লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে কেঁপে উঠেছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতা এই সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। এএফপির সাংবাদিকরা স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় ভারী অস্ত্রের গুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
লিবিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল আল-আহরার এবং সংবাদ সাইট আল-ওয়াসাত দক্ষিণ ত্রিপোলিতে অবস্থিত একটি প্রভাবশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘সাপোর্ট অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি অ্যাপারেটাস’-এর নেতা আবদেল ঘানি আল-কিকলির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। ত্রিপোলিতে জাতীয় ঐক্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সব নাগরিককে তাদের নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ত্রিপোলির সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং একটি প্রধান বন্দর শহর মিসরাতার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে দক্ষিণ শহরতলিতে এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
২০১১ সালের বিদ্রোহের পর লিবিয়া বছরের পর বছর ধরে চলা অস্থিরতা থেকে সেরে উঠতে লড়াই করছে, যার ফলে প্রয়াত স্বৈরশাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতন ঘটে।
বর্তমানে লিবিয়া রাজধানী ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার এবং হাফতার পরিবারের নিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসনের মধ্যে বিভক্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকা সত্ত্বেও, অঞ্চলের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘর্ষ হয়। ২০২৩ সালের আগস্টে, ত্রিপোলিতে দুটি শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে ৫৫ জন নিহত হয়।
দেশটির রাজধানী এবং এর শহরতলির বেশ কয়েকটি জেলা ঘোষণা করেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। লিবিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তা মিশন সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা অ্যাক্সে জানিয়েছে, ‘ত্রিপোলিতে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি, ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ভারী অস্ত্রের তীব্র লড়াই নিয়ে ইউএনএসএমআইএল উদ্বিগ্ন।’
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষে কেঁপে উঠেছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতা এই সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। এএফপির সাংবাদিকরা স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় ভারী অস্ত্রের গুলি এবং বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
লিবিয়ার টেলিভিশন চ্যানেল আল-আহরার এবং সংবাদ সাইট আল-ওয়াসাত দক্ষিণ ত্রিপোলিতে অবস্থিত একটি প্রভাবশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘সাপোর্ট অ্যান্ড স্ট্যাবিলিটি অ্যাপারেটাস’-এর নেতা আবদেল ঘানি আল-কিকলির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। ত্রিপোলিতে জাতীয় ঐক্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সব নাগরিককে তাদের নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ত্রিপোলির সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং একটি প্রধান বন্দর শহর মিসরাতার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে দক্ষিণ শহরতলিতে এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
২০১১ সালের বিদ্রোহের পর লিবিয়া বছরের পর বছর ধরে চলা অস্থিরতা থেকে সেরে উঠতে লড়াই করছে, যার ফলে প্রয়াত স্বৈরশাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতন ঘটে।
বর্তমানে লিবিয়া রাজধানী ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার এবং হাফতার পরিবারের নিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসনের মধ্যে বিভক্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুলনামূলকভাবে শান্ত থাকা সত্ত্বেও, অঞ্চলের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মাঝে মাঝে সংঘর্ষ হয়। ২০২৩ সালের আগস্টে, ত্রিপোলিতে দুটি শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ে ৫৫ জন নিহত হয়।
দেশটির রাজধানী এবং এর শহরতলির বেশ কয়েকটি জেলা ঘোষণা করেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। লিবিয়ায় জাতিসংঘের সহায়তা মিশন সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা অ্যাক্সে জানিয়েছে, ‘ত্রিপোলিতে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি, ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ভারী অস্ত্রের তীব্র লড়াই নিয়ে ইউএনএসএমআইএল উদ্বিগ্ন।’