ভারতের পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ ও হট্টগোলের জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আদানি গ্রুপ ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছেন। এই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে একটি আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার পাশাপাশি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
বিরোধী দলগুলো কংগ্রেসের নেতৃত্বে এই ইস্যুতে আলোচনা দাবি করে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “আদানি কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা ভারতের বৈশ্বিক ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত, তাই এটি সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।”
উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় জানান, তিনি আদানি ইস্যুতে এমপিদের ১৩টি নোটিশ পেয়েছেন। তবে নিয়ম অনুসারে সেগুলো অগ্রহণযোগ্য হওয়ায় আলোচনা অনুমোদন করতে পারেননি। এ নিয়ে শুরু হয় হট্টগোল। পরে রাজ্যসভা ও লোকসভা উভয় কক্ষই বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
এদিকে, আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলার প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। ডলার বন্ডের মূল্য এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়ায় এবং ব্যাংকগুলোর ঋণ স্থগিত করায় এই দরপতন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ইস্যুতে ভারতের রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
ভারতের পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ ও হট্টগোলের জেরে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য আদানি গ্রুপ ভারতীয় কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছেন। এই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে একটি আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার পাশাপাশি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
বিরোধী দলগুলো কংগ্রেসের নেতৃত্বে এই ইস্যুতে আলোচনা দাবি করে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “আদানি কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা ভারতের বৈশ্বিক ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত, তাই এটি সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।”
উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় জানান, তিনি আদানি ইস্যুতে এমপিদের ১৩টি নোটিশ পেয়েছেন। তবে নিয়ম অনুসারে সেগুলো অগ্রহণযোগ্য হওয়ায় আলোচনা অনুমোদন করতে পারেননি। এ নিয়ে শুরু হয় হট্টগোল। পরে রাজ্যসভা ও লোকসভা উভয় কক্ষই বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
এদিকে, আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলার প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। ডলার বন্ডের মূল্য এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়ায় এবং ব্যাংকগুলোর ঋণ স্থগিত করায় এই দরপতন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ইস্যুতে ভারতের রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।