যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া আরও জোরালো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের খতম আল-আনবিয়া কেন্দ্রীয় সামরিক সদরদপ্তরের মুখপাত্র ইব্রাহিম জুলফাকারি এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, “জুয়াড়ি ট্রাম্প, আপনি হয়তো যুদ্ধ শুরু করতে পারেন, কিন্তু আমরাই সেই যুদ্ধের ইতি টানতে যাচ্ছি।”
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলতে থাকলেও বিশ্ব তাকিয়ে আছে— যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরান কী জবাব দেয় তা দেখার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, ইরানের জবাবের ফলে তেহরানের সরকার পতনের পথ তৈরি হতে পারে।
বাণিজ্যিক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, মার্কিন হামলার পর ফোরদোর পারমাণবিক স্থাপনার পাহাড়ে ছয়টি গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব গর্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমার প্রভাব বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও স্থাপনাটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড়ে গর্ত দেখে অভ্যন্তরীণ ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ সম্ভব নয়। তবে ট্রাম্প দাবি করেন, “ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাটির অনেক নিচে। অব্যর্থ নিশানা।”
এর আগে তিনি হুঁশিয়ার করেছিলেন, ইরানের উচিত শান্তির পথে আসা। না হলে ভবিষ্যত হামলা হবে আরও ভয়ঙ্কর ও সহজ। এই বক্তব্যের পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন জানান, তারা ইরানের তিনটি পারমাণবিক বোমা লক্ষ্য করে ৭৫টি নির্দিষ্ট গোলা এবং দুই ডজনের বেশি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেন।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি জানান, হামলার পর তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বাড়েনি। তবে স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি সিএনএনকে জানান।
একজন ইরানি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই তারা ফোরদো থেকে অধিকাংশ উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছিল।
তেহরান বারবার বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং তারা কোনো অস্ত্র তৈরি করতে চায় না।
মার্কিন হামলার পর ইরান ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে তেল আবিবের অনেক ভবন ধ্বংস করলেও এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা বা হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি বাস্তবায়ন করেনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম হু হু করে বাড়বে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর, যা বাহরাইনে অবস্থান করে, ওই অঞ্চল মুক্ত করতে তৎপর হবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া আরও জোরালো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের খতম আল-আনবিয়া কেন্দ্রীয় সামরিক সদরদপ্তরের মুখপাত্র ইব্রাহিম জুলফাকারি এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, “জুয়াড়ি ট্রাম্প, আপনি হয়তো যুদ্ধ শুরু করতে পারেন, কিন্তু আমরাই সেই যুদ্ধের ইতি টানতে যাচ্ছি।”
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলতে থাকলেও বিশ্ব তাকিয়ে আছে— যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরান কী জবাব দেয় তা দেখার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, ইরানের জবাবের ফলে তেহরানের সরকার পতনের পথ তৈরি হতে পারে।
বাণিজ্যিক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, মার্কিন হামলার পর ফোরদোর পারমাণবিক স্থাপনার পাহাড়ে ছয়টি গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব গর্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমার প্রভাব বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও স্থাপনাটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড়ে গর্ত দেখে অভ্যন্তরীণ ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ সম্ভব নয়। তবে ট্রাম্প দাবি করেন, “ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাটির অনেক নিচে। অব্যর্থ নিশানা।”
এর আগে তিনি হুঁশিয়ার করেছিলেন, ইরানের উচিত শান্তির পথে আসা। না হলে ভবিষ্যত হামলা হবে আরও ভয়ঙ্কর ও সহজ। এই বক্তব্যের পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন জানান, তারা ইরানের তিনটি পারমাণবিক বোমা লক্ষ্য করে ৭৫টি নির্দিষ্ট গোলা এবং দুই ডজনের বেশি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেন।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি জানান, হামলার পর তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বাড়েনি। তবে স্থাপনাগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি সিএনএনকে জানান।
একজন ইরানি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই তারা ফোরদো থেকে অধিকাংশ উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছিল।
তেহরান বারবার বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং তারা কোনো অস্ত্র তৈরি করতে চায় না।
মার্কিন হামলার পর ইরান ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে তেল আবিবের অনেক ভবন ধ্বংস করলেও এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা বা হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি বাস্তবায়ন করেনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম হু হু করে বাড়বে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহর, যা বাহরাইনে অবস্থান করে, ওই অঞ্চল মুক্ত করতে তৎপর হবে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।