পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে শান্তি বজায় রাখতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠানোর জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ প্রস্তাব তোলেন।
বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ চেয়ে মমতা বলেন, “আমাদের পরিবার, সম্পত্তি এবং প্রিয় মানুষরা বাংলাদেশে আছেন। বাংলাদেশে কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী নিপীড়নের শিকার হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। ভারত সরকার বিষয়টি জাতিসংঘে তুলে ধরে শান্তিরক্ষী পাঠানোর ব্যবস্থা করুক।”
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ চাই।
মমতার এ বক্তব্য এসেছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) তিনজন পুরোহিত গ্রেপ্তারের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা বলেন, “যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। প্রয়োজনে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।”
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন। জয়শঙ্কর পরে পার্লামেন্টে বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়টি ভারত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন।
মমতা অভিযোগ করেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ১০ দিন ধরে এ বিষয়ে নীরব রয়েছে। বিজেপি শুধু হুমকি দিচ্ছে, কিন্তু কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না।”
তিনি জানান, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাজ্য সরকারের নেই, তবে কেন্দ্রীয় সরকার যেকোনো পদক্ষেপ নিলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তার প্রতি সমর্থন জানাবে।
বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শান্তিরক্ষী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে মমতার আহ্বান নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে শান্তি বজায় রাখতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠানোর জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ প্রস্তাব তোলেন।
বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ চেয়ে মমতা বলেন, “আমাদের পরিবার, সম্পত্তি এবং প্রিয় মানুষরা বাংলাদেশে আছেন। বাংলাদেশে কোনো ধর্মীয় গোষ্ঠী নিপীড়নের শিকার হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। ভারত সরকার বিষয়টি জাতিসংঘে তুলে ধরে শান্তিরক্ষী পাঠানোর ব্যবস্থা করুক।”
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ চাই।
মমতার এ বক্তব্য এসেছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) তিনজন পুরোহিত গ্রেপ্তারের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা বলেন, “যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। প্রয়োজনে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারি।”
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন। জয়শঙ্কর পরে পার্লামেন্টে বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়টি ভারত গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন।
মমতা অভিযোগ করেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ১০ দিন ধরে এ বিষয়ে নীরব রয়েছে। বিজেপি শুধু হুমকি দিচ্ছে, কিন্তু কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না।”
তিনি জানান, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাজ্য সরকারের নেই, তবে কেন্দ্রীয় সরকার যেকোনো পদক্ষেপ নিলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তার প্রতি সমর্থন জানাবে।
বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শান্তিরক্ষী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে মমতার আহ্বান নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।