চার মাসের অরাজক দায়িত্ব পালন শেষে অবশেষে প্রশাসনের ব্যাপক খরচ কমানোর প্রচেষ্টার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইলন মাস্ক সরকার ছাড়লেও তিনি ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন। শুক্রবার (৩০ মে) ওভাল অফিসে আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠানে মাস্কের নেতৃত্বাধীন ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’-এর কাজের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্প তার ডেস্কের পেছনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ইলন সত্যিকার অর্থে চলে যাচ্ছেন না। তিনি আমাদের মধ্যেই থাকবেন।’ তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মাস্ক- কালো টুপি ও টি-শার্ট পরে। টি-শার্টের সামনের লেখাটি ‘গড ফাদার’ সিনেমার স্টাইল অনুকরণে তৈরি করা।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজের অনুষ্ঠানটি ছিল ঐক্যের বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে। কারণ এই সপ্তাহেই ট্রাম্পের ব্যাপক কর ও ব্যয় বিলকে ‘খরচসাপেক্ষ’ বলে সমালোচনা করেছিলেন মাস্ক। অনুষ্ঠানে ট্রাম্প মাস্ককে উপহার দেন একটি বড় সোনার চাবি, যা ছিল তার স্বাক্ষরযুক্ত কাঠের বাক্সে। ট্রাম্প বলেন, তিনি এই উপহার শুধু ‘অত্যন্ত বিশেষ মানুষদের’ জন্য রাখেন। ট্রাম্প বলেন, ‘মাস্ক অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে, এটা দুঃখজনক, কারণ সে একজন অসাধারণ দেশপ্রেমিক।’ মাস্ক ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সোনালি সাজসজ্জার পাল্টা প্রশংসা করেন। জানান, তিনি এখন ব্যবসায় বেশি মনোযোগ দেবেন।
মাস্ক বলেন, ‘আমি বন্ধুর মতো এবং উপদেষ্টা হিসেবে থাকব। প্রেসিডেন্ট যদি আমাকে কিছু করতে বলেন, আমি সর্বদা তার সেবায় থাকব।’ ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর থেকে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ হাজার হাজার কর্মীর চাকরি বাতিল করেছে।
বিদেশি সহায়তাসহ বিলিয়ন ডলারের ব্যয় বাতিল করেছে। তবে মাস্কের উচ্চাভিলাসী প্রতিশ্রুতি পূরণে এটি এখনও ব্যর্থ হয়েছে। মাস্ক এই সপ্তাহেই ঘোষণা দেন, তিনি বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে ১৩০ দিনের ম্যান্ডেট শেষ হওয়ার পর প্রশাসন ত্যাগ করবেন। এই ম্যান্ডেট আনুমানিকভাবে ৩০ মে শেষ হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্ক ২০২৪ সালে ট্রাম্প ও অন্যান্য রিপাবলিকানদের নির্বাচনে জয়ী করতে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন। ট্রাম্পের মেয়াদের শুরুর দিকে তার প্রভাব ছিল ব্যাপক। তিনি বহু সরকারি সংস্থা বন্ধ করেন, দীর্ঘদিনের প্রকল্প বাতিল করেন এবং অগ্রিম ঘোষণা ছাড়াই নীতিমালা জারি করেন। যার ফলে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই হয়। তবে কিছু মন্ত্রীর অভিযোগের কারণে হোয়াইট হাউজে তার প্রভাব কমতে থাকে। একই সময়ে, শেয়ারহোল্ডারদের চাপ বাড়তে থাকে- যারা মাস্কের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকে তার কোম্পানির জন্য ঝুঁকি হিসেবে দেখছিলেন।
শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
চার মাসের অরাজক দায়িত্ব পালন শেষে অবশেষে প্রশাসনের ব্যাপক খরচ কমানোর প্রচেষ্টার নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইলন মাস্ক সরকার ছাড়লেও তিনি ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন। শুক্রবার (৩০ মে) ওভাল অফিসে আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠানে মাস্কের নেতৃত্বাধীন ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’-এর কাজের প্রশংসা করেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্প তার ডেস্কের পেছনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ইলন সত্যিকার অর্থে চলে যাচ্ছেন না। তিনি আমাদের মধ্যেই থাকবেন।’ তার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মাস্ক- কালো টুপি ও টি-শার্ট পরে। টি-শার্টের সামনের লেখাটি ‘গড ফাদার’ সিনেমার স্টাইল অনুকরণে তৈরি করা।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজের অনুষ্ঠানটি ছিল ঐক্যের বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে। কারণ এই সপ্তাহেই ট্রাম্পের ব্যাপক কর ও ব্যয় বিলকে ‘খরচসাপেক্ষ’ বলে সমালোচনা করেছিলেন মাস্ক। অনুষ্ঠানে ট্রাম্প মাস্ককে উপহার দেন একটি বড় সোনার চাবি, যা ছিল তার স্বাক্ষরযুক্ত কাঠের বাক্সে। ট্রাম্প বলেন, তিনি এই উপহার শুধু ‘অত্যন্ত বিশেষ মানুষদের’ জন্য রাখেন। ট্রাম্প বলেন, ‘মাস্ক অনেক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে, এটা দুঃখজনক, কারণ সে একজন অসাধারণ দেশপ্রেমিক।’ মাস্ক ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সোনালি সাজসজ্জার পাল্টা প্রশংসা করেন। জানান, তিনি এখন ব্যবসায় বেশি মনোযোগ দেবেন।
মাস্ক বলেন, ‘আমি বন্ধুর মতো এবং উপদেষ্টা হিসেবে থাকব। প্রেসিডেন্ট যদি আমাকে কিছু করতে বলেন, আমি সর্বদা তার সেবায় থাকব।’ ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পর থেকে ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ হাজার হাজার কর্মীর চাকরি বাতিল করেছে।
বিদেশি সহায়তাসহ বিলিয়ন ডলারের ব্যয় বাতিল করেছে। তবে মাস্কের উচ্চাভিলাসী প্রতিশ্রুতি পূরণে এটি এখনও ব্যর্থ হয়েছে। মাস্ক এই সপ্তাহেই ঘোষণা দেন, তিনি বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে ১৩০ দিনের ম্যান্ডেট শেষ হওয়ার পর প্রশাসন ত্যাগ করবেন। এই ম্যান্ডেট আনুমানিকভাবে ৩০ মে শেষ হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্ক ২০২৪ সালে ট্রাম্প ও অন্যান্য রিপাবলিকানদের নির্বাচনে জয়ী করতে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন। ট্রাম্পের মেয়াদের শুরুর দিকে তার প্রভাব ছিল ব্যাপক। তিনি বহু সরকারি সংস্থা বন্ধ করেন, দীর্ঘদিনের প্রকল্প বাতিল করেন এবং অগ্রিম ঘোষণা ছাড়াই নীতিমালা জারি করেন। যার ফলে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই হয়। তবে কিছু মন্ত্রীর অভিযোগের কারণে হোয়াইট হাউজে তার প্রভাব কমতে থাকে। একই সময়ে, শেয়ারহোল্ডারদের চাপ বাড়তে থাকে- যারা মাস্কের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকে তার কোম্পানির জন্য ঝুঁকি হিসেবে দেখছিলেন।