alt

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়াবে: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার ধ্বংসাত্মক হামলা এবং এ কাজে যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বাকি জীবন ‘তাড়িয়ে বেড়াবে’ বলে মনে করেন সাবেক মার্কিন কূটনীতিক হালা রারিত।

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিবাদ জানাতে গত বছর এপ্রিলে পদত্যাগ করেছিলেন হালা রারিত। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করতেন।

টেলিফোনে এক সাক্ষাৎকারে রারিত আল–জাজিরাকে বলেন, গাজায় নির্যাতন ও নিপীড়নের তথ্য–প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের করা আইনকানুন উপেক্ষা করে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে গেছে।

রারিত আরও বলেন, ‘তারা ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘন করেছে এবং আইনকে উপেক্ষা করে গেছে। এই “ইচ্ছাকৃত” শব্দটি আমি একদমই হালকাভাবে বলিনি। যখন আমি একজন কূটনীতিকের দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সুরক্ষার শপথ নিয়েছিলাম।’

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ করে যাওয়া নিয়ে রারিত আরও বলেন, ‘তারা জানত এটি কতটা বিপর্যয়কর হতে পারে। তারপরও তারা অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সব ধরনের প্রক্রিয়া ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা জানত, এটি কতটা বিপর্যয়কর। এরপরও পুরো প্রক্রিয়াকে ফাঁকি দিয়ে তারা অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।’

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কাছে অস্ত্র হস্তান্তর নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি আইন রয়েছে। এর মধ্যে একটি আইনে ওয়াশিংটন-সমর্থিত মানবিক সহায়তায় বাধা দানকারী দেশের ওপর নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা আছে।

দ্য লেহি আইনে ওই সব সামরিক ইউনিট, যাদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে।

১৫ মাস ধরে গাজা যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত সেখানে ৪৬ হাজার ৮৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল সেখানে ত্রাণ বিতরণেও বাধা দিচ্ছে। এ কারণে ছোট্ট ওই ভূখণ্ডের কয়েক লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

অথচ ব্লিঙ্কেন গাজায় ইসরায়েল মানবিক সহায়তা বিতরণে বাধা দিচ্ছে না বলে মার্কিন কংগ্রেসকে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। মানবিক সহায়তা দানকারী বিভিন্ন সংস্থা বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মূল্যায়ন নাকচ করে দিয়েছিল।

ব্লিঙ্কেনের ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন সময় তাকে ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। তার বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে।

এ সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে আটলান্টিক কাউন্সিলে ব্লিঙ্কেন বক্তৃতা দেওয়ার সময় বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মী তাঁকে ‘গণহত্যার পররাষ্ট্রমন্ত্রী’ বলে স্লোগান দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে শেষ সংবাদ সম্মেলনে এসে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের তোপের মুখে পড়েছিলেন ব্লিঙ্কেন।

ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যাকারী ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য ওই দিন তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন সাংবাদিকেরা। সেখানে হট্টগোল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে নিরাপত্তাকর্মীদের দুই সাংবাদিককে জোর করে ওই কক্ষের বাইরে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল।

রারিত বলেন, ‘এটা তাকে তার বাকি জীবন তাড়িয়ে বেড়াবে। নিশ্চিতভাবেই, ইতিহাস তার বিচার করবে এবং এখনই ওই কাজ শুরু হয়ে গেছে।’

ছবি

ইসরায়েলকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ: বিনিয়োগ প্রত্যাহার করল নরওয়ের বৃহৎ পেনশন কোম্পানি কেএলপি

ছবি

‘শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর, দেখা যায় খালি চোখেও’

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্ত করার দাবিতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ

ইরান শান্তি চাইলে উঠে যেতে পারে নিষেধাজ্ঞা: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে: ইরান

ছবি

হুমকি ও শান্তির বার্তা, গাজা নিয়ে দ্বৈত নীতি

পাকিস্তানের জন্য ৩৪০ কোটি ডলারের ঋণ নবায়ন করলো চীন

ছবি

আলোচনা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে হামলার চিন্তা বাদ দিতে হবে: ইরান

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ৭২

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মী নিহত

ছবি

সার্বিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, উত্তাল বেলগ্রেড

‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ : ফের ট্রাম্পের সমালোচনায় ইলন মাস্ক

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে অভিযোগ ইরানের

ইরান কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে

নেতানিয়াহুর দুর্নীতির বিচার বন্ধ করতে চান ট্রাম্প

ছবি

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি চুক্তির উদ্যোগের পরও গাজায় থেমে নেই হত্যাযজ্ঞ

ছবি

পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টি ও হঠাৎ বন্যায় দুই দিনে ৩২ জনের মৃত্যু

ছবি

পুরিতে রথযাত্রায় ভিড়ের চাপে পিষ্ট হয়ে নিহত ৩, আহত ১০

ছবি

নর্থ ওয়াজিরিস্তানে সামরিক বহরে আত্মঘাতী হামলা, শিশু আহত ছয়

কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বন্ধ করছেন ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনের শহর দখল করতে ১ লাখের বেশি সেনা জড়ো করেছে রাশিয়া

