এশিয়া ও আমেরিকায় প্রায় ২৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এমন এলাকায় বসবাস করছেন যেখানে জলবায়ু উষ্ণায়নের প্রভাবে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্বিগুণ হতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
ডেঙ্গুর মৃদু সংক্রমণ উপসর্গহীন হতে পারে, কিন্তু গুরুতর সংক্রমণে দেখা দিতে পারে জ্বর, ফ্লুর মতো লক্ষণ, রক্তপাত, এবং রক্তচাপের হঠাৎ পতনের মতো সমস্যাগুলো, যা প্রাণঘাতী হতে পারে। ডেঙ্গুর জন্য এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই, তবে রোগ প্রতিরোধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
গবেষণাটি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানার নিউ অরলিন্সে অনুষ্ঠিত ‘আমেরিকান সোসাইটি অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন’ সম্মেলনে উপস্থাপিত হয়েছে। গবেষণার ফলাফল অনুসারে, বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ১৯ শতাংশ ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা আইপিসিসি-এর গবেষকদের অনুমান, ২০৫০ সালের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ গড়ে ৬১ শতাংশ বাড়বে, এবং কিছু শীতপ্রধান অঞ্চলে তা দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. এরিন মরডেকাই বলেন, "আমরা এশিয়া ও আমেরিকার ২১টি দেশের ডেঙ্গু সংক্রমণ এবং জলবায়ুর প্রভাব বিশ্লেষণ করেছি। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং ডেঙ্গু সংক্রমণের মধ্যে একটি স্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।"
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, তাপমাত্রা ছাড়াও বৃষ্টিপাতের প্যাটার্ন, ঋতু পরিবর্তন, ভাইরাসের ধরন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব ডেঙ্গুর প্রকোপকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে তাপমাত্রার পরিবর্তনের একটি স্বতন্ত্র প্রভাব রয়েছে যা ডেঙ্গুর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আমেরিকার বিভিন্ন দেশে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৪৬ লাখের মতো। এইডিস ইজিপ্টি এবং এইডিস অ্যালবোপিকটাস মশা, যা সাধারণত ডেঙ্গু ছড়ায়, ২০ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ব্যাপক হারে ডেঙ্গু ভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম।
আগামী কয়েক দশকে পেরু, মেক্সিকো, বলিভিয়া, এবং ব্রাজিলের কিছু এলাকায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ ১৫০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। বৈশ্বিক জলবায়ুর মডেলগুলো ইঙ্গিত করছে, কার্বন নির্গমন কমলেও তাপমাত্রার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, যদিও কয়েকটি দেশ কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী অবস্থায় আছে, তবুও এই দেশগুলোর মধ্যে ১৭টি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
এশিয়া ও আমেরিকায় প্রায় ২৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এমন এলাকায় বসবাস করছেন যেখানে জলবায়ু উষ্ণায়নের প্রভাবে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্বিগুণ হতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
ডেঙ্গুর মৃদু সংক্রমণ উপসর্গহীন হতে পারে, কিন্তু গুরুতর সংক্রমণে দেখা দিতে পারে জ্বর, ফ্লুর মতো লক্ষণ, রক্তপাত, এবং রক্তচাপের হঠাৎ পতনের মতো সমস্যাগুলো, যা প্রাণঘাতী হতে পারে। ডেঙ্গুর জন্য এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই, তবে রোগ প্রতিরোধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
গবেষণাটি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানার নিউ অরলিন্সে অনুষ্ঠিত ‘আমেরিকান সোসাইটি অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন’ সম্মেলনে উপস্থাপিত হয়েছে। গবেষণার ফলাফল অনুসারে, বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ১৯ শতাংশ ডেঙ্গুর সংক্রমণ ঘটছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংস্থা আইপিসিসি-এর গবেষকদের অনুমান, ২০৫০ সালের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ গড়ে ৬১ শতাংশ বাড়বে, এবং কিছু শীতপ্রধান অঞ্চলে তা দ্বিগুণেরও বেশি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. এরিন মরডেকাই বলেন, "আমরা এশিয়া ও আমেরিকার ২১টি দেশের ডেঙ্গু সংক্রমণ এবং জলবায়ুর প্রভাব বিশ্লেষণ করেছি। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং ডেঙ্গু সংক্রমণের মধ্যে একটি স্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে।"
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, তাপমাত্রা ছাড়াও বৃষ্টিপাতের প্যাটার্ন, ঋতু পরিবর্তন, ভাইরাসের ধরন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব ডেঙ্গুর প্রকোপকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে তাপমাত্রার পরিবর্তনের একটি স্বতন্ত্র প্রভাব রয়েছে যা ডেঙ্গুর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আমেরিকার বিভিন্ন দেশে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৪৬ লাখের মতো। এইডিস ইজিপ্টি এবং এইডিস অ্যালবোপিকটাস মশা, যা সাধারণত ডেঙ্গু ছড়ায়, ২০ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ব্যাপক হারে ডেঙ্গু ভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম।
আগামী কয়েক দশকে পেরু, মেক্সিকো, বলিভিয়া, এবং ব্রাজিলের কিছু এলাকায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ ১৫০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। বৈশ্বিক জলবায়ুর মডেলগুলো ইঙ্গিত করছে, কার্বন নির্গমন কমলেও তাপমাত্রার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, যদিও কয়েকটি দেশ কার্বন নির্গমন কমিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী অবস্থায় আছে, তবুও এই দেশগুলোর মধ্যে ১৭টি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।