আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় জেল ও জরিমানা থেকে রেহাই পেলেন। শুক্রবার নিউ ইয়র্ক আদালতের শুনানিতে তাকে নিঃশর্ত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শুনানিতে ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে হাজির হন ট্রাম্প। তার পাশে ছিলেন আইনজীবীরা। মামলার শুনানির আগে ট্রাম্পের আইনজীবীরা এই বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের আবেদন করেছিলেন, তবে সেটি নাকচ হয়ে যায়। এর পরই বিচারপতি হুয়ান মার্চান শুনানি ও রায় ঘোষণা করেন।
বিচারপতি মার্চান এ মামলার রায়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ট্রাম্পকে কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড দেওয়া হবে না। তিনি বলেছিলেন, “আমি মনে করি না ট্রাম্পের এই মামলায় সাজা দেওয়া উচিত। বরং তাকে নিঃশর্ত অব্যাহতি দেওয়া উচিত।” শুক্রবার আদালতের রায়ে ট্রাম্পকে খালাস দেওয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত করা হয়। ফলে এ মামলায় কারাবাস বা অর্থদণ্ড, কোনোটাই আর তাকে ভোগ করতে হবে না।
২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখতে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার প্রদান করেন ট্রাম্প। অভিযোগ ওঠে, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি ব্যবসায়িক নথিতে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ৩৪টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
গত বছরের মে মাসে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সেই মামলার সাজা ঘোষণার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৬ নভেম্বর।
এরই মধ্যে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এ অবস্থায় বিচারপতি মার্চান তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার তারিখ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেন। ট্রাম্পের এই বিজয় তার রাজনৈতিক শক্তি আরও মজবুত করে।
শেষ পর্যন্ত বিচারপতি ট্রাম্পের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব প্রকাশ করেন। শুক্রবারের শুনানিতে তাকে কোনও শাস্তি না দিয়ে খালাস দেওয়ার রায় দেন। আদালতের এমন সিদ্ধান্তে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পথে আর কোনও বাধা রইল না।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতের রায়কে “ন্যায়বিচারের জয়” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে এ মামলায় ট্রাম্পের সমালোচকরা এই সিদ্ধান্তকে পক্ষপাতমূলক বলে দাবি করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য এই রায় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকল। এর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৫ সালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার পথ আরও মসৃণ করলেন।
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্ন তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় জেল ও জরিমানা থেকে রেহাই পেলেন। শুক্রবার নিউ ইয়র্ক আদালতের শুনানিতে তাকে নিঃশর্ত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শুনানিতে ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে হাজির হন ট্রাম্প। তার পাশে ছিলেন আইনজীবীরা। মামলার শুনানির আগে ট্রাম্পের আইনজীবীরা এই বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের আবেদন করেছিলেন, তবে সেটি নাকচ হয়ে যায়। এর পরই বিচারপতি হুয়ান মার্চান শুনানি ও রায় ঘোষণা করেন।
বিচারপতি মার্চান এ মামলার রায়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ট্রাম্পকে কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড দেওয়া হবে না। তিনি বলেছিলেন, “আমি মনে করি না ট্রাম্পের এই মামলায় সাজা দেওয়া উচিত। বরং তাকে নিঃশর্ত অব্যাহতি দেওয়া উচিত।” শুক্রবার আদালতের রায়ে ট্রাম্পকে খালাস দেওয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত করা হয়। ফলে এ মামলায় কারাবাস বা অর্থদণ্ড, কোনোটাই আর তাকে ভোগ করতে হবে না।
২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখতে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার প্রদান করেন ট্রাম্প। অভিযোগ ওঠে, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি ব্যবসায়িক নথিতে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ৩৪টি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
গত বছরের মে মাসে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত ট্রাম্পকে এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সেই মামলার সাজা ঘোষণার জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৬ নভেম্বর।
এরই মধ্যে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এ অবস্থায় বিচারপতি মার্চান তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার তারিখ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেন। ট্রাম্পের এই বিজয় তার রাজনৈতিক শক্তি আরও মজবুত করে।
শেষ পর্যন্ত বিচারপতি ট্রাম্পের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব প্রকাশ করেন। শুক্রবারের শুনানিতে তাকে কোনও শাস্তি না দিয়ে খালাস দেওয়ার রায় দেন। আদালতের এমন সিদ্ধান্তে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পথে আর কোনও বাধা রইল না।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা আদালতের রায়কে “ন্যায়বিচারের জয়” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে এ মামলায় ট্রাম্পের সমালোচকরা এই সিদ্ধান্তকে পক্ষপাতমূলক বলে দাবি করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য এই রায় রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকল। এর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৫ সালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার পথ আরও মসৃণ করলেন।