তেল আবিবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ভবনের ধ্বংসস্তূপে তৎপরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলের উদ্ধারকর্মীরা -এএফপি
ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকেও ইরানে হামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানে হামলায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও যোগ দেবে কি না, সেটা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে বেশি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন মন্তব্য ও তৎপরতায়ও সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে জড়াতে পারে, এমন আলোচনা শুরু হয় কানাডায় জি-৭ সম্মেলন শেষ না করেই ট্রাম্প ওয়াশিংটনে ফিরে আসায়। ট্রাম্প দেশে ফিরেই যুক্তরাষ্ট্র সময় মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকেন। মন্ত্রিসভার সদস্য, সামরিক নেতৃত্ব ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে ট্রাম্পের ৮০ মিনিটের এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাবে কি না, সেই আলোচনা হয়।
তবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ওই বৈঠক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আলোচনা সম্পর্কে জানেন, এমন পাঁচটি সূত্র বলেছে, সেই বৈঠকে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা শুরু করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ ভিন্নমত পোষণ করেন।
ইরানে ওয়াশিংটনের হামলার পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে তেহরান। ইরান আত্মসমর্পণ করবে না মন্তব্য করে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বৃহস্পতিবার,(১৯ জুন ২০২৫) বলেন, এটা করলে যুক্তরাষ্ট্রকে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।এদিকে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো গতকাল বুধবার পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলে ব্যালিস্টিকের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের জ্যেষ্ঠ ফেলো এলি জেরানমায়েহর মতে, ট্রাম্প ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিলে ইরান সেটা তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করবে। এতে অভূতপূর্ব এক সংকট তৈরি হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যদি এই প্যান্ডোরার বাক্স একবার খুলে যায়, আমরা জানি না পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।’
ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, নতুন করে আরও সামরিক হস্তক্ষেপ ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই সংঘাত যেন আন্তর্জাতিক পরিসরে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য আমি সবাইকে জোরালোভাবে সতর্ক করছি।’ সংঘাতের বিস্তার ঠেকাতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, এই সংকটে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত মস্কো। এ বিষয়ে অন্যান্য আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার মধ্যে ইরানে সরকার পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি একাধিক মন্ত্রী এ নিয়ে কথা বলছেন। ইরানের শেষ শাহ মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভির ছেলে রেজা পাহলভি বলেছেন, ইরানে খামেনি যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। সরকার পতনের পর ১০০ দিনের একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে প্রস্তুত আছেন বলেও জানান তিনি। তবে ইরানে সরকার পরিবর্তন হলে তা একটি ‘বড় ভুল’ হবে বলে মনে করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। তিনি বলেন, ‘সবাইকে আবার আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের প্রয়োজন।’
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো এই তথ্য জানালেও, তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপকালে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় ট্রাম্পকে। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারছি না। আমি এটা করতে পারি, আবার না–ও পারি। কেউ জানে না আমি কী করতে যাচ্ছি।’
এর আগে মঙ্গলবার ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের একাধিক পোস্ট থেকেও যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা শুরু করতে পারে—এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।’ এরপর আরেক পোস্টে ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ আহ্বান জানান তিনি। ট্রাম্প আরেক পোস্টে দাবি করেন, ‘আমরা এখন ইরানের আকাশ পুরোপুরি ও সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।’ ট্রাম্পের বক্তব্যে ‘আমরা’ শব্দটি দেখে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানে হামলায় যোগ দিচ্ছে—এমন আলোচনা জোরালো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানে হামলা চালাবে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত গোপনীয় একটি বিষয়। তাই বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত এক নতুন মোড় নেবে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বেই এর প্রভাব হবে ভয়াবহ।
যুক্তরাষ্ট্রকে এই সংঘাতে যুক্ত করতে ইসরায়েল সব চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর সাবেক প্রধান জন সাওয়ার্স। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ইসরায়েলের লক্ষ্য আমেরিকানদের এই সংঘাতে সরাসরি যুক্ত করা। কারণ, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারলেও সেগুলো ধ্বংস করার ক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। এই ক্ষমতা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই আছে।’
