চীন বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং। রোববার (১ জুন) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হেগসেথের বক্তব্যকে চরম অপমানজনক বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সিঙ্গাপুরে আয়োজিত শাংগ্রি-লা প্রতিরক্ষা সম্মেলনে চীনের উদ্দেশ্যে অপমানজনক এবং বিভাজন সৃষ্টিকারী এক মন্তব্য করেছেন হেগসেথ। চীনকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। চীনের অভিযোগ, আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নতির জন্য সবার আহ্বান উপেক্ষা করে চলেছেন হেগসেথ। তিনি উলটো স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা ধরে রেখে জোট হিসেবে সব বিবেচনা করছেন। অপমানজনক সব অভিযোগ তুলে ধরে চীনকে নিন্দনীয় করার প্রচেষ্টা করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চীন বলেছে, ভিত্তিহীনভাবে চীনকে হুমকি বলে বসলেন হেগসেথ। অথচ দক্ষিণ চীন সাগরে আক্রমণাত্মক অস্ত্র মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল বারুদের স্তূপে পরিণত হচ্ছে। শাংগ্রি-লার বক্তব্যে ইন্দো-প্যাসিফিকের মিত্র, বিশেষত অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির আহ্বান জানান হেগসেথ। চীনের বাস্তব ও আসন্ন হুমকি মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক করার পরই ওই আহ্বান জানান তিনি।
হেগসেথের বক্তব্যে তাইওয়ান ইস্যুও উঠে আসে। চীনকে সতর্ক করে তিনি বলেন, তাইওয়ান দখলের কোনও চেষ্টার ভয়াবহ পরিণতি হবে। অবশ্যই এই বক্তব্য স্বাভাবিকভাবে নেয়নি বেইজিং, যার প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে বিবৃতিতে। তাইওয়ান প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রকে আগুন নিয়ে খেলার ব্যাপারে সতর্ক করেছে চীন।
তাইওয়ানকে চীনা শাসনে আনার প্রতিজ্ঞা দীর্ঘদিন থেকেই করে আসছে বেইজিং। তারা সময়ে সময়ে এ-ও বুঝিয়ে দিয়েছে, প্রয়োজনে তারা বলপ্রয়োগেও প্রস্তুত। তবে বেইজিংয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করে তাইপেই সরকার বলেছে, ভবিষ্যৎ শাসন পদ্ধতি নির্ধারণে অধিকার রয়েছে একমাত্র তাইওয়ানের জনগণের হাতে।
রোববার, ০১ জুন ২০২৫
চীন বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং। রোববার (১ জুন) চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হেগসেথের বক্তব্যকে চরম অপমানজনক বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়। রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সিঙ্গাপুরে আয়োজিত শাংগ্রি-লা প্রতিরক্ষা সম্মেলনে চীনের উদ্দেশ্যে অপমানজনক এবং বিভাজন সৃষ্টিকারী এক মন্তব্য করেছেন হেগসেথ। চীনকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। চীনের অভিযোগ, আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নতির জন্য সবার আহ্বান উপেক্ষা করে চলেছেন হেগসেথ। তিনি উলটো স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা ধরে রেখে জোট হিসেবে সব বিবেচনা করছেন। অপমানজনক সব অভিযোগ তুলে ধরে চীনকে নিন্দনীয় করার প্রচেষ্টা করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে চীন বলেছে, ভিত্তিহীনভাবে চীনকে হুমকি বলে বসলেন হেগসেথ। অথচ দক্ষিণ চীন সাগরে আক্রমণাত্মক অস্ত্র মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল বারুদের স্তূপে পরিণত হচ্ছে। শাংগ্রি-লার বক্তব্যে ইন্দো-প্যাসিফিকের মিত্র, বিশেষত অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির আহ্বান জানান হেগসেথ। চীনের বাস্তব ও আসন্ন হুমকি মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক করার পরই ওই আহ্বান জানান তিনি।
হেগসেথের বক্তব্যে তাইওয়ান ইস্যুও উঠে আসে। চীনকে সতর্ক করে তিনি বলেন, তাইওয়ান দখলের কোনও চেষ্টার ভয়াবহ পরিণতি হবে। অবশ্যই এই বক্তব্য স্বাভাবিকভাবে নেয়নি বেইজিং, যার প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে বিবৃতিতে। তাইওয়ান প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রকে আগুন নিয়ে খেলার ব্যাপারে সতর্ক করেছে চীন।
তাইওয়ানকে চীনা শাসনে আনার প্রতিজ্ঞা দীর্ঘদিন থেকেই করে আসছে বেইজিং। তারা সময়ে সময়ে এ-ও বুঝিয়ে দিয়েছে, প্রয়োজনে তারা বলপ্রয়োগেও প্রস্তুত। তবে বেইজিংয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করে তাইপেই সরকার বলেছে, ভবিষ্যৎ শাসন পদ্ধতি নির্ধারণে অধিকার রয়েছে একমাত্র তাইওয়ানের জনগণের হাতে।