ক্যারোলিন লেভিট। ছবি: রয়টার্স।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে সরাসরি জড়াবে কি না, সে বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য। তিনি বিশ্বাস করেন, এই সময়ের মধ্যে ইরানের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। আলোচনার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই যুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হবে।”
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণের আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরান। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খতিবজাদেহ বিবিসিকে বলেন, “ইরান কূটনৈতিক সমাধান চায়। কিন্তু আক্রমণ বন্ধ না হলে কোনো আলোচনাই সম্ভব নয়। এই যুদ্ধ আমেরিকার নয়— ট্রাম্প যদি এতে জড়ান, তাহলে ইতিহাসে তাকে মনে রাখা হবে এমন এক যুদ্ধের জন্য, যা তার ছিল না।”
যুদ্ধের সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘মাগা’ (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) ঘরানার সমর্থকরাও। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের জয়ে এই শিবিরের বড় ভূমিকা ছিল, কিন্তু এখন তারাই যুদ্ধ বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন।
ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন বলেন, “আরেকটি যুদ্ধ আমাদের দেশকে ছিন্নভিন্ন করে দেবে। আমরা আবার আরেকটি ইরাক চাই না।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “ট্রাম্পকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা চলছে, যেন ইরানের সরকারের পতনের দায় তার ঘাড়ে চাপানো যায়।”
ব্যাননের সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই মত দিয়েছেন মাগা আন্দোলনের পরিচিত মুখ জ্যাক পসোবিয়েক। তারা বলছেন, কূটনৈতিক পথ পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত হবে না।
ক্যারোলিন লেভিট। ছবি: রয়টার্স।
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে সরাসরি জড়াবে কি না, সে বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য। তিনি বিশ্বাস করেন, এই সময়ের মধ্যে ইরানের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। আলোচনার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই যুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হবে।”
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণের আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরান। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খতিবজাদেহ বিবিসিকে বলেন, “ইরান কূটনৈতিক সমাধান চায়। কিন্তু আক্রমণ বন্ধ না হলে কোনো আলোচনাই সম্ভব নয়। এই যুদ্ধ আমেরিকার নয়— ট্রাম্প যদি এতে জড়ান, তাহলে ইতিহাসে তাকে মনে রাখা হবে এমন এক যুদ্ধের জন্য, যা তার ছিল না।”
যুদ্ধের সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘মাগা’ (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) ঘরানার সমর্থকরাও। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের জয়ে এই শিবিরের বড় ভূমিকা ছিল, কিন্তু এখন তারাই যুদ্ধ বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন।
ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন বলেন, “আরেকটি যুদ্ধ আমাদের দেশকে ছিন্নভিন্ন করে দেবে। আমরা আবার আরেকটি ইরাক চাই না।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “ট্রাম্পকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা চলছে, যেন ইরানের সরকারের পতনের দায় তার ঘাড়ে চাপানো যায়।”
ব্যাননের সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই মত দিয়েছেন মাগা আন্দোলনের পরিচিত মুখ জ্যাক পসোবিয়েক। তারা বলছেন, কূটনৈতিক পথ পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত হবে না।