গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গটি সাম্প্রতিক সময়ে আবারও গুরুত্ব পাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি হয়েছে এবং আলোচকেরা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ বের করতে আলোচনা শুরু করতে পারেন।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলেছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে, তবে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের কিছু দাবিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করলেও প্রতিনিধিদের দোহায় আলোচনার জন্য পাঠিয়েছেন।
সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, গাজা ইস্যুতে আগামী সপ্তাহেই চুক্তি হতে পারে।
হামাসের তিন দাবি
১. জিএইচএফের কার্যক্রম বন্ধ: গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল–সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কার্যক্রম বন্ধ করা। এই প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৪৩ জন ফিলিস্তিনি।
২. ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার: গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করে যুদ্ধবিরতির পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া।
৩. আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা: ভবিষ্যতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ না হয় তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা চায় হামাস।
যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত প্রস্তাবের মূল পয়েন্ট
হামাসের হাতে আটক ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি ও ১৮ জন জিম্মির মরদেহ ধাপে ধাপে হস্তান্তরের বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ ও রেডক্রসের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ, এবং ধাপে ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কথাও আছে।
ইসরায়েলের অবস্থান
নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত প্রস্তাবে সম্মতি দিলেও হামাসের সংশোধনীগুলো অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সব জিম্মি মুক্ত না হওয়া এবং হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ হবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা বাস্তবে অসম্ভব, এটি নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক কৌশল। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে এবং তিনি রাজনৈতিক স্বার্থে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন।
গাজায় প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ
ইসরায়েল গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পশ্চিম তীরে ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া ও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ চলছে।
চুক্তির সম্ভাবনা
ট্রাম্প চুক্তির বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরায়েল এবং নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির পক্ষে নন।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আদনান হায়াজনে বলেন, “ইসরায়েলের উদ্দেশ্য জনমানবহীন গাজা তৈরি করা।” তাঁর মতে, ফিলিস্তিনিদের সামনে তিনটি পথ—অনাহারে মৃত্যু, নিহত হওয়া, কিংবা ভূমি ছেড়ে যাওয়া। তবে ফিলিস্তিনিরা প্রমাণ করেছেন, তাঁরা ভূমি ছাড়বেন না।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গটি সাম্প্রতিক সময়ে আবারও গুরুত্ব পাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি হয়েছে এবং আলোচকেরা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথ বের করতে আলোচনা শুরু করতে পারেন।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলেছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে, তবে কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের কিছু দাবিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করলেও প্রতিনিধিদের দোহায় আলোচনার জন্য পাঠিয়েছেন।
সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, গাজা ইস্যুতে আগামী সপ্তাহেই চুক্তি হতে পারে।
হামাসের তিন দাবি
১. জিএইচএফের কার্যক্রম বন্ধ: গাজায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল–সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) কার্যক্রম বন্ধ করা। এই প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে নিহত হয়েছেন অন্তত ৭৪৩ জন ফিলিস্তিনি।
২. ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার: গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করে যুদ্ধবিরতির পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া।
৩. আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা: ভবিষ্যতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ না হয় তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা চায় হামাস।
যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত প্রস্তাবের মূল পয়েন্ট
হামাসের হাতে আটক ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি ও ১৮ জন জিম্মির মরদেহ ধাপে ধাপে হস্তান্তরের বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ ও রেডক্রসের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ, এবং ধাপে ধাপে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কথাও আছে।
ইসরায়েলের অবস্থান
নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত প্রস্তাবে সম্মতি দিলেও হামাসের সংশোধনীগুলো অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সব জিম্মি মুক্ত না হওয়া এবং হামাস ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ হবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা বাস্তবে অসম্ভব, এটি নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক কৌশল। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে এবং তিনি রাজনৈতিক স্বার্থে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চাইছেন।
গাজায় প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ
ইসরায়েল গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পশ্চিম তীরে ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া ও কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ চলছে।
চুক্তির সম্ভাবনা
ট্রাম্প চুক্তির বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইসরায়েল এবং নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির পক্ষে নন।
কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আদনান হায়াজনে বলেন, “ইসরায়েলের উদ্দেশ্য জনমানবহীন গাজা তৈরি করা।” তাঁর মতে, ফিলিস্তিনিদের সামনে তিনটি পথ—অনাহারে মৃত্যু, নিহত হওয়া, কিংবা ভূমি ছেড়ে যাওয়া। তবে ফিলিস্তিনিরা প্রমাণ করেছেন, তাঁরা ভূমি ছাড়বেন না।