উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনগুলোর দিকে তাকিয়ে আছেন এক ফিলিস্তিনি যুবক। ছবি: রয়টার্স
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের অবসান এবং মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে হামাস।
বিভিন্ন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ও দলের সঙ্গে পরামর্শ শেষে সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নতুনভাবে অংশ নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের আলোচনা শুরু করতে চায়। এ আলোচনায় জড়িত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, হামাস প্রস্তাবিত চুক্তির কাঠামো মেনে নিয়েছে, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন চেয়েছে। তাদের অন্যতম শর্ত, যদি আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেয়, তাহলেও যেন যুদ্ধ আবার শুরু না হয়—এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
হামাসের মিত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতির আলোচনা সমর্থন করেছে। তবে তারা চায়, এই প্রক্রিয়ায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত থাকুক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে এবং এই সময়ের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা চলবে। হামাসকেও তিনি ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং সতর্ক করে বলেন, এর চেয়ে ভালো কিছু আর আসবে না।
যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ধাপে ধাপে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং ১৮ জন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করবে হামাস। এর বদলে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। এখনো গাজায় প্রায় ৫০ জন জিম্মি আটক রয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চূড়ান্ত চুক্তিতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির তত্ত্বাবধানে গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশের ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনগুলোর দিকে তাকিয়ে আছেন এক ফিলিস্তিনি যুবক। ছবি: রয়টার্স
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের অবসান এবং মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে হামাস।
বিভিন্ন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ও দলের সঙ্গে পরামর্শ শেষে সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির আলোচনায় নতুনভাবে অংশ নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের আলোচনা শুরু করতে চায়। এ আলোচনায় জড়িত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, হামাস প্রস্তাবিত চুক্তির কাঠামো মেনে নিয়েছে, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন চেয়েছে। তাদের অন্যতম শর্ত, যদি আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেয়, তাহলেও যেন যুদ্ধ আবার শুরু না হয়—এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।
হামাসের মিত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদও যুদ্ধবিরতির আলোচনা সমর্থন করেছে। তবে তারা চায়, এই প্রক্রিয়ায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত থাকুক।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে এবং এই সময়ের মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তিচুক্তির লক্ষ্যে আলোচনা চলবে। হামাসকেও তিনি ‘চূড়ান্ত প্রস্তাব’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন এবং সতর্ক করে বলেন, এর চেয়ে ভালো কিছু আর আসবে না।
যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ধাপে ধাপে ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং ১৮ জন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করবে হামাস। এর বদলে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। এখনো গাজায় প্রায় ৫০ জন জিম্মি আটক রয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চূড়ান্ত চুক্তিতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির তত্ত্বাবধানে গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা প্রবেশের ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।