ভারত সরকার যদি অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাতে পারে, তবে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত পাঠানো হচ্ছে না—এই প্রশ্ন তুলেছেন হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)-এর প্রধান ওয়াইসি বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আয়োজিত ‘আইডিয়া এক্সচেঞ্জ’ অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা কেন সেই ক্ষমতাচ্যুত নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) আমাদের দেশে রাখছি? তাকে ফেরত পাঠান। তিনিও তো একজন বাংলাদেশি, তাই না?”
তিনি বলেন, ভারতের উচিত ঢাকায় জনগণের বিপ্লবকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা।
২০২৪ সালের অগাস্টে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা দিল্লিতে ভারত সরকারের আশ্রয়ে আছেন। আন্দোলন দমনে শত শত মানুষ হত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকার তাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছে, কিন্তু ভারত এখনও কোনো সাড়া দেয়নি।
সম্প্রতি অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর নামে ভারত থেকে বাংলাভাষীদের ধরে সীমান্তে ঠেলে দেওয়ার সমালোচনা করেন ওয়াইসি। তিনি বলেন, “আমাদের দেশে একজন বাংলাদেশি (হাসিনা) বসবাস করছেন, যিনি বিবৃতি আর বক্তৃতা দিয়ে সমস্যা তৈরি করছেন। অথচ মালদা ও মুর্শিদাবাদের গরিব বাংলাভাষী ভারতীয়দের পুণে থেকে বিমানে করে কলকাতায় এনে নো-ম্যানস-ল্যান্ডে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যে কেউ বাংলা বললেই কি সে বাংলাদেশি হয়ে যাবে? এটাই প্রমাণ করে এখানে কী ধরনের বিদ্বেষী মানসিকতা কাজ করছে।”
ওয়াইসি আরও বলেন, বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় পর্যালোচনার নামে বিপুলসংখ্যক মুসলমানকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের নাগরিকত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে।
তিনি বিজেপি সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের নীরবতার সমালোচনা করেন এবং গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞে মোদী সরকারের নীরব অবস্থানকে ‘নেতানিয়াহুর গণহত্যায় পরোক্ষ সমর্থন’ বলে অভিহিত করেন।
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
ভারত সরকার যদি অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাতে পারে, তবে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত পাঠানো হচ্ছে না—এই প্রশ্ন তুলেছেন হায়দরাবাদের সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম)-এর প্রধান ওয়াইসি বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আয়োজিত ‘আইডিয়া এক্সচেঞ্জ’ অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা কেন সেই ক্ষমতাচ্যুত নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) আমাদের দেশে রাখছি? তাকে ফেরত পাঠান। তিনিও তো একজন বাংলাদেশি, তাই না?”
তিনি বলেন, ভারতের উচিত ঢাকায় জনগণের বিপ্লবকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা।
২০২৪ সালের অগাস্টে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা দিল্লিতে ভারত সরকারের আশ্রয়ে আছেন। আন্দোলন দমনে শত শত মানুষ হত্যার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তী সরকার তাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছে, কিন্তু ভারত এখনও কোনো সাড়া দেয়নি।
সম্প্রতি অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর নামে ভারত থেকে বাংলাভাষীদের ধরে সীমান্তে ঠেলে দেওয়ার সমালোচনা করেন ওয়াইসি। তিনি বলেন, “আমাদের দেশে একজন বাংলাদেশি (হাসিনা) বসবাস করছেন, যিনি বিবৃতি আর বক্তৃতা দিয়ে সমস্যা তৈরি করছেন। অথচ মালদা ও মুর্শিদাবাদের গরিব বাংলাভাষী ভারতীয়দের পুণে থেকে বিমানে করে কলকাতায় এনে নো-ম্যানস-ল্যান্ডে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যে কেউ বাংলা বললