যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। শুক্রবার নিজেদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের সশস্ত্র এই রাজনৈতিক গোষ্ঠটি। ওয়েবসাইটে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে হামাস বলেছে, “গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন থামাতে সর্বশেষ যে প্রস্তাবটি মধ্যস্থতাকারীরা দিয়েছেন—সেটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে এবং নিজেদের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছি আমরা।”
“আমাদের ভাতৃপ্রতিম মধ্যস্থতাকারীদের ইতোমধ্যে আমরা জানিয়েছি যে আমরা প্রস্তাবটিকে খুবই ইতিবাচক বলে মনে করছি। নতুন এই প্রস্তাবের ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় আলোচনাপর্ব শুরু করতে হামাস পুরোপুরি প্রস্তুত।” গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি প্রস্তাব দেন ডনাল্ড ট্রাম্প। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজায় ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। বিরতির এই সময়ে সেখানে অভিযান বন্ধ রাখবে ইসরায়েলি বাহিনী এবং গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে এখনও যারা জীবিত আছেন— তাদের সবাইকে এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই মুক্তি দিতে হবে।
পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির ৬০ দিনে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ বৃদ্ধি করা হবে এবং গুরুতর অপরাধী নন কিন্তু ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি আছেন— এমন সব ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে ইসরায়েল। গত ২৯ জুন রোববার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতির হবে বলে আশা করছেন তিনি। পরের দিন ৩০ জুন হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। তারপর গত ১ জুলাই মঙ্গলবার এই নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আনেন তিনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এই নতুন প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন আগেই। গতকাল শুক্রবার প্রস্তাবের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে হামাসকে ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই ইতিবাচক সাড়া দিলো হামাস।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ১৩৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬২৫ জন। শুক্রবার (৪ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নতুন তালিকা যোগ হওয়ায়, গত ২১ মাসে গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের মোট নিহতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ২৬৮ এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৩ জনে পৌঁছেছে।
‘তবে আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। ধ্বংসস্তূপের তলায় অনেকে চাপা পড়ে আছে। তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি’, বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৪ হাজার ৯২৭। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন ফিলিস্তিনি।
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। শুক্রবার নিজেদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের সশস্ত্র এই রাজনৈতিক গোষ্ঠটি। ওয়েবসাইটে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে হামাস বলেছে, “গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন থামাতে সর্বশেষ যে প্রস্তাবটি মধ্যস্থতাকারীরা দিয়েছেন—সেটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে এবং নিজেদের মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছি আমরা।”
“আমাদের ভাতৃপ্রতিম মধ্যস্থতাকারীদের ইতোমধ্যে আমরা জানিয়েছি যে আমরা প্রস্তাবটিকে খুবই ইতিবাচক বলে মনে করছি। নতুন এই প্রস্তাবের ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় আলোচনাপর্ব শুরু করতে হামাস পুরোপুরি প্রস্তুত।” গত সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি প্রস্তাব দেন ডনাল্ড ট্রাম্প। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজায় ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। বিরতির এই সময়ে সেখানে অভিযান বন্ধ রাখবে ইসরায়েলি বাহিনী এবং গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে এখনও যারা জীবিত আছেন— তাদের সবাইকে এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই মুক্তি দিতে হবে।
পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির ৬০ দিনে গাজায় খাদ্য ও ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ বৃদ্ধি করা হবে এবং গুরুতর অপরাধী নন কিন্তু ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি আছেন— এমন সব ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে ইসরায়েল। গত ২৯ জুন রোববার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতির হবে বলে আশা করছেন তিনি। পরের দিন ৩০ জুন হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। তারপর গত ১ জুলাই মঙ্গলবার এই নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তির ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আনেন তিনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ট্রাম্পের এই নতুন প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন আগেই। গতকাল শুক্রবার প্রস্তাবের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে হামাসকে ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই ইতিবাচক সাড়া দিলো হামাস।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ১৩৮ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬২৫ জন। শুক্রবার (৪ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই নতুন তালিকা যোগ হওয়ায়, গত ২১ মাসে গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের মোট নিহতের সংখ্যা ৫৭ হাজার ২৬৮ এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৭৩ জনে পৌঁছেছে।
‘তবে আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। ধ্বংসস্তূপের তলায় অনেকে চাপা পড়ে আছে। তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি’, বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৪ হাজার ৯২৭। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন ফিলিস্তিনি।