আজাদ কাশ্মীরের মুজাফ্ফরাবাদে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন একজন পাকিস্তানি সেনা -এপি
এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা। এর আগে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার ফলে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তারপর থেকে দুটি দেশের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধ হয়। তার মধ্যে সব যুদ্ধই কাশ্মীর সমস্যাকে কেন্দ্র করে।
কাশ্মীর যুদ্ধ : ১৯৪৭-৪৮ সালে প্রথম ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সংঘটিত হয়। একে কাশ্মীর যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে। কারণ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত প্রথম যুদ্ধ মূলত কাশ্মীর সমস্যাকে কেন্দ্র করে হয়েছিল। তখন জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। সে সময়ে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত করে। ভারত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে, পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিত-বালতিস্তান অঞ্চল দুটির ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।
কচ্ছ যুদ্ধ : ১৯৫৬ সালে দ্বন্দ্বটির সূচনা হয়। পরে ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানি সীমান্তরক্ষীরা ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পাহারা দিতে শুরু করে। ১৯৬৫ সালের ৮ এপ্রিল উভয় দেশই ‘কচ্ছ’ অঞ্চলে একে অপরের সীমান্ত চৌকির ওপর আক্রমণ চালায়। প্রথমে শুধু উভয় দেশের সীমান্ত পুলিশরা এ সংঘর্ষে জড়িত হয়। পরে খুব দ্রুত উভয় দেশের সশস্ত্রবাহিনীও জড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৫ সালের জুনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড উইলসন দেশ দু’টিকে সংঘর্ষ বন্ধ করতে রাজি করান। তিনি বিরোধটির নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। ১৯৬৮ সালে ট্রাইব্যুনালের রায়ে পাকিস্তান দাবিকৃত ৩,৫০০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার ভূমি লাভ করে।
কার্গিল যুদ্ধ : ১৯৯৯ সালের মে-জুলাই মাসে কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। পাকিস্তানি ফৌজ ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে ডি ফ্যাক্টো সীমান্তরেখা হিসেবে পরিচিত নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অব কন্ট্রোল পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে এই যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পূর্বে কার্গিল ছিল লাদাখের বালটিস্তান জেলার অংশ। এই অঞ্চলটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি না হলেও বিভিন্ন ভাষাগত, জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রদায় বিশে^র কয়েকটি উচ্চতম পর্বত কর্তৃক বিভাজিত এই অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন উপত্যকাগুলোতে বসবাস করত। প্রথম কাশ্মীর যুদ্ধের (১৯৪৭-৪৮) ফলে সৃষ্ট নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অব কন্ট্রোল বালটিস্তান জেলাটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে। কারগিল জেলা ও কার্গিল শহরটি ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখ বিভাগের মধ্যে। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিমলা চুক্তি অনুযায়ী এই সীমান্তকে সম্মান জানিয়ে কোনো রকম সশস্ত্র সংঘাতে না যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু পাক সেনারা এই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কার্গিলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কার্গিলকে টার্গেট করার অন্যতম কারণ, কার্গিল সংলগ্ন এই অঞ্চলটি মুক্ত সামরিক অবস্থানের জন্য আদর্শ অঞ্চল। শৃঙ্গগুলোর ওপর সুপরিকল্পিতভাবে সুরক্ষিত পোস্টগুলোর কৌশলগত গুরুত্বের কারণে প্রতিরক্ষাকারীদের ক্ষেত্রে একটি দুর্গের মতো সুবিধা ভোগ করা সম্ভব ছিল সেখানে।
পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরের স্কারদু শহর থেকে কার্গিলের দূরত্ব মাত্র ১৭৩ কিলোমিটার। যুদ্ধের পর ভারত দাবি করে, গোপনে কার্গিল এলাকা দখলে নিয়েছিল পাকিস্তান এবং বেশ কিছুসংখ্যক ভারতীয় সেনাকে মেরে ফেলেছিল। বিমানবাহিনী ও ভারতীয় স্থলসেনার যৌথ প্রচেষ্টায় কার্গিলকে আবারও পুনর্দখল করে ভারত। কার্গিল যুদ্ধ সুউচ্চ পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধের সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। উচ্চতার কারণে দুই দেশকেই রসদ সরবরাহ ও সেনাবাহিনীর অভিযান চালাতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যুদ্ধটি খুব বিপজ্জনক পথে মোড় নিতে পারত। কারণ ততদিনে দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এই যুদ্ধের ফলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি হয় এবং ভারতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানো হয়। এই যুদ্ধের ফলে পাকিস্তানি সরকার ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নওয়াজ শরিফকে হটিয়ে সেনাপ্রধান পারভেজ মুশাররফ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেন। এই যুদ্ধে দুই পক্ষেরই প্রায় পাঁচ হাজার করে সেনা নিহত হয়েছিল।
পুলওয়ামা সংকট : ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার শুরু হয়েছে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব। যা ক্রমশই যুদ্ধের দিকে মোড় নিচ্ছে। কাশ্মীরের পুলওয়ামা উপত্যকায় পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের হামলায় একসঙ্গে ৪০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। যার ফলে ভারতও পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। সেই হামলা-পাল্টা হামলাই এখন মোড় নিচ্ছে বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে।
পহেলগাম হামলা ৭ মে, ২০২৫ : সবশেষ ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর দেশ দুইটির মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পহেলগামে ২৬ পর্যটককে হত্যার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে বিমান হামলা চালালো ভারত। এতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নিহত বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হামলার সময় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে।
