কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অভিবাসী ফিলিপিনোদের একটি উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় নয়জন নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ওই ব্যক্তি উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের ভিড়ের ওপর তার এসইউভি চালিয়ে দেয়। তাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
স্প্যানিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো জাতীয় বীর লাপু-লাপুর স্মৃতিতে প্রতি বছর ২৭ এপ্রিল তার নামে এই দিবস পালন করে ফিলিপাইন। ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো কানাডায় উৎসবটি
পালন করে অভিবাসী ফিলিপিনোরা। দিবসটিতে বীরত্বপূর্ণ উত্তরাধিকার উদযাপনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বিকাশের বার্তাও প্রচার করেন তারা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গাড়িটি সোজা ভিড়ের মধ্য দিয়ে চলে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় আটক ভ্যাঙ্কুভারের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো যোগসূত্র নেই দাবি তাদের।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেছেন, কানাডায় ফিলিপিনো সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে হওয়া এই ‘ভয়াবহ ঘটনার কথা শুনে তিনি হতবাক’ হয়ে পড়েছেন।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লসও। সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভ্যাঙ্কুভারে ‘ভয়াবহ হামলার’ কথা শুনে তিনি এবং রানী ক্যামিলা ‘গভীরভাবে শোকাহত।’
আরও বলেছেন: ‘আমাদের সমস্ত চিন্তা এবং প্রার্থনা তাদের নিয়ে, যারা এই ট্র্যাজেডিতে জীবন হারিয়েছেন। সেই সঙ্গে, কানাডাবাসীকেও তাদের সবচেয়ে বেদনাদায়ক সময়ে গভীরতম সহানুভূতি জানাই।’
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি শোক প্রকাশ করে বলেন ভ্যাঙ্কুভারে ঘটে যাওয়া ঘটনায় তিনি ‘বিধ্বস্ত’। তার ‘হৃদয় ভেঙে’ গেছে। তিনি আহতের সংখ্যা ২০ জন বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, কীভাবে এবং কেন এই আক্রমণটি ঘটেছে, তা বোঝার জন্য তদন্ত চলছে।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অভিবাসী ফিলিপিনোদের একটি উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় নয়জন নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ওই ব্যক্তি উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের ভিড়ের ওপর তার এসইউভি চালিয়ে দেয়। তাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
স্প্যানিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো জাতীয় বীর লাপু-লাপুর স্মৃতিতে প্রতি বছর ২৭ এপ্রিল তার নামে এই দিবস পালন করে ফিলিপাইন। ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো কানাডায় উৎসবটি
পালন করে অভিবাসী ফিলিপিনোরা। দিবসটিতে বীরত্বপূর্ণ উত্তরাধিকার উদযাপনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বিকাশের বার্তাও প্রচার করেন তারা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গাড়িটি সোজা ভিড়ের মধ্য দিয়ে চলে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় আটক ভ্যাঙ্কুভারের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তবে এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো যোগসূত্র নেই দাবি তাদের।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেছেন, কানাডায় ফিলিপিনো সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে হওয়া এই ‘ভয়াবহ ঘটনার কথা শুনে তিনি হতবাক’ হয়ে পড়েছেন।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লসও। সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভ্যাঙ্কুভারে ‘ভয়াবহ হামলার’ কথা শুনে তিনি এবং রানী ক্যামিলা ‘গভীরভাবে শোকাহত।’
আরও বলেছেন: ‘আমাদের সমস্ত চিন্তা এবং প্রার্থনা তাদের নিয়ে, যারা এই ট্র্যাজেডিতে জীবন হারিয়েছেন। সেই সঙ্গে, কানাডাবাসীকেও তাদের সবচেয়ে বেদনাদায়ক সময়ে গভীরতম সহানুভূতি জানাই।’
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি শোক প্রকাশ করে বলেন ভ্যাঙ্কুভারে ঘটে যাওয়া ঘটনায় তিনি ‘বিধ্বস্ত’। তার ‘হৃদয় ভেঙে’ গেছে। তিনি আহতের সংখ্যা ২০ জন বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, কীভাবে এবং কেন এই আক্রমণটি ঘটেছে, তা বোঝার জন্য তদন্ত চলছে।