ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাল্টা সামরিক অভিযান চালিয়েছে পাকিস্তান। শনিবার সকালে শুরু হওয়া ওই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান–উন–মারসুস’—যা এসেছে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন থেকে।
পাকিস্তানি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাব হিসেবেই শুরু হয়েছে এই অভিযান। অভিযানটির নাম বাছাইয়ে ইসলামি ভাবধারার প্রতিফলন ঘটিয়েছে ইসলামাবাদ।
বুনিয়ান–উন–মারসুস শব্দবন্ধের উৎস ও অর্থ
‘বুনিয়ান–উন–মারসুস’ শব্দগুচ্ছটির অর্থ—‘গলিত সীসা দিয়ে গাঁথা একটি সুসংহত ও অভেদ্য প্রাচীর’। কোরআনের ৬১তম সূরা আছ-ছফ-এর ৪ নম্বর আয়াতে এই শব্দ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন—যারা তাঁর পথে এমনভাবে যুদ্ধ করে, যেন তারা একটি সুদৃঢ় প্রাচীর।”
এই কোরআনিক ব্যাখ্যার মাধ্যমেই পাকিস্তান সামরিকভাবে এমন একটি বার্তা দিতে চায় যে, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ, সংগঠিত এবং প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত।
পাকিস্তানের তথ্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, অভিযানের এই নামকরণ শুধুই সামরিক নয়, এর মধ্যে ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক বার্তাও রয়েছে। “ভারতের কাপুরুষোচিত হামলার জবাবে পাকিস্তান একটি দৃঢ় ও সুশৃঙ্খল প্রতিরোধ গড়েছে”—এমন বক্তব্যই তুলে ধরছে নামটি।
পাকিস্তানের স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র বাহনে শহীদ শিশুদের নাম লেখা ব্যানার ছিল, যা দেশটির আবেগঘন প্রতিরোধ মনোভাবকেও ফুটিয়ে তোলে।
এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর নামকরণও ছিল প্রতীকি। কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ জন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। অনেক নারী তাদের স্বামীকে হারিয়েছেন। হিন্দু রীতিতে স্বামীর মৃত্যুর পর নারীরা সিঁদুর পরেন না—এ বিশ্বাস থেকেই ভারত তাদের অভিযানের নাম দেয় ‘সিঁদুর’।
এর প্রতিক্রিয়াতেই পাকিস্তান তাদের অভিযানকে ধর্মীয় প্রতীক ও ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হিসেবে তুলে ধরছে ‘বুনিয়ান–উন–মারসুস’ নাম দিয়ে।
গত এপ্রিলের শেষ দিকে কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর থেকেই ভারত–পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা চলছে। মঙ্গলবার রাতে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তানের দাবি, তাদের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শনিবার ভোরে পাকিস্তান ভারতের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যার মধ্যে রয়েছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটি ও পাঠানকোট বিমানঘাঁটি।
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাল্টা সামরিক অভিযান চালিয়েছে পাকিস্তান। শনিবার সকালে শুরু হওয়া ওই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান–উন–মারসুস’—যা এসেছে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন থেকে।
পাকিস্তানি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাব হিসেবেই শুরু হয়েছে এই অভিযান। অভিযানটির নাম বাছাইয়ে ইসলামি ভাবধারার প্রতিফলন ঘটিয়েছে ইসলামাবাদ।
বুনিয়ান–উন–মারসুস শব্দবন্ধের উৎস ও অর্থ
‘বুনিয়ান–উন–মারসুস’ শব্দগুচ্ছটির অর্থ—‘গলিত সীসা দিয়ে গাঁথা একটি সুসংহত ও অভেদ্য প্রাচীর’। কোরআনের ৬১তম সূরা আছ-ছফ-এর ৪ নম্বর আয়াতে এই শব্দ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন—যারা তাঁর পথে এমনভাবে যুদ্ধ করে, যেন তারা একটি সুদৃঢ় প্রাচীর।”
এই কোরআনিক ব্যাখ্যার মাধ্যমেই পাকিস্তান সামরিকভাবে এমন একটি বার্তা দিতে চায় যে, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ, সংগঠিত এবং প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত।
পাকিস্তানের তথ্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, অভিযানের এই নামকরণ শুধুই সামরিক নয়, এর মধ্যে ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক বার্তাও রয়েছে। “ভারতের কাপুরুষোচিত হামলার জবাবে পাকিস্তান একটি দৃঢ় ও সুশৃঙ্খল প্রতিরোধ গড়েছে”—এমন বক্তব্যই তুলে ধরছে নামটি।
পাকিস্তানের স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র বাহনে শহীদ শিশুদের নাম লেখা ব্যানার ছিল, যা দেশটির আবেগঘন প্রতিরোধ মনোভাবকেও ফুটিয়ে তোলে।
এর আগে ভারতের পক্ষ থেকে চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর নামকরণও ছিল প্রতীকি। কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ২৬ জন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। অনেক নারী তাদের স্বামীকে হারিয়েছেন। হিন্দু রীতিতে স্বামীর মৃত্যুর পর নারীরা সিঁদুর পরেন না—এ বিশ্বাস থেকেই ভারত তাদের অভিযানের নাম দেয় ‘সিঁদুর’।
এর প্রতিক্রিয়াতেই পাকিস্তান তাদের অভিযানকে ধর্মীয় প্রতীক ও ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হিসেবে তুলে ধরছে ‘বুনিয়ান–উন–মারসুস’ নাম দিয়ে।
গত এপ্রিলের শেষ দিকে কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর থেকেই ভারত–পাকিস্তান সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা চলছে। মঙ্গলবার রাতে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তানের দাবি, তাদের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শনিবার ভোরে পাকিস্তান ভারতের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যার মধ্যে রয়েছে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটি ও পাঠানকোট বিমানঘাঁটি।