ছবি

বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও ইরানের সমর্থন নিয়ে অনিশ্চয়তা, অস্তিত্ব-সংকটে হামাস

ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ ইরানি সাংবাদিক

ছবি

শোক-সমবেদনায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের স্মরণ করলেন ইরানিরা

আল-আকসা চত্বরে নাচ-গানের অনুমতি দিল ইসরায়েল

ছবি

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী ভারতের সংসদ সদস্যরা

ছবি

নতুন এমআই-সিক্স প্রধানের দাদা ছিলেন হিটলারের ‘গুপ্তচর’

ছবি

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যচুক্তিতে সই, জানালেন ট্রাম্প

ছবি

খামেনিকে একহাত নিলেন ট্রাম্প, পারমাণবিক কর্মসূচি চালালে ইরানে ফের হামলার হুমকি

ছবি

বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

ইসরায়েল চেয়েছিল খামেনিকে হত্যা করতে, কিন্তু সুযোগ মেলেনি: প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক

ছবি

‘সন্ত্রাসবাদ’ নিয়ে ঐকমত্যের অভাবে যৌথ বিবৃতিতে ভারতের অস্বীকৃতি

যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক ইরানি সেনাসহ গ্রেপ্তার ১৩০

ছবি

মধ্যপ্রাচ্যে কীভাবে সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল

গাজায় মানবিক পরিস্থিতি ‘বিপর্যয়কর’: ইউরোপীয় কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট

tab

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে আজীবন তাড়িয়ে বেড়াবে: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার ধ্বংসাত্মক হামলা এবং এ কাজে যুক্তরাষ্ট্রের নিঃশর্ত সমর্থন বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বাকি জীবন ‘তাড়িয়ে বেড়াবে’ বলে মনে করেন সাবেক মার্কিন কূটনীতিক হালা রারিত।

গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিবাদ জানাতে গত বছর এপ্রিলে পদত্যাগ করেছিলেন হালা রারিত। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করতেন।

টেলিফোনে এক সাক্ষাৎকারে রারিত আল–জাজিরাকে বলেন, গাজায় নির্যাতন ও নিপীড়নের তথ্য–প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের করা আইনকানুন উপেক্ষা করে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে গেছে।

রারিত আরও বলেন, ‘তারা ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘন করেছে এবং আইনকে উপেক্ষা করে গেছে। এই “ইচ্ছাকৃত” শব্দটি আমি একদমই হালকাভাবে বলিনি। যখন আমি একজন কূটনীতিকের দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সুরক্ষার শপথ নিয়েছিলাম।’

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ করে যাওয়া নিয়ে রারিত আরও বলেন, ‘তারা জানত এটি কতটা বিপর্যয়কর হতে পারে। তারপরও তারা অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সব ধরনের প্রক্রিয়া ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে। তারা জানত, এটি কতটা বিপর্যয়কর। এরপরও পুরো প্রক্রিয়াকে ফাঁকি দিয়ে তারা অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।’

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের কাছে অস্ত্র হস্তান্তর নিষিদ্ধ করে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি আইন রয়েছে। এর মধ্যে একটি আইনে ওয়াশিংটন-সমর্থিত মানবিক সহায়তায় বাধা দানকারী দেশের ওপর নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা আছে।

দ্য লেহি আইনে ওই সব সামরিক ইউনিট, যাদের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে।

১৫ মাস ধরে গাজা যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত সেখানে ৪৬ হাজার ৮৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল সেখানে ত্রাণ বিতরণেও বাধা দিচ্ছে। এ কারণে ছোট্ট ওই ভূখণ্ডের কয়েক লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

অথচ ব্লিঙ্কেন গাজায় ইসরায়েল মানবিক সহায়তা বিতরণে বাধা দিচ্ছে না বলে মার্কিন কংগ্রেসকে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। মানবিক সহায়তা দানকারী বিভিন্ন সংস্থা বাইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মূল্যায়ন নাকচ করে দিয়েছিল।

ব্লিঙ্কেনের ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন সময় তাকে ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। তার বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ হয়েছে।

এ সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে আটলান্টিক কাউন্সিলে ব্লিঙ্কেন বক্তৃতা দেওয়ার সময় বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মী তাঁকে ‘গণহত্যার পররাষ্ট্রমন্ত্রী’ বলে স্লোগান দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে শেষ সংবাদ সম্মেলনে এসে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের তোপের মুখে পড়েছিলেন ব্লিঙ্কেন।

ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যাকারী ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য ওই দিন তাঁকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন সাংবাদিকেরা। সেখানে হট্টগোল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে নিরাপত্তাকর্মীদের দুই সাংবাদিককে জোর করে ওই কক্ষের বাইরে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল।

রারিত বলেন, ‘এটা তাকে তার বাকি জীবন তাড়িয়ে বেড়াবে। নিশ্চিতভাবেই, ইতিহাস তার বিচার করবে এবং এখনই ওই কাজ শুরু হয়ে গেছে।’

back to top