রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আগামীকাল সোমবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কিয়েভ জানিয়েছে, তারা আলোচনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তার আগে রাশিয়ার তৈরি করা আলোচনার বিষয়বস্তু দেখতে চায়। এ অবস্থায় শান্তি আলোচনা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।

যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে আলোচনা করতে গত ১৬ মে ইস্তাম্বুলে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। আগামীকাল দ্বিতীয় দফায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের আগে গত শুক্রবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কিয়েভে বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৈঠক শেষে তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘একটি অর্থবহ বৈঠক হতে হলে স্পষ্ট এজেন্ডা থাকতে হবে। দুর্ভাগ্যবশত, পরবর্তী বৈঠকে যেন কোনো ফল না আসে, তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবকিছুই করছে রাশিয়া।’

জেলেনস্কি বলেন, শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে তিনি টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘শান্তির পথে আরও এগোতে হলে অবশ্যই একটি যুদ্ধবিরতি হতে হবে। মানুষ হত্যা বন্ধ হতে হবে। এ বৈঠক অর্থহীন হতে পারে না এবং হওয়া উচিত নয় বলে আমরা একমত হয়েছি।’

তবে আগামীকাল রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন বৈঠকে অংশ নেবেন কি না, সে বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ইউক্রেন, রাশিয়া, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের নিয়ে একটি চার দেশীয় বৈঠক আয়োজনের সম্ভাবনা নিয়ে এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য ও হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্পের কাছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়ার প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে যাচ্ছে। সোমবার সকালে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য তারা প্রস্তুত থাকবে।

এদিকে, রাশিয়ায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। একটি সেতু (হাইওয়ে ব্রিজ) ট্রেনের লাইনের ওপর ধসে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় রুশ কর্মকর্তারা এ ঘটনাকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশ’ বলে উল্লেখ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে, স্থানীয় সময় গত শনিবার দিন শেষে। রাশিয়ার এই অঞ্চল ইউক্রেনের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া।

ব্রায়ানস্কের গভর্নর আলেজান্দার বোগোমাজ টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাতজন মারা গেছেন।’ তিনি আরও জানান, আহত ৩০ জনের মধ্যে ২টি শিশুও রয়েছে। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুজনের অবস্থা গুরুতর।