ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিকে আবারও ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে হুতিদের সহায়তাকারী যেকোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও’র এক বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হুতিদের কার্যক্রম মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নাগরিক ও সামরিক বাহিনীর জন্য হুমকি তৈরি করছে। পাশাপাশি, এই গোষ্ঠী আঞ্চলিক মিত্রদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বৈধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নামে কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানকে হুতিদের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে লেনদেন করতে দেবে না।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প হুতিদের সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেন। এর আগে তার প্রথম মেয়াদে হুতিকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ এবং ‘বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে মনোনীত সন্ত্রাসী সংগঠন (এসডিজিটি)’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
তবে ২০২১ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইয়েমেনে চলমান মানবিক সংকট বিবেচনায় রেখে হুতিদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’ জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে দাবি করে, বাইডেন প্রশাসনের ‘দুর্বল নীতির’ কারণে হুতিরা মার্কিন নৌবাহিনী ও বাণিজ্যিক জাহাজে একের পর এক হামলা চালানোর সুযোগ পেয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাইডেনের নীতির কারণে হুতিরা ১০০ বারেরও বেশি বেসামরিক অবকাঠামো ও জাহাজে হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে তাদের আক্রমণ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নেবে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে হুতিদের সামরিক সক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস করা হবে।’ উল্লেখ্য, গাজায় চলমান যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে হুতিরা একাধিক বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। এই হামলাগুলোই মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫
ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিকে আবারও ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে হুতিদের সহায়তাকারী যেকোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও’র এক বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হুতিদের কার্যক্রম মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নাগরিক ও সামরিক বাহিনীর জন্য হুমকি তৈরি করছে। পাশাপাশি, এই গোষ্ঠী আঞ্চলিক মিত্রদের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বৈধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নামে কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানকে হুতিদের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে লেনদেন করতে দেবে না।’
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ট্রাম্প হুতিদের সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেন। এর আগে তার প্রথম মেয়াদে হুতিকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ এবং ‘বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে মনোনীত সন্ত্রাসী সংগঠন (এসডিজিটি)’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
তবে ২০২১ সালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইয়েমেনে চলমান মানবিক সংকট বিবেচনায় রেখে হুতিদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’ জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে দাবি করে, বাইডেন প্রশাসনের ‘দুর্বল নীতির’ কারণে হুতিরা মার্কিন নৌবাহিনী ও বাণিজ্যিক জাহাজে একের পর এক হামলা চালানোর সুযোগ পেয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বাইডেনের নীতির কারণে হুতিরা ১০০ বারেরও বেশি বেসামরিক অবকাঠামো ও জাহাজে হামলা চালিয়েছে। লোহিত সাগরে তাদের আক্রমণ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর অবস্থান নেবে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে হুতিদের সামরিক সক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস করা হবে।’ উল্লেখ্য, গাজায় চলমান যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে হুতিরা একাধিক বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। এই হামলাগুলোই মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।