যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ৯০টি বাণিজ্য চুক্তি করার উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই সময়টিতে বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চহারে শুল্ক স্থগিত থাকবে। তবে বাণিজ্য যুদ্ধের যে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এত স্বল্প সময়ে এতো চুক্তি সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ ইতোমধ্যেই বিশ্ববাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। চীনে মার্কিন পণ্য আমদানি প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে এবং যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও লাগাতার দরপতন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক আস্থা পুনরুদ্ধার এবং দ্রুত চুক্তি সম্পাদনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।
হোয়াইট হাউজের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো জানিয়েছেন, এই আলোচনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই প্রধান আলোচক হবেন। তাকে ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত হবে না বলেও জানান তিনি।
প্রথম দফায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য প্রধান মারোস সেফকোভিক ওয়াশিংটনে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আলোচনার মূল বিষয় থাকবে ইইউ পণ্যের ওপর ট্রাম্প ঘোষিত শুল্কারোপ। ইইউ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার।
তবে আলোচনার সময় ট্রাম্পের প্রধান বাণিজ্য আলোচক, অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট থাকবেন আর্জেন্টিনায়। ফলে তার অনুপস্থিতিতে কতটা কার্যকরভাবে একাধিক চুক্তি করা সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেক বাণিজ্য বিশ্লেষক।
সাবেক মার্কিন বাণিজ্য আলোচক ওয়েন্ডি কাটলার বলেন, “শুধু মাত্র ৯০ দিনে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য চুক্তি করা কোনো দেশের ক্ষেত্রেই সহজ কাজ নয়। এই ধরনের চুক্তি সময়সাপেক্ষ এবং গভীর আলোচনা ছাড়া সম্ভব নয়।”
অতীতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি ছোট চুক্তি করতে সময় নিয়েছিল ৮ মাস, আর কানাডা-মেক্সিকোর সঙ্গে সমন্বিত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে লেগেছিল দুই বছরের বেশি।
তবে পিটার নাভারো আশাবাদী। তিনি বলেন, “ট্রাম্প, স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক একসঙ্গে কাজ করলে ৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি সম্ভব।”
ট্রাম্প ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ৯০ দিনের মধ্যে দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে আসতে হবে। তিনি বলেন, “এটাই সুযোগ। এরপর পাল্টা শুল্ক কার্যকর হবে।”
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাস্তবতা হলো—সব দেশকে এই সময়সীমার মধ্যে না এনে কৌশলগতভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে ধাপে ধাপে চুক্তি করাই হতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যকর পথ।
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ৯০টি বাণিজ্য চুক্তি করার উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই সময়টিতে বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চহারে শুল্ক স্থগিত থাকবে। তবে বাণিজ্য যুদ্ধের যে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এত স্বল্প সময়ে এতো চুক্তি সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ ইতোমধ্যেই বিশ্ববাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। চীনে মার্কিন পণ্য আমদানি প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে এবং যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও লাগাতার দরপতন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক আস্থা পুনরুদ্ধার এবং দ্রুত চুক্তি সম্পাদনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর চাপ ক্রমেই বাড়ছে।
হোয়াইট হাউজের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো জানিয়েছেন, এই আলোচনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই প্রধান আলোচক হবেন। তাকে ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত হবে না বলেও জানান তিনি।
প্রথম দফায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য প্রধান মারোস সেফকোভিক ওয়াশিংটনে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আলোচনার মূল বিষয় থাকবে ইইউ পণ্যের ওপর ট্রাম্প ঘোষিত শুল্কারোপ। ইইউ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার।
তবে আলোচনার সময় ট্রাম্পের প্রধান বাণিজ্য আলোচক, অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট থাকবেন আর্জেন্টিনায়। ফলে তার অনুপস্থিতিতে কতটা কার্যকরভাবে একাধিক চুক্তি করা সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেক বাণিজ্য বিশ্লেষক।
সাবেক মার্কিন বাণিজ্য আলোচক ওয়েন্ডি কাটলার বলেন, “শুধু মাত্র ৯০ দিনে একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য চুক্তি করা কোনো দেশের ক্ষেত্রেই সহজ কাজ নয়। এই ধরনের চুক্তি সময়সাপেক্ষ এবং গভীর আলোচনা ছাড়া সম্ভব নয়।”
অতীতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি ছোট চুক্তি করতে সময় নিয়েছিল ৮ মাস, আর কানাডা-মেক্সিকোর সঙ্গে সমন্বিত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে লেগেছিল দুই বছরের বেশি।
তবে পিটার নাভারো আশাবাদী। তিনি বলেন, “ট্রাম্প, স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার এবং বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক একসঙ্গে কাজ করলে ৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি সম্ভব।”
ট্রাম্প ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ৯০ দিনের মধ্যে দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে আসতে হবে। তিনি বলেন, “এটাই সুযোগ। এরপর পাল্টা শুল্ক কার্যকর হবে।”
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাস্তবতা হলো—সব দেশকে এই সময়সীমার মধ্যে না এনে কৌশলগতভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশকে অগ্রাধিকার দিয়ে ধাপে ধাপে চুক্তি করাই হতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যকর পথ।