আজাদ কাশ্মীরের মুজাফ্ফরাবাদে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত একটি মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন একজন পাকিস্তানি সেনা -এপি
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা। এর আগে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার ফলে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। তারপর থেকে দুটি দেশের মধ্যে বিভিন্ন যুদ্ধ হয়। তার মধ্যে সব যুদ্ধই কাশ্মীর সমস্যাকে কেন্দ্র করে।
কাশ্মীর যুদ্ধ : ১৯৪৭-৪৮ সালে প্রথম ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ সংঘটিত হয়। একে কাশ্মীর যুদ্ধ বলা হয়ে থাকে। কারণ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত প্রথম যুদ্ধ মূলত কাশ্মীর সমস্যাকে কেন্দ্র করে হয়েছিল। তখন জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। সে সময়ে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত করে। ভারত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে, পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিত-বালতিস্তান অঞ্চল দুটির ওপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।
কচ্ছ যুদ্ধ : ১৯৫৬ সালে দ্বন্দ্বটির সূচনা হয়। পরে ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানি সীমান্তরক্ষীরা ভারত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পাহারা দিতে শুরু করে। ১৯৬৫ সালের ৮ এপ্রিল উভয় দেশই ‘কচ্ছ’ অঞ্চলে একে অপরের সীমান্ত চৌকির ওপর আক্রমণ চালায়। প্রথমে শুধু উভয় দেশের সীমান্ত পুলিশরা এ সংঘর্ষে জড়িত হয়। পরে খুব দ্রুত উভয় দেশের সশস্ত্রবাহিনীও জড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৫ সালের জুনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড উইলসন দেশ দু’টিকে সংঘর্ষ বন্ধ করতে রাজি করান। তিনি বিরোধটির নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন। ১৯৬৮ সালে ট্রাইব্যুনালের রায়ে পাকিস্তান দাবিকৃত ৩,৫০০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৫০ বর্গ কিলোমিটার ভূমি লাভ করে।
কার্গিল যুদ্ধ : ১৯৯৯ সালের মে-জুলাই মাসে কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। পাকিস্তানি ফৌজ ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে ডি ফ্যাক্টো সীমান্তরেখা হিসেবে পরিচিত নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অব কন্ট্রোল পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে এই যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পূর্বে কার্গিল ছিল লাদাখের বালটিস্তান জেলার অংশ। এই অঞ্চলটিতে জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব বেশি না হলেও বিভিন্ন ভাষাগত, জাতিগত ও ধর্মীয় সম্প্রদায় বিশে^র কয়েকটি উচ্চতম পর্বত কর্তৃক বিভাজিত এই অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন উপত্যকাগুলোতে বসবাস করত। প্রথম কাশ্মীর যুদ্ধের (১৯৪৭-৪৮) ফলে সৃষ্ট নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অব কন্ট্রোল বালটিস্তান জেলাটিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে। কারগিল জেলা ও কার্গিল শহরটি ভারতীয় রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখ বিভাগের মধ্যে। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিমলা চুক্তি অনুযায়ী এই সীমান্তকে সম্মান জানিয়ে কোনো রকম সশস্ত্র সংঘাতে না যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু পাক সেনারা এই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কার্গিলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কার্গিলকে টার্গেট করার অন্যতম কারণ, কার্গিল সংলগ্ন এই অঞ্চলটি মুক্ত সামরিক অবস্থানের জন্য আদর্শ অঞ্চল। শৃঙ্গগুলোর ওপর সুপরিকল্পিতভাবে সুরক্ষিত পোস্টগুলোর কৌশলগত গুরুত্বের কারণে প্রতিরক্ষাকারীদের ক্ষেত্রে একটি দুর্গের মতো সুবিধা ভোগ করা সম্ভব ছিল সেখানে।
পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরের স্কারদু শহর থেকে কার্গিলের দূরত্ব মাত্র ১৭৩ কিলোমিটার। যুদ্ধের পর ভারত দাবি করে, গোপনে কার্গিল এলাকা দখলে নিয়েছিল পাকিস্তান এবং বেশ কিছুসংখ্যক ভারতীয় সেনাকে মেরে ফেলেছিল। বিমানবাহিনী ও ভারতীয় স্থলসেনার যৌথ প্রচেষ্টায় কার্গিলকে আবারও পুনর্দখল করে ভারত। কার্গিল যুদ্ধ সুউচ্চ পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধের সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। উচ্চতার কারণে দুই দেশকেই রসদ সরবরাহ ও সেনাবাহিনীর অভিযান চালাতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যুদ্ধটি খুব বিপজ্জনক পথে মোড় নিতে পারত। কারণ ততদিনে দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এই যুদ্ধের ফলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে টানাপড়েনের সৃষ্টি হয় এবং ভারতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানো হয়। এই যুদ্ধের ফলে পাকিস্তানি সরকার ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নওয়াজ শরিফকে হটিয়ে সেনাপ্রধান পারভেজ মুশাররফ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেন। এই যুদ্ধে দুই পক্ষেরই প্রায় পাঁচ হাজার করে সেনা নিহত হয়েছিল।
পুলওয়ামা সংকট : ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার শুরু হয়েছে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব। যা ক্রমশই যুদ্ধের দিকে মোড় নিচ্ছে। কাশ্মীরের পুলওয়ামা উপত্যকায় পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের হামলায় একসঙ্গে ৪০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। যার ফলে ভারতও পাল্টা হামলা চালাতে বাধ্য হয়েছে। সেই হামলা-পাল্টা হামলাই এখন মোড় নিচ্ছে বৃহত্তর যুদ্ধের দিকে।
পহেলগাম হামলা ৭ মে, ২০২৫ : সবশেষ ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর দেশ দুইটির মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পহেলগামে ২৬ পর্যটককে হত্যার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে বিমান হামলা চালালো ভারত। এতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নিহত বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হামলার সময় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে।