ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে গত দুই দিনে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন।
আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর ও মিজোরাম—এই পাঁচটি রাজ্যে ভারি বর্ষণের প্রভাবে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার মারা গেছেন ১৬ জন, আর শনিবার প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১৪ জন।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ আসামের কিছু অঞ্চলে রেড ও অরেঞ্জ অ্যালার্ট, এবং অন্য রাজ্যগুলোতে অরেঞ্জ ও ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করেছে।
শনিবার আসামে পাঁচজন এবং অরুণাচল প্রদেশে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, অরুণাচলের পূর্ব কামেং জেলায় ভূমিধসে একটি গাড়ি খাদে পড়ে গেলে একই পরিবারের সাতজনসহ নয়জন নিহত হন।
টানা বৃষ্টিতে আসামের ছয়টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কামরূপ মেট্রোপলিটন এলাকায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, গুয়াহাটির বন্ডা এলাকায় ভূমিধসে তিন নারী প্রাণ হারান। গুয়াহাটিতে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে গেছে, যা গত ৬৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অতিবৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্র নদ ও অন্যান্য নদনদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। এতে আসাম ও মেঘালয়ের সংযোগকারী জাতীয় সড়কের একটি অংশ পানির তোড়ে ভেসে যায়, ফলে গুয়াহাটি ও তুরার মধ্যকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
শুধু আসামেই ১২টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। প্রশাসন জরুরি ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চালালেও অনেক জায়গায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দলগুলো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে বলেছে, সামনের আরও কয়েক দিন ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে দুর্যোগ পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে।
সরকার ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রোববার, ০১ জুন ২০২৫
ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে গত দুই দিনে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন।
আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর ও মিজোরাম—এই পাঁচটি রাজ্যে ভারি বর্ষণের প্রভাবে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার মারা গেছেন ১৬ জন, আর শনিবার প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১৪ জন।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ আসামের কিছু অঞ্চলে রেড ও অরেঞ্জ অ্যালার্ট, এবং অন্য রাজ্যগুলোতে অরেঞ্জ ও ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করেছে।
শনিবার আসামে পাঁচজন এবং অরুণাচল প্রদেশে নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী, অরুণাচলের পূর্ব কামেং জেলায় ভূমিধসে একটি গাড়ি খাদে পড়ে গেলে একই পরিবারের সাতজনসহ নয়জন নিহত হন।
টানা বৃষ্টিতে আসামের ছয়টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কামরূপ মেট্রোপলিটন এলাকায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, গুয়াহাটির বন্ডা এলাকায় ভূমিধসে তিন নারী প্রাণ হারান। গুয়াহাটিতে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে গেছে, যা গত ৬৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অতিবৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্র নদ ও অন্যান্য নদনদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। এতে আসাম ও মেঘালয়ের সংযোগকারী জাতীয় সড়কের একটি অংশ পানির তোড়ে ভেসে যায়, ফলে গুয়াহাটি ও তুরার মধ্যকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
শুধু আসামেই ১২টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৬০ হাজার মানুষ। প্রশাসন জরুরি ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চালালেও অনেক জায়গায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দলগুলো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে বলেছে, সামনের আরও কয়েক দিন ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে দুর্যোগ পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে।
সরকার ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।