বেশি পরিমাণে গাছ কাটা মানুষ হত্যার চেয়েও খারাপ বলে উল্লেখ করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। অবৈধভাবে কেটে ফেলা প্রতিটি গাছের জন্য এক ব্যক্তিকে ১ লাখ রুপি করে জরিমানা করার সময় দেশটির শীর্ষ আদালত এই মন্তব্য করে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভূঁইয়ার একটি বেঞ্চ সুরক্ষিত তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোনে ৪৫৪টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগে একজন ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে এই পর্যবেক্ষণ দেন। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের এই বেঞ্চ বলেছে, “পরিবেশগত বিষয়ে কোনও দয়া দেখানো উচিত নয়। বিপুল সংখ্যক গাছ কাটা একজন মানুষকে হত্যা করার চেয়েও খারাপ।” শীর্ষ আদালত বলেছে, অনুমতি ছাড়াই নির্বিচারে কেটে ফেলা ৪৫৪টি গাছের তৈরি সবুজ আচ্ছাদন পুনরায় তৈরি বা পুনরুজ্জীবিত করতে কমপক্ষে ১০০ বছর সময় লাগবে। এছাড়া আদালত কেন্দ্রীয় ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির (সিইসি) প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে, যেখানে মথুরা বৃন্দাবনের ডালমিয়া ফার্মে শিব শঙ্কর আগরওয়াল নামে একজনের ৪৫৪টি গাছ কাটার জন্য গাছপ্রতি ১ লাখ রুপি করে জরিমানা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আগরওয়ালের পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী মুকুল রোহাতগি যুক্তি দেন, তিনি ভুল স্বীকার করেছেন কিন্তু আদালত জরিমানার পরিমাণ কমাতে অস্বীকৃতি জানান। আদালত বলেছে, আগরওয়ালকে কাছাকাছি স্থানে বৃক্ষরোপণ করার অনুমতি দেওয়া উচিত এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অবমাননার আবেদনটি কেবল সম্মতি দেওয়ার পরেই নিষ্পত্তি করা হবে।
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
বেশি পরিমাণে গাছ কাটা মানুষ হত্যার চেয়েও খারাপ বলে উল্লেখ করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। অবৈধভাবে কেটে ফেলা প্রতিটি গাছের জন্য এক ব্যক্তিকে ১ লাখ রুপি করে জরিমানা করার সময় দেশটির শীর্ষ আদালত এই মন্তব্য করে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভূঁইয়ার একটি বেঞ্চ সুরক্ষিত তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোনে ৪৫৪টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগে একজন ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে এই পর্যবেক্ষণ দেন। ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের এই বেঞ্চ বলেছে, “পরিবেশগত বিষয়ে কোনও দয়া দেখানো উচিত নয়। বিপুল সংখ্যক গাছ কাটা একজন মানুষকে হত্যা করার চেয়েও খারাপ।” শীর্ষ আদালত বলেছে, অনুমতি ছাড়াই নির্বিচারে কেটে ফেলা ৪৫৪টি গাছের তৈরি সবুজ আচ্ছাদন পুনরায় তৈরি বা পুনরুজ্জীবিত করতে কমপক্ষে ১০০ বছর সময় লাগবে। এছাড়া আদালত কেন্দ্রীয় ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির (সিইসি) প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে, যেখানে মথুরা বৃন্দাবনের ডালমিয়া ফার্মে শিব শঙ্কর আগরওয়াল নামে একজনের ৪৫৪টি গাছ কাটার জন্য গাছপ্রতি ১ লাখ রুপি করে জরিমানা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আগরওয়ালের পক্ষে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী মুকুল রোহাতগি যুক্তি দেন, তিনি ভুল স্বীকার করেছেন কিন্তু আদালত জরিমানার পরিমাণ কমাতে অস্বীকৃতি জানান। আদালত বলেছে, আগরওয়ালকে কাছাকাছি স্থানে বৃক্ষরোপণ করার অনুমতি দেওয়া উচিত এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অবমাননার আবেদনটি কেবল সম্মতি দেওয়ার পরেই নিষ্পত্তি করা হবে।