দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্বল্পকালীন সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে ফের অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি তিনি।
শনিবার পার্লামেন্টে আবাবও অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে বলে জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা মিউং।
শুক্রবার প্রেসিডেন্টের দলের সদস্যদেরকে অভিশংসন সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা মিউং এই ঘোষণা দেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন। তার এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়।
পরে প্রবল বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু তার এই পদক্ষেপে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। গণতান্ত্রিক সাফল্যের গাথা রচনাকারী দক্ষিণ কোরিয়ার অর্জিত সুনাম নষ্ট হওয়ার হুমকি তৈরি হয়। বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পড়েন ইউন।
এর আগে, গত শনিবার ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান। তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টের ওই অধিবেশন বয়কট করায় বেঁচে যান। কিন্তু শনিবারের অভিশংসন উদ্যোগ থেকে ইউন রক্ষা নাও পেতে পারেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিরোধী দলগুলো স্থানীয় সময় শনিবার বিকা0ল ৪টায় অভিশংসন ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে।
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাসীন পিপিপি’র অন্তত ৭ জন সদস্য এই ভোটে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাস হতে হলে পিপিপির কমপক্ষে আটজন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। আপাতত সেই সংখ্যার প্রায় কাছাকাছিই সমর্থন দেখা যাচ্ছে।
ইউনের অভিশংসনের সমর্থনকারী পিপিপির আইনপ্রণেতা আন চেওল-সু এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন, জনগণের জীবিকা, অর্থনীতি ও কূটনীতি দ্রুত স্থিতিশীলতার স্বার্থে তিনি অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন।
অন্যদিকে, শনিবার দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি বলেছে, “ইউনের ‘পাগলামি’ আর সহ্য করা যাবে না।”
ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে অভিশংসনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “অভিশংসন প্রত্যাখ্যান করা জনগণের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা।”
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং বলেছেন, দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সর্বোত্তম উপায় হল প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসন করা।
তবে, ইউন বৃহস্পতিবারই দ্বিতীয় অভিশংসন প্রচেষ্টার মুখে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। সরকারকে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য তিনি বিরোধী দলকে দোষারোপ করেন। এমনকি নির্বাচন কমিশনে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং এপ্রিলের পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দলের শোচনীয় পরাজয় ডেকে এনেছে বলে ইউন দাবি করেন।
ওদিকে, বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং প্রেসিডেন্ট ইউনের মন্তব্যকে ‘জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, “ইউনের এমন কথাই প্রমাণ করেছে যে, এই বিভ্রান্তি সবচেয়ে দ্রুত দূর করার সর্বোত্তম পন্থা হল অভিশংসন।”
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্বল্পকালীন সামরিক আইন জারিকে কেন্দ্র করে ফের অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি তিনি।
শনিবার পার্লামেন্টে আবাবও অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে বলে জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা মিউং।
শুক্রবার প্রেসিডেন্টের দলের সদস্যদেরকে অভিশংসন সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা মিউং এই ঘোষণা দেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন। তার এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়।
পরে প্রবল বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু তার এই পদক্ষেপে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। গণতান্ত্রিক সাফল্যের গাথা রচনাকারী দক্ষিণ কোরিয়ার অর্জিত সুনাম নষ্ট হওয়ার হুমকি তৈরি হয়। বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পড়েন ইউন।
এর আগে, গত শনিবার ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান। তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টের ওই অধিবেশন বয়কট করায় বেঁচে যান। কিন্তু শনিবারের অভিশংসন উদ্যোগ থেকে ইউন রক্ষা নাও পেতে পারেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, বিরোধী দলগুলো স্থানীয় সময় শনিবার বিকা0ল ৪টায় অভিশংসন ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে।
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাসীন পিপিপি’র অন্তত ৭ জন সদস্য এই ভোটে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাস হতে হলে পিপিপির কমপক্ষে আটজন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। আপাতত সেই সংখ্যার প্রায় কাছাকাছিই সমর্থন দেখা যাচ্ছে।
ইউনের অভিশংসনের সমর্থনকারী পিপিপির আইনপ্রণেতা আন চেওল-সু এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন, জনগণের জীবিকা, অর্থনীতি ও কূটনীতি দ্রুত স্থিতিশীলতার স্বার্থে তিনি অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন।
অন্যদিকে, শনিবার দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি বলেছে, “ইউনের ‘পাগলামি’ আর সহ্য করা যাবে না।”
ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে অভিশংসনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলটি এক বিবৃতিতে বলেছে, “অভিশংসন প্রত্যাখ্যান করা জনগণের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা।”
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং বলেছেন, দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সর্বোত্তম উপায় হল প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অভিশংসন করা।
তবে, ইউন বৃহস্পতিবারই দ্বিতীয় অভিশংসন প্রচেষ্টার মুখে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। সরকারকে পঙ্গু করে দেওয়ার জন্য তিনি বিরোধী দলকে দোষারোপ করেন। এমনকি নির্বাচন কমিশনে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং এপ্রিলের পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার দলের শোচনীয় পরাজয় ডেকে এনেছে বলে ইউন দাবি করেন।
ওদিকে, বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং প্রেসিডেন্ট ইউনের মন্তব্যকে ‘জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, “ইউনের এমন কথাই প্রমাণ করেছে যে, এই বিভ্রান্তি সবচেয়ে দ্রুত দূর করার সর্বোত্তম পন্থা হল অভিশংসন।”