alt

আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্যে কেন মার্কিন ঘাঁটি, কোন কোন দেশে রয়েছে এসব ঘাঁটি

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছেন, ‘আমি ইরানের হাতে পারমাণবিক বোমা চাই না। পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত রাখার জন্য তাদের চুক্তি করতে হবে। তারা যদি চুক্তি না করে, তাহলে আমরা ইরানে বোমা ফেলব। আমরা এমনভাবে বোমা হামলা চালাব, যা তারা আগে কখনো দেখেনি।’

এমন এক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা শনিবার ওমানের রাজধানী মাসকাটে বৈঠক শুরু করেছেন। এই বৈঠক ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির আলাপ শুরুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমাদের আশঙ্কা, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, অন্য ১০টি দেশের মতো তারাও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি পরিচালনা করতে চায়।

ইরানে হামলা চালানোর ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো ইরানে হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু অঞ্চলটির অনেক দেশেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের কোন কোন দেশে কত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আছে, তাদের সক্ষমতা কেমন, তা সংক্ষেপে দেখে নেওয়া যাক।

যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করছে। এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে কাতারে। এটির নাম আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ঘাঁটিতে বিপুলসংখ্যক মার্কিন সেনা রয়েছেন। অঞ্চলটির আরও যেসব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, সেগুলো হলো বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এসব ঘাঁটিতে সাধারণ সময়ে প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন সেনা থাকেন। কিন্তু বড় কোনো অভিযানের সময়ে তা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলা শুরুর পর ২০১১ সাল নাগাদ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল এক লাখের বেশি। আর ২০০৩ সালে ইরাক হামলার পর ২০০৭ সালের মধ্যে এসব ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাসংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি।

উল্লিখিত দেশগুলোর বাইরে সিরিয়ার ছোট ছোট দু–একটি ঘাঁটিতে প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছেন, যাদের অধিকাংশই উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় অবস্থান করছেন। ইরাকে রয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা। যাদের একটি বড় অংশ থাকেন রাজধানী বাগদাদের তৃতীয় ইউএস ইউনিয়ন বা ফরোয়ার্ড অপারেটিং বেজে (এফওবি)।

ছবি

কাতারের কাছ থেকে ‘বিলাসবহুল উড়োজাহাজ উপহার নিচ্ছেন’ ট্রাম্প

ছবি

সব পাইলট ফিরে এসেছেন, ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধেরই অংশ: ভারতীয় বিমান বাহিনী

ছবি

রাফালের পতন, চীনা প্রযুক্তির উত্থান—আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধবিরতি

রাফালের পতন, চীনা প্রযুক্তির উত্থান—আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ায় যুদ্ধবিরতি

ছবি

মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যেই তড়িঘড়ি যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ

ছবি

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ভারত-পাকিস্তানের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প

পানি চুক্তি, কাশ্মিরসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করবে ভারত-পাকিস্তান

ছবি

ভারত-পাকিস্তান ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ, প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি ১০০ কোটি ডলার

ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের

ছবি

দক্ষিণ এশিয়ায় সংঘাতের নতুন অধ্যায়

ছবি

চারদিনের সংঘর্ষ শেষে সমঝোতা, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তেজনা

ছবি

অস্ত্রবিরতির পরও স্থগিতই থাকছে সিন্ধু পানি চুক্তি

ছবি

ইউক্রেইনের সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব পুতিনের

ছবি

ভারত-পাকিস্তান ‘ড্রোন যুদ্ধ’: সংঘাতের নতুন অধ্যায়

ছবি

অস্ত্রবিরতির পরও ‘স্থগিত’ থাকছে ভারত-পাকিস্তান পানি চুক্তি

ছবি

অস্ত্রবিরতির মধ্যেই শ্রীনগরে বিস্ফোরণের শব্দ, ট্রেসার শুটিংয়ের ভিডিও প্রকাশ

ছবি

অস্ত্রবিরতি মেনে চলার অঙ্গীকার; সতর্ক ও প্রস্তুত ভারতের সশস্ত্র বাহিনী

ছবি

যুদ্ধবিরতির পর সোমবার ফের আলোচনায় বসছে ভারত-পাকিস্তান

ছবি

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনা সংস্থার জরুরি বৈঠক ডেকেছে পাকিস্তান

ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস, দেড় লাখ ঘরবন্দী স্পেনে

ছবি

চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের

ছবি

রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে কিয়েভে ইউরোপীয় নেতারা

নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের গুলিতে ৩০ যাত্রী নিহত

ইকুয়েডরে সংঘর্ষে ১১ সেনা নিহত

সুদানে ড্রোন হামলা ও বোমাবর্ষণে ৩৩ জন নিহত

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে : ট্রাম্প

ছবি

ভারতের বিপক্ষে অভিযানের নাম ‘বুনিয়ান–উন–মারসুস’ হলো কেনো?

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’

ছবি

ভারতের ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটিতে হামলার দাবি পাকিস্তানের

ছবি

ভারতের সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলার দাবি পাকিস্তানের, কাশ্মীরে বিস্ফোরণের শব্দ

ছবি

যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানকে আইএমএফের ঋণ, ভারতের তীব্র আপত্তি

ছবি

তিন বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের সেনাবাহিনী

ছবি

বাংলাদেশ সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করল ভারতের মেঘালয়

ছবি

পাক-ভারত উত্তেজনার মধ্যেই বেলুচিস্তানের ‘স্বাধীনতা ঘোষণা’

ছবি

গাজায় চিরতরে বদলে গেছে জীবন

tab

আন্তর্জাতিক

মধ্যপ্রাচ্যে কেন মার্কিন ঘাঁটি, কোন কোন দেশে রয়েছে এসব ঘাঁটি

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছেন, ‘আমি ইরানের হাতে পারমাণবিক বোমা চাই না। পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত রাখার জন্য তাদের চুক্তি করতে হবে। তারা যদি চুক্তি না করে, তাহলে আমরা ইরানে বোমা ফেলব। আমরা এমনভাবে বোমা হামলা চালাব, যা তারা আগে কখনো দেখেনি।’

এমন এক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা শনিবার ওমানের রাজধানী মাসকাটে বৈঠক শুরু করেছেন। এই বৈঠক ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির আলাপ শুরুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমাদের আশঙ্কা, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাইছে। কিন্তু ইরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, অন্য ১০টি দেশের মতো তারাও শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি পরিচালনা করতে চায়।

ইরানে হামলা চালানোর ট্রাম্পের সাম্প্রতিক হুমকি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো ইরানে হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু অঞ্চলটির অনেক দেশেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের কোন কোন দেশে কত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আছে, তাদের সক্ষমতা কেমন, তা সংক্ষেপে দেখে নেওয়া যাক।

যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করছে। এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে কাতারে। এটির নাম আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ঘাঁটিতে বিপুলসংখ্যক মার্কিন সেনা রয়েছেন। অঞ্চলটির আরও যেসব দেশে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, সেগুলো হলো বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এসব ঘাঁটিতে সাধারণ সময়ে প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন সেনা থাকেন। কিন্তু বড় কোনো অভিযানের সময়ে তা কয়েক গুণ বাড়ানো হয়। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলা শুরুর পর ২০১১ সাল নাগাদ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল এক লাখের বেশি। আর ২০০৩ সালে ইরাক হামলার পর ২০০৭ সালের মধ্যে এসব ঘাঁটিতে মার্কিন সেনাসংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি।

উল্লিখিত দেশগুলোর বাইরে সিরিয়ার ছোট ছোট দু–একটি ঘাঁটিতে প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছেন, যাদের অধিকাংশই উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় অবস্থান করছেন। ইরাকে রয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা। যাদের একটি বড় অংশ থাকেন রাজধানী বাগদাদের তৃতীয় ইউএস ইউনিয়ন বা ফরোয়ার্ড অপারেটিং বেজে (এফওবি)।

back to top