ইরানকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমরসজ্জা
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত আবাসিক ভবন খতিয়ে দেখছেন ইসরায়েলের নিরাপত্তাকর্মীরা -এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জড়াবে কি না। ট্রাম্পের এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ওই এলাকায় ব্যাপক সামরিক সরঞ্জাম জড়ো করেছে এবং ইরান ও ইউরোপীয় নেতৃত্বাধীন সংঘর্ষ প্রশমন প্রচেষ্টার ওপর চাপ তৈরি করেছে।
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোহরে খারাজমি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভালোভাবেই অবগত আছেন যে, ইরানের কাছে ‘বিভিন্ন রেঞ্জের হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র’ রয়েছে। আর তিনি যুদ্ধে জড়ালে ইরানের আঞ্চলিক মিত্ররা ‘মার্কিন ঘাঁটিতে প্রচুর আগুন’ ঝরাতে পারে এটাও তিনি জানেন। আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক খারাজমি বলেন, ‘ট্রাম্প নিজেই দোটানায় ভুগছেন এবং সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে দ্বিধাগ্রস্ত বলে মনে হচ্ছে।’
খারাজমি আরও বলেন, ‘এমনকি আজও, যুক্তরাষ্ট্রের দশজনের মধ্যে আটজন কূটনৈতিক সমাধানের কথা ভাবছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যুদ্ধে প্রবেশে একমত নন।’ তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমি মনে করি, যদি পশ্চিম, চীন, রাশিয়া এবং আরব রাষ্ট্রগুলো অন্যান্য দেশের পাশাপাশি পরিস্থিতির জন্য আরও বেশি দায়িত্বশীল ও জবাবদিহি হয়, তাহলে তারা সত্যিই একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে।’
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের অন্তত ১৯টি স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনা রয়েছে, যার মধ্যে বাহরাইন, মিসর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটটি স্থায়ী ঘাঁটি রয়েছে। এসব ঘাঁটিতে প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। প্রয়োজনে কয়েক গুণ বাড়াতেও পারে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে, ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তার নিজস্ব ‘অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ নামে একটি জোট তৈরি করেছে। এই জোটে রয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী এবং ফিলিস্তিনের হামাসের মতো বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীগুলো অতীতে মার্কিন ও ইসরায়েলি স্বার্থের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাদের কাছে বিভিন্ন পাল্লার ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে কিছু ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিতে পৌঁছাতে সক্ষম। ইরানের সেজ্জিল-২ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার এবং সম্প্রতি উন্মোচিত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ফাত্তাহ’র গতি শব্দের পাঁচ গুণেরও বেশি, যা প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এমন এক সময় খারাজমি এমন মন্তব্য করলেন যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং সামরিক ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে, আর ইরান পাল্টা জবাব দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে আঞ্চলিক সংঘাতের ব্যাপকতা মারাত্মক হতে পারে এবং মার্কিন স্বার্থের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দেয়ার মাধ্যমে ইরান সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে চাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে। রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি ইসরায়েলের বিমান হামলায় যুক্ত হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বহু মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে ইরানে হামলা চালানো হবে, ফলে এসব ঘাঁটিই ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠতে পারে।
যেসব ঘাঁটি সম্ভাব্য ইরানি হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে, সেখান থেকে ইতোমধ্যে কিছু বিমান ও জাহাজ সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে বুধবার রয়টার্সকে জানান দুজন মার্কিন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস একটি সতর্কবার্তা জারি করে, অস্থায়ীভাবে তাদের কর্মীদের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই ঘাঁটিটি মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক স্থাপনা, যা দোহার বাইরে মরুভূমিতে অবস্থিত।
এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে এফ-১৬, এফ-২২ এবং এফ-৩৫-সহ আরও কিছু যুদ্ধবিমান মোতায়েন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এই বাহিনী ড্রোন ও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামিয়ে কর্মী ও স্থাপনাগুলোর সুরক্ষা দিতে পারবে। ইউএসএস নিমিৎজ বিমানবাহী রণতরী স্ট্রাইক গ্রুপকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে পাঠানো হয়েছে, যা আগে থেকে মোতায়েনকৃত ইউএসএস কার্ল ভিনসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রে যুক্তরাজ্য-মার্কিন যৌথ সামরিক ঘাঁটি দিয়েগো গার্সিয়ায় বি-৫২ বোমারু বিমানসহ অন্যান্য যুদ্ধবিমান দেখা গেছে।
ইরানের আকাশসীমায় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ থাকায় তারা বিস্তৃত বোমাবর্ষণ চালাতে পারছে, তবে দেশটির ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া পেরে উঠবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা। তবে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় স্থাপনাটির তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি এখনো দৃশ্যমান হয়নি।
ইরানকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমরসজ্জা