তেল আবিবে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ভবনের ধ্বংসস্তূপে তৎপরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলের উদ্ধারকর্মীরা -এএফপি
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকেও ইরানে হামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইরানে হামলায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও যোগ দেবে কি না, সেটা নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে বেশি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন মন্তব্য ও তৎপরতায়ও সেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে জড়াতে পারে, এমন আলোচনা শুরু হয় কানাডায় জি-৭ সম্মেলন শেষ না করেই ট্রাম্প ওয়াশিংটনে ফিরে আসায়। ট্রাম্প দেশে ফিরেই যুক্তরাষ্ট্র সময় মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকেন। মন্ত্রিসভার সদস্য, সামরিক নেতৃত্ব ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে ট্রাম্পের ৮০ মিনিটের এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাবে কি না, সেই আলোচনা হয়।
তবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ওই বৈঠক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আলোচনা সম্পর্কে জানেন, এমন পাঁচটি সূত্র বলেছে, সেই বৈঠকে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা শুরু করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ইরানে হামলা চালানোর বিষয়ে ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ ভিন্নমত পোষণ করেন।
ইরানে ওয়াশিংটনের হামলার পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে তেহরান। ইরান আত্মসমর্পণ করবে না মন্তব্য করে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বৃহস্পতিবার,(১৯ জুন ২০২৫) বলেন, এটা করলে যুক্তরাষ্ট্রকে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।এদিকে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো গতকাল বুধবার পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইরান ও ইসরায়েল। ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলে ব্যালিস্টিকের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের জ্যেষ্ঠ ফেলো এলি জেরানমায়েহর মতে, ট্রাম্প ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত নিলে ইরান সেটা তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করবে। এতে অভূতপূর্ব এক সংকট তৈরি হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যদি এই প্যান্ডোরার বাক্স একবার খুলে যায়, আমরা জানি না পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।’
ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, নতুন করে আরও সামরিক হস্তক্ষেপ ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এই সংঘাত যেন আন্তর্জাতিক পরিসরে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য আমি সবাইকে জোরালোভাবে সতর্ক করছি।’ সংঘাতের বিস্তার ঠেকাতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, এই সংকটে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত মস্কো। এ বিষয়ে অন্যান্য আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে।
ইসরায়েলের হামলার মধ্যে ইরানে সরকার পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি একাধিক মন্ত্রী এ নিয়ে কথা বলছেন। ইরানের শেষ শাহ মোহাম্মদ রেজা শাহ পাহলভির ছেলে রেজা পাহলভি বলেছেন, ইরানে খামেনি যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। সরকার পতনের পর ১০০ দিনের একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়ে প্রস্তুত আছেন বলেও জানান তিনি। তবে ইরানে সরকার পরিবর্তন হলে তা একটি ‘বড় ভুল’ হবে বলে মনে করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। তিনি বলেন, ‘সবাইকে আবার আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আমাদের প্রয়োজন।’
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো এই তথ্য জানালেও, তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপকালে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় ট্রাম্পকে। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারছি না। আমি এটা করতে পারি, আবার না–ও পারি। কেউ জানে না আমি কী করতে যাচ্ছি।’
এর আগে মঙ্গলবার ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের একাধিক পোস্ট থেকেও যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা শুরু করতে পারে—এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।’ এরপর আরেক পোস্টে ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ আহ্বান জানান তিনি। ট্রাম্প আরেক পোস্টে দাবি করেন, ‘আমরা এখন ইরানের আকাশ পুরোপুরি ও সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।’ ট্রাম্পের বক্তব্যে ‘আমরা’ শব্দটি দেখে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানে হামলায় যোগ দিচ্ছে—এমন আলোচনা জোরালো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরানে হামলা চালাবে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত গোপনীয় একটি বিষয়। তাই বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত এক নতুন মোড় নেবে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বেই এর প্রভাব হবে ভয়াবহ।
যুক্তরাষ্ট্রকে এই সংঘাতে যুক্ত করতে ইসরায়েল সব চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই৬-এর সাবেক প্রধান জন সাওয়ার্স। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ইসরায়েলের লক্ষ্য আমেরিকানদের এই সংঘাতে সরাসরি যুক্ত করা। কারণ, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারলেও সেগুলো ধ্বংস করার ক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। এই ক্ষমতা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেরই আছে।’