যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার ব্যর্থ প্রচেষ্টার মধ্যে ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে কোনো সমঝোতা হলেও গাজায় তাদের বাহিনী যে বাফার জোন তৈরি করেছে, তা তারা ছাড়বে না।
বুধবার সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, “অতীতের মতো হবে না। যেসব এলাকা সন্ত্রাসীমুক্ত ও জব্দ করা হয়েছে, আইডিএফ সেখান থেকে সরবে না।” তিনি আরও বলেন, “লেবানন ও সিরিয়ার মতো, গাজার যেকোনো পরিস্থিতিতেও আইডিএফ শত্রু ও ইসরায়েলি বসতিগুলোর মাঝে বাফার হিসেবে থাকবে।”
গত মাসে অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনী ‘নিরাপত্তা অঞ্চলের’ নামে গাজার বিস্তৃত অংশ দখলে নেয় এবং ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ ও উপকূলবর্তী সংকুচিত এলাকায় ঠেলে দিয়েছে। সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৩০ শতাংশ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।
দক্ষিণ গাজায় রাফা শহর দখলের পর ইসরায়েলি বাহিনী মোরাগ করিডোর পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে, যা রাফা ও খান ইউনিস শহরের মাঝ দিয়ে পূর্ব প্রান্ত থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মধ্য নেটজারিম করিডোর ও শেজাইয়া এলাকাও তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তেল আবিব জানায়, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া অভিযানে তারা কয়েকশ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে আছে গোষ্ঠীটির কিছু শীর্ষ কমান্ডারও। ইসরায়েলের এ অভিযানে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় দেশগুলো উদ্বেগ জানিয়েছে।
জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির পর গাজায় সাময়িক শান্তি থাকলেও ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলের নতুন আক্রমণে ৪ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অন্তত ১,৬৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জাতিসংঘ ও এমএসএফ জানিয়েছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা পরবর্তী সময়ে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছানোর অবকাঠামো তৈরি করছে, তবে এখনই নিষেধাজ্ঞা শিথিল হবে না। ইসরায়েল গাজাবাসীদের জন্য নতুন করে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছে, তবে কোন কোন দেশ তাদের আশ্রয় দেবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
একই সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ হামাসকে নিরস্ত্র করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে হামাস বলেছে, তারা কোনো অবস্থায় অস্ত্র সমর্পণ করবে না এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ত্রাণ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পুনর্গঠনের নিশ্চয়তা চেয়েছে।
জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সাম্প্রতিক আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা। সামরিক চাপে হামাস নতি স্বীকার করবে বলে তেল আবিব আশা করলেও, চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ থামিয়ে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ায় শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আছেন নারী, শিশু, ত্রাণকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার ব্যর্থ প্রচেষ্টার মধ্যে ইসরায়েল জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধে কোনো সমঝোতা হলেও গাজায় তাদের বাহিনী যে বাফার জোন তৈরি করেছে, তা তারা ছাড়বে না।
বুধবার সামরিক কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, “অতীতের মতো হবে না। যেসব এলাকা সন্ত্রাসীমুক্ত ও জব্দ করা হয়েছে, আইডিএফ সেখান থেকে সরবে না।” তিনি আরও বলেন, “লেবানন ও সিরিয়ার মতো, গাজার যেকোনো পরিস্থিতিতেও আইডিএফ শত্রু ও ইসরায়েলি বসতিগুলোর মাঝে বাফার হিসেবে থাকবে।”
গত মাসে অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনী ‘নিরাপত্তা অঞ্চলের’ নামে গাজার বিস্তৃত অংশ দখলে নেয় এবং ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ ও উপকূলবর্তী সংকুচিত এলাকায় ঠেলে দিয়েছে। সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৩০ শতাংশ এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।
দক্ষিণ গাজায় রাফা শহর দখলের পর ইসরায়েলি বাহিনী মোরাগ করিডোর পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে, যা রাফা ও খান ইউনিস শহরের মাঝ দিয়ে পূর্ব প্রান্ত থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মধ্য নেটজারিম করিডোর ও শেজাইয়া এলাকাও তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
তেল আবিব জানায়, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া অভিযানে তারা কয়েকশ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে আছে গোষ্ঠীটির কিছু শীর্ষ কমান্ডারও। ইসরায়েলের এ অভিযানে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় দেশগুলো উদ্বেগ জানিয়েছে।
জানুয়ারির যুদ্ধবিরতির পর গাজায় সাময়িক শান্তি থাকলেও ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েলের নতুন আক্রমণে ৪ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অন্তত ১,৬৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জাতিসংঘ ও এমএসএফ জানিয়েছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা পরবর্তী সময়ে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছানোর অবকাঠামো তৈরি করছে, তবে এখনই নিষেধাজ্ঞা শিথিল হবে না। ইসরায়েল গাজাবাসীদের জন্য নতুন করে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছে, তবে কোন কোন দেশ তাদের আশ্রয় দেবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
একই সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ হামাসকে নিরস্ত্র করার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে হামাস বলেছে, তারা কোনো অবস্থায় অস্ত্র সমর্পণ করবে না এবং যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, ত্রাণ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পুনর্গঠনের নিশ্চয়তা চেয়েছে।
জিম্মিদের মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সাম্প্রতিক আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছেন দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা। সামরিক চাপে হামাস নতি স্বীকার করবে বলে তেল আবিব আশা করলেও, চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধ থামিয়ে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়ায় শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে আছেন নারী, শিশু, ত্রাণকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।