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত আবাসিক ভবন খতিয়ে দেখছেন ইসরায়েলের নিরাপত্তাকর্মীরা -এএফপি
শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জড়াবে কি না। ট্রাম্পের এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ওই এলাকায় ব্যাপক সামরিক সরঞ্জাম জড়ো করেছে এবং ইরান ও ইউরোপীয় নেতৃত্বাধীন সংঘর্ষ প্রশমন প্রচেষ্টার ওপর চাপ তৈরি করেছে।
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোহরে খারাজমি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভালোভাবেই অবগত আছেন যে, ইরানের কাছে ‘বিভিন্ন রেঞ্জের হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র’ রয়েছে। আর তিনি যুদ্ধে জড়ালে ইরানের আঞ্চলিক মিত্ররা ‘মার্কিন ঘাঁটিতে প্রচুর আগুন’ ঝরাতে পারে এটাও তিনি জানেন। আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক খারাজমি বলেন, ‘ট্রাম্প নিজেই দোটানায় ভুগছেন এবং সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে দ্বিধাগ্রস্ত বলে মনে হচ্ছে।’
খারাজমি আরও বলেন, ‘এমনকি আজও, যুক্তরাষ্ট্রের দশজনের মধ্যে আটজন কূটনৈতিক সমাধানের কথা ভাবছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি যুদ্ধে প্রবেশে একমত নন।’ তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমি মনে করি, যদি পশ্চিম, চীন, রাশিয়া এবং আরব রাষ্ট্রগুলো অন্যান্য দেশের পাশাপাশি পরিস্থিতির জন্য আরও বেশি দায়িত্বশীল ও জবাবদিহি হয়, তাহলে তারা সত্যিই একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে।’
মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের অন্তত ১৯টি স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনা রয়েছে, যার মধ্যে বাহরাইন, মিসর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটটি স্থায়ী ঘাঁটি রয়েছে। এসব ঘাঁটিতে প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। প্রয়োজনে কয়েক গুণ বাড়াতেও পারে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে, ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তার নিজস্ব ‘অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স’ নামে একটি জোট তৈরি করেছে। এই জোটে রয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী এবং ফিলিস্তিনের হামাসের মতো বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীগুলো অতীতে মার্কিন ও ইসরায়েলি স্বার্থের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাদের কাছে বিভিন্ন পাল্লার ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে কিছু ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিতে পৌঁছাতে সক্ষম। ইরানের সেজ্জিল-২ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার এবং সম্প্রতি উন্মোচিত হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘ফাত্তাহ’র গতি শব্দের পাঁচ গুণেরও বেশি, যা প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এমন এক সময় খারাজমি এমন মন্তব্য করলেন যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং সামরিক ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে, আর ইরান পাল্টা জবাব দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে আঞ্চলিক সংঘাতের ব্যাপকতা মারাত্মক হতে পারে এবং মার্কিন স্বার্থের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দেয়ার মাধ্যমে ইরান সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে চাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছে। রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি সরাসরি ইসরায়েলের বিমান হামলায় যুক্ত হয়, তবে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বহু মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে ইরানে হামলা চালানো হবে, ফলে এসব ঘাঁটিই ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠতে পারে।
যেসব ঘাঁটি সম্ভাব্য ইরানি হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে, সেখান থেকে ইতোমধ্যে কিছু বিমান ও জাহাজ সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে বুধবার রয়টার্সকে জানান দুজন মার্কিন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস একটি সতর্কবার্তা জারি করে, অস্থায়ীভাবে তাদের কর্মীদের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই ঘাঁটিটি মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক স্থাপনা, যা দোহার বাইরে মরুভূমিতে অবস্থিত।
এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে এফ-১৬, এফ-২২ এবং এফ-৩৫-সহ আরও কিছু যুদ্ধবিমান মোতায়েন শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এই বাহিনী ড্রোন ও অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নামিয়ে কর্মী ও স্থাপনাগুলোর সুরক্ষা দিতে পারবে। ইউএসএস নিমিৎজ বিমানবাহী রণতরী স্ট্রাইক গ্রুপকে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে পাঠানো হয়েছে, যা আগে থেকে মোতায়েনকৃত ইউএসএস কার্ল ভিনসনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্রে যুক্তরাজ্য-মার্কিন যৌথ সামরিক ঘাঁটি দিয়েগো গার্সিয়ায় বি-৫২ বোমারু বিমানসহ অন্যান্য যুদ্ধবিমান দেখা গেছে।
ইরানের আকাশসীমায় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ থাকায় তারা বিস্তৃত বোমাবর্ষণ চালাতে পারছে, তবে দেশটির ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া পেরে উঠবে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইসরায়েলের প্রধান লক্ষ্য ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা। তবে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় স্থাপনাটির তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি এখনো দৃশ্যমান হয়নি।