ইরান-ইসরায়েল সংঘাত
ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই বাড়ির একাংশ। বাড়ির পাশেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। হামলার পর সেখানে যান ইসরায়েলের সেনা ও দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা। গতকাল ইসরায়েলের বেইত শেয়ান এলাকায়
ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই বাড়ির একাংশ। বাড়ির পাশেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। হামলার পর সেখানে যান ইসরায়েলের সেনা ও দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা। গতকাল ইসরায়েলের বেইত শেয়ান এলাকায় ছবি : এএফপি
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। সংঘাত বন্ধে বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে কূটনৈতিক তৎপরতা। জরুরি অধিবেশন হয়েছে জাতিসংঘে। চলমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের বিষয়ে ইরান কিছুটা আগ্রহ দেখালেও হামলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বেপরোয়া ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে সংঘাত নিরসনের আলোচনায় কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
শনিবার সংঘাতের নবম দিনেও ইরানের দুই সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। হামলা হয়েছে ইরানের একটি পরমাণু স্থাপনায়। তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইরানও। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে দেশটির একাধিক বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
এ সংঘাত থামাতে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যে গতকাল তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। শহরটিতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে আরাগচি জানান, ইরানে ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হলেই কেবল তেহরানের কূটনৈতিক সমাধানের পথে ফেরা সম্ভব।
এতে আপত্তি রয়েছে ইসরায়েলের। দেশটির নেতাদের দাবি, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে। এ সক্ষমতা ধ্বংসের যে লক্ষ্য নিয়ে তারা হামলা শুরু করেছে, তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত থামাবে না। এ হামলার শুরু থেকেই ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে গতকাল আরাগচি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের আলোচনায় ফেরা সম্ভব নয়।
ইরানের পরমাণু প্রকল্পগুলো নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের ওই আলোচনা চলছিল।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর তা স্থগিত করে তেহরান।
ইরানকে ওই আলোচনায় ফেরানোর লক্ষ্যে গত শুক্রবার জেনেভায় আব্বাস আরাগচির সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান। ওই আলোচনা ‘গঠনমূলক’ হয়েছে বলে দুই পক্ষই জানালেও শিগগিরই সংঘাত বন্ধের বিষয়ে কোনো আশার কথা শোনাতে পারেনি। শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশন থেকেও ইতিবাচক কোনো সংবাদ আসেনি।
সংঘাত বন্ধের কূটনৈতিক সমাধানে অগ্রগতির জন্য ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে বলে মনে করেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোহরেহ খারাজমি। আলজাজিরাকে তিনি বলেন, পশ্চিমাদের ওপর ইরানের কোনো আস্থা নেই। তারা একদিকে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে, অপর দিকে হামলার জন্য ইসরায়েলকে সবুজসংকেত দিয়ে যাচ্ছে। কূটনীতি যেন সফল হয়, সে জন্য ইরানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানাতে হবে।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত
রোববার, ২২ জুন ২০২৫
ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই বাড়ির একাংশ। বাড়ির পাশেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। হামলার পর সেখানে যান ইসরায়েলের সেনা ও দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা। গতকাল ইসরায়েলের বেইত শেয়ান এলাকায়
ইরানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই বাড়ির একাংশ। বাড়ির পাশেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। হামলার পর সেখানে যান ইসরায়েলের সেনা ও দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা। গতকাল ইসরায়েলের বেইত শেয়ান এলাকায় ছবি : এএফপি
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। সংঘাত বন্ধে বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে কূটনৈতিক তৎপরতা। জরুরি অধিবেশন হয়েছে জাতিসংঘে। চলমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের বিষয়ে ইরান কিছুটা আগ্রহ দেখালেও হামলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বেপরোয়া ইসরায়েল। এমন পরিস্থিতিতে সংঘাত নিরসনের আলোচনায় কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
শনিবার সংঘাতের নবম দিনেও ইরানের দুই সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। হামলা হয়েছে ইরানের একটি পরমাণু স্থাপনায়। তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইরানও। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে দেশটির একাধিক বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
এ সংঘাত থামাতে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যে গতকাল তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। শহরটিতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে আরাগচি জানান, ইরানে ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হলেই কেবল তেহরানের কূটনৈতিক সমাধানের পথে ফেরা সম্ভব।
এতে আপত্তি রয়েছে ইসরায়েলের। দেশটির নেতাদের দাবি, ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে। এ সক্ষমতা ধ্বংসের যে লক্ষ্য নিয়ে তারা হামলা শুরু করেছে, তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত থামাবে না। এ হামলার শুরু থেকেই ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে গতকাল আরাগচি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের আলোচনায় ফেরা সম্ভব নয়।
ইরানের পরমাণু প্রকল্পগুলো নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের ওই আলোচনা চলছিল।
ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর তা স্থগিত করে তেহরান।
ইরানকে ওই আলোচনায় ফেরানোর লক্ষ্যে গত শুক্রবার জেনেভায় আব্বাস আরাগচির সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান। ওই আলোচনা ‘গঠনমূলক’ হয়েছে বলে দুই পক্ষই জানালেও শিগগিরই সংঘাত বন্ধের বিষয়ে কোনো আশার কথা শোনাতে পারেনি। শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশন থেকেও ইতিবাচক কোনো সংবাদ আসেনি।
সংঘাত বন্ধের কূটনৈতিক সমাধানে অগ্রগতির জন্য ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে বলে মনে করেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোহরেহ খারাজমি। আলজাজিরাকে তিনি বলেন, পশ্চিমাদের ওপর ইরানের কোনো আস্থা নেই। তারা একদিকে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে, অপর দিকে হামলার জন্য ইসরায়েলকে সবুজসংকেত দিয়ে যাচ্ছে। কূটনীতি যেন সফল হয়, সে জন্য ইরানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানাতে হবে।