঁড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন, কিন্তু এপ্রিলে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই দলের কিছু অংশ সংশয় প্রকাশ করে আসছিল।

এক ডেমোক্র্যাট কর্মকর্তা বাইডেনের ঘনিষ্ঠ চক্রের অসততার জন্য পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। হ্যারিসের শিবিরের এক সহযোগী জানান, অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের প্রতি আনুগত্যের কারণে হ্যারিস বিপর্যয়ের মুখে পড়েন। তিনি যদি বাইডেনের বিরোধিতা করে নতুন কোনো প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসতেন তবে হয়তো পার্টির জয় সম্ভব ছিল।

অন্যদিকে, পশ্চিমা অনেক দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও উদারপন্থি দলগুলো অভিবাসন নিয়ে চাপের মুখে আছে। এর মধ্যেই হ্যারিসের পরাজয়ের বিষয়টি দলের ভেতরে আরও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কিছু দাতা এবং ভোটার পার্টির কাছ থেকে জবাবদিহিতা চাইছেন।

দীর্ঘ সময় ধরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে সমর্থনকারী হলেও এবার ট্রাম্পকে সমর্থন জানানো হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক বিল অ্যাকম্যান মন্তব্য করেন, “দলের নতুন করে শুরু করা দরকার।”

back to top