ফিলিস্তিনের গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি দিতে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ‘শেষ সতর্কবার্তা’ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যথায় ‘নরকের পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক দীর্ঘ পোস্টে ট্রাম্প বলেন,‘জিম্মিদের এখনই মুক্তি দাও এবং যেসব মানুষকে তোমরা হত্যা করেছ, সবার মরদেহ ফেরত দাও। নয়তো এর দায় তোমাদের বহন করতে হবে।’
হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আলোচনা
হোয়াইট হাউস গতকাল বুধবার নিশ্চিত করেছে, জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত কোনো সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না করার নীতি অনুসরণ করলেও এবার সেই অবস্থান পরিবর্তন করেছে ওয়াশিংটন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট জানান, আলোচনা শুরুর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই কাজেই বিশ্বাসী, যা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা করে।’
এক ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, কয়েকবার যোগাযোগের পর হামাস ও একজন মার্কিন কর্মকর্তার মধ্যে ‘দুইবার সরাসরি বৈঠক’ হয়েছে।
গাজার সাধারণ জনগণকেও সতর্ক করলেন ট্রাম্প
হামাস নেতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘এখন গাজা ছেড়ে যাওয়ার সময়। এখনো তোমাদের জন্য সুযোগ রয়েছে।’ গাজার সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, যদি তোমরা জিম্মিদের আটকে না রাখো। যদি রাখো, তাহলে তোমরা শেষ।’
ইসরায়েলের দাবি ও মার্কিন সহায়তা
ইসরায়েল বলছে, গাজায় এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জনের মতো জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘কাজটি শেষ করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু আমি ইসরায়েলকে পাঠিয়েছি। আমি যা বলেছি, তা যদি তোমরা না করো, তাহলে একজন হামাস সদস্যও নিরাপদ থাকবে না।’ তবে তিনি কী ধরনের সহায়তা পাঠিয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
এর আগেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প
এটি প্রথম নয়, এর আগে গত ডিসেম্বরে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর অভিষেকের সময়ের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ‘নরকের পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া কয়েকজন জিম্মি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপরই তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পোস্ট দেন।
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
ফিলিস্তিনের গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি দিতে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ‘শেষ সতর্কবার্তা’ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যথায় ‘নরকের পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক দীর্ঘ পোস্টে ট্রাম্প বলেন,‘জিম্মিদের এখনই মুক্তি দাও এবং যেসব মানুষকে তোমরা হত্যা করেছ, সবার মরদেহ ফেরত দাও। নয়তো এর দায় তোমাদের বহন করতে হবে।’
হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আলোচনা
হোয়াইট হাউস গতকাল বুধবার নিশ্চিত করেছে, জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত কোনো সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না করার নীতি অনুসরণ করলেও এবার সেই অবস্থান পরিবর্তন করেছে ওয়াশিংটন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট জানান, আলোচনা শুরুর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই কাজেই বিশ্বাসী, যা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষা করে।’
এক ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, কয়েকবার যোগাযোগের পর হামাস ও একজন মার্কিন কর্মকর্তার মধ্যে ‘দুইবার সরাসরি বৈঠক’ হয়েছে।
গাজার সাধারণ জনগণকেও সতর্ক করলেন ট্রাম্প
হামাস নেতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘এখন গাজা ছেড়ে যাওয়ার সময়। এখনো তোমাদের জন্য সুযোগ রয়েছে।’ গাজার সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘সুন্দর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, যদি তোমরা জিম্মিদের আটকে না রাখো। যদি রাখো, তাহলে তোমরা শেষ।’
ইসরায়েলের দাবি ও মার্কিন সহায়তা
ইসরায়েল বলছে, গাজায় এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জনের মতো জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকও রয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘কাজটি শেষ করতে প্রয়োজনীয় সবকিছু আমি ইসরায়েলকে পাঠিয়েছি। আমি যা বলেছি, তা যদি তোমরা না করো, তাহলে একজন হামাস সদস্যও নিরাপদ থাকবে না।’ তবে তিনি কী ধরনের সহায়তা পাঠিয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
এর আগেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প
এটি প্রথম নয়, এর আগে গত ডিসেম্বরে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাঁর অভিষেকের সময়ের মধ্যে জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ‘নরকের পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া কয়েকজন জিম্মি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপরই তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই পোস্ট দেন।