যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সাম্প্রতিক নির্বাচনে পরাজয়ের পর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। দলের কিছু কর্মকর্তা ও ভোটার হতবাক হয়ে পড়েছেন এবং আত্মসমালোচনায় মগ্ন হয়েছেন।
মাত্র তিন মাস আগে নির্বাচনি দৌঁড়ে নামা হ্যারিসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা কমই ছিল। তবে হ্যারিসের পরাজয়ের ধরন পার্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সবচেয়ে তীব্র সমালোচনা উঠেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা নিয়ে। দলটির নেতারা দাবি করেন, বাইডেনের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে সমর্থকদের ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে। জুন মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেওয়ার সময় বাইডেনের স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রকাশ পায় এবং তা থেকে দলের অস্বস্তি শুরু হয়।
এক ডেমোক্র্যাট দাতা প্রশ্ন তুলেছেন, “বাইডেন কেন প্রার্থী হিসেবে এতদিন থেকে গেলেন? তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণের কাছে সততা বজায় রাখা উচিত ছিল।”
৮১ বছর বয়সী বাইডেন মনে করতেন তিনিই একমাত্র ডেমোক্র্যাট যিনি ট্রাম্পকে হারাতে পারেন। জুলাই মাসে তিনি দৌঁড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন, কিন্তু এপ্রিলে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই দলের কিছু অংশ সংশয় প্রকাশ করে আসছিল।
এক ডেমোক্র্যাট কর্মকর্তা বাইডেনের ঘনিষ্ঠ চক্রের অসততার জন্য পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। হ্যারিসের শিবিরের এক সহযোগী জানান, অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের প্রতি আনুগত্যের কারণে হ্যারিস বিপর্যয়ের মুখে পড়েন। তিনি যদি বাইডেনের বিরোধিতা করে নতুন কোনো প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসতেন তবে হয়তো পার্টির জয় সম্ভব ছিল।
অন্যদিকে, পশ্চিমা অনেক দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও উদারপন্থি দলগুলো অভিবাসন নিয়ে চাপের মুখে আছে। এর মধ্যেই হ্যারিসের পরাজয়ের বিষয়টি দলের ভেতরে আরও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কিছু দাতা এবং ভোটার পার্টির কাছ থেকে জবাবদিহিতা চাইছেন।
দীর্ঘ সময় ধরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে সমর্থনকারী হলেও এবার ট্রাম্পকে সমর্থন জানানো হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক বিল অ্যাকম্যান মন্তব্য করেন, “দলের নতুন করে শুরু করা দরকার।”
বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সাম্প্রতিক নির্বাচনে পরাজয়ের পর ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। দলের কিছু কর্মকর্তা ও ভোটার হতবাক হয়ে পড়েছেন এবং আত্মসমালোচনায় মগ্ন হয়েছেন।
মাত্র তিন মাস আগে নির্বাচনি দৌঁড়ে নামা হ্যারিসের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা কমই ছিল। তবে হ্যারিসের পরাজয়ের ধরন পার্টির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
সবচেয়ে তীব্র সমালোচনা উঠেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মানসিক সক্ষমতা নিয়ে। দলটির নেতারা দাবি করেন, বাইডেনের স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে সমর্থকদের ভুল ধারণা দেওয়া হয়েছে। জুন মাসে ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেওয়ার সময় বাইডেনের স্বাস্থ্যের অবস্থা প্রকাশ পায় এবং তা থেকে দলের অস্বস্তি শুরু হয়।
এক ডেমোক্র্যাট দাতা প্রশ্ন তুলেছেন, “বাইডেন কেন প্রার্থী হিসেবে এতদিন থেকে গেলেন? তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনগণের কাছে সততা বজায় রাখা উচিত ছিল।”
৮১ বছর বয়সী বাইডেন মনে করতেন তিনিই একমাত্র ডেমোক্র্যাট যিনি ট্রাম্পকে হারাতে পারেন। জুলাই মাসে তিনি দৌঁড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন, কিন্তু এপ্রিলে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই দলের কিছু অংশ সংশয় প্রকাশ করে আসছিল।
এক ডেমোক্র্যাট কর্মকর্তা বাইডেনের ঘনিষ্ঠ চক্রের অসততার জন্য পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। হ্যারিসের শিবিরের এক সহযোগী জানান, অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্টের প্রতি আনুগত্যের কারণে হ্যারিস বিপর্যয়ের মুখে পড়েন। তিনি যদি বাইডেনের বিরোধিতা করে নতুন কোনো প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসতেন তবে হয়তো পার্টির জয় সম্ভব ছিল।
অন্যদিকে, পশ্চিমা অনেক দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও উদারপন্থি দলগুলো অভিবাসন নিয়ে চাপের মুখে আছে। এর মধ্যেই হ্যারিসের পরাজয়ের বিষয়টি দলের ভেতরে আরও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কিছু দাতা এবং ভোটার পার্টির কাছ থেকে জবাবদিহিতা চাইছেন।
দীর্ঘ সময় ধরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে সমর্থনকারী হলেও এবার ট্রাম্পকে সমর্থন জানানো হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপক বিল অ্যাকম্যান মন্তব্য করেন, “দলের নতুন করে শুরু করা দরকার।”