কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতের তিন রাজ্যে অন্তত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় চালানো অভিযানে শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, আইনজীবী, সাবেক শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগই সোশাল মিডিয়ায় ‘দেশবিরোধী’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে আটক হয়েছেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শুধু আসামেই ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম গ্রেপ্তার হন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম। কাশ্মীরের হামলাকে ‘সরকারি ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। বর্তমানে তিনি পুলিশের চারদিনের রিমান্ডে আছেন।
আসামের অন্যান্য গ্রেপ্তারদের মধ্যে আছেন হাইলাকান্দির সাংবাদিক জাবির হুসাইন, শিলচরের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ কে বাহাউদ্দিন, আইনজীবী জাভেদ মজুমদার, মরিগাঁওয়ের মহাহার মিয়া ও শিবসাগরের সাহিল আলী।
এছাড়া করিমগঞ্জের মুস্তা আহমেদ (ওরফে সাহেল) ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিশ্বনাথ থেকে ২৫ বছর বয়সী জারিফ আলী ও ছাত্র সংগঠন ‘শত্রু মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’-এর জেলা সম্পাদক অনিল বানিয়াকেও আটক করা হয়েছে।
অনলাইনে ভারতবিরোধী মন্তব্য’ করার অভিযোগে হাইলাকান্দি, নগাঁও ও হাজো থেকেও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাছাড় জেলা পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের পক্ষে কন্টেন্ট প্রচার করায় আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, "প্রয়োজনে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (NSA) প্রয়োগ করা হবে। আমরা সোশাল মিডিয়ায় নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।"
ত্রিপুরায় চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ধলাই জেলার জহর দেবনাথ ও কুলদীপ মণ্ডল, উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর থেকে সজল চক্রবর্তী এবং সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া থেকে জাহিরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
মেঘালয়ে ৩০ বছর বয়সী সাইমন শিল্লা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় ‘দেশবিরোধী’ মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পেহেলগামে জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) হামলার দায় স্বীকার করে। এই সংগঠন পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা বলে মনে করা হয়, যার পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে ভারত পাকিস্তানিদের জন্য সার্ক ভিসা স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানের নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। আটারি সীমান্ত বন্ধ এবং ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতেরও ঘোষণা দিয়েছে ভারত।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানও সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে, ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করেছে এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে। পাকিস্তান ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমাও বন্ধ করে দিয়েছে।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতের তিন রাজ্যে অন্তত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় চালানো অভিযানে শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, আইনজীবী, সাবেক শিক্ষকসহ নানা পেশার মানুষকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের বেশিরভাগই সোশাল মিডিয়ায় ‘দেশবিরোধী’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে আটক হয়েছেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শুধু আসামেই ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রথম গ্রেপ্তার হন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম। কাশ্মীরের হামলাকে ‘সরকারি ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়। বর্তমানে তিনি পুলিশের চারদিনের রিমান্ডে আছেন।
আসামের অন্যান্য গ্রেপ্তারদের মধ্যে আছেন হাইলাকান্দির সাংবাদিক জাবির হুসাইন, শিলচরের আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ কে বাহাউদ্দিন, আইনজীবী জাভেদ মজুমদার, মরিগাঁওয়ের মহাহার মিয়া ও শিবসাগরের সাহিল আলী।
এছাড়া করিমগঞ্জের মুস্তা আহমেদ (ওরফে সাহেল) ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিশ্বনাথ থেকে ২৫ বছর বয়সী জারিফ আলী ও ছাত্র সংগঠন ‘শত্রু মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’-এর জেলা সম্পাদক অনিল বানিয়াকেও আটক করা হয়েছে।
অনলাইনে ভারতবিরোধী মন্তব্য’ করার অভিযোগে হাইলাকান্দি, নগাঁও ও হাজো থেকেও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাছাড় জেলা পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের পক্ষে কন্টেন্ট প্রচার করায় আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, "প্রয়োজনে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (NSA) প্রয়োগ করা হবে। আমরা সোশাল মিডিয়ায় নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।"
ত্রিপুরায় চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ধলাই জেলার জহর দেবনাথ ও কুলদীপ মণ্ডল, উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর থেকে সজল চক্রবর্তী এবং সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া থেকে জাহিরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
মেঘালয়ে ৩০ বছর বয়সী সাইমন শিল্লা নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় ‘দেশবিরোধী’ মন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পেহেলগামে জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) হামলার দায় স্বীকার করে। এই সংগঠন পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা বলে মনে করা হয়, যার পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে ভারত পাকিস্তানিদের জন্য সার্ক ভিসা স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানের নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। আটারি সীমান্ত বন্ধ এবং ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতেরও ঘোষণা দিয়েছে ভারত।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানও সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে, ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করেছে এবং ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করেছে। পাকিস্তান ভারতীয় উড়োজাহাজের জন্য আকাশসীমাও বন্ধ করে দিয়েছে।