তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি সম্ভাব্য পরমাণু চুক্তির লক্ষ্যে ইরানের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ শনিবার (৩১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আলবুসাইদি তেহরান সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত চুক্তির কিছু বিষয় তার কাছে তুলে ধরেছেন।
এই খবরটি এসেছে এমন এক সময়, যখন জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারি সংস্থা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরান তাদের ইউরেনিয়াম মজুত উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের কাছে বর্তমানে ৪০০ কেজিরও বেশি ইউরেনিয়াম আছে যা ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ। পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন ৯০ শতাংশ মাত্রার ইউরেনিয়াম।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিয়াভিট বলেন, এই পরিস্থিতিতে চুক্তিটি মেনে নেয়াই হবে ইরানের জন্য ‘সর্বোত্তম পথ’। তার ভাষায়, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন যে ইরান কখনোই পারমাণবিক বোমা অর্জন করতে পারবে না।’
তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে ইরানের কাছে একটি বিস্তারিত ও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে সেই প্রস্তাবের পূর্ণ বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আরাঘচি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘জাতীয় নীতি, স্বার্থ এবং জনগণের অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।’
আইএইএ’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান যে মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে তা বেসামরিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গবেষণার প্রয়োজনীয় মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এই ইউরেনিয়াম আরও পরিশোধন করা হলে তা দিয়ে ১০টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব।
বিশ্লেষকদের মতে, পারমাণবিক অস্ত্র না থাকা দেশগুলোর মধ্যে ইরানই একমাত্র, যারা এত উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি আইএইএ বোর্ড অব গভর্নরসে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনার প্রস্তুতি নিতে পারে।
তবে ইরান বরাবরই তাদের পরমাণু কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শনিবার আইএইএ’র প্রতিবেদনকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং ‘ভিত্তিহীন অভিযোগে ভরা’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যদি আইএইএ গভর্নর বোর্ডে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়, তবে তারা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
রোববার, ০১ জুন ২০২৫
তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি সম্ভাব্য পরমাণু চুক্তির লক্ষ্যে ইরানের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ শনিবার (৩১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আলবুসাইদি তেহরান সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত চুক্তির কিছু বিষয় তার কাছে তুলে ধরেছেন।
এই খবরটি এসেছে এমন এক সময়, যখন জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারি সংস্থা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইরান তাদের ইউরেনিয়াম মজুত উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের কাছে বর্তমানে ৪০০ কেজিরও বেশি ইউরেনিয়াম আছে যা ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ। পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজন ৯০ শতাংশ মাত্রার ইউরেনিয়াম।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিয়াভিট বলেন, এই পরিস্থিতিতে চুক্তিটি মেনে নেয়াই হবে ইরানের জন্য ‘সর্বোত্তম পথ’। তার ভাষায়, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন যে ইরান কখনোই পারমাণবিক বোমা অর্জন করতে পারবে না।’
তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে ইরানের কাছে একটি বিস্তারিত ও গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে সেই প্রস্তাবের পূর্ণ বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আরাঘচি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘জাতীয় নীতি, স্বার্থ এবং জনগণের অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।’
আইএইএ’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান যে মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে তা বেসামরিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গবেষণার প্রয়োজনীয় মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এই ইউরেনিয়াম আরও পরিশোধন করা হলে তা দিয়ে ১০টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব।
বিশ্লেষকদের মতে, পারমাণবিক অস্ত্র না থাকা দেশগুলোর মধ্যে ইরানই একমাত্র, যারা এত উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি আইএইএ বোর্ড অব গভর্নরসে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনার প্রস্তুতি নিতে পারে।
তবে ইরান বরাবরই তাদের পরমাণু কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম শনিবার আইএইএ’র প্রতিবেদনকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং ‘ভিত্তিহীন অভিযোগে ভরা’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যদি আইএইএ গভর্নর বোর্ডে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়, তবে তারা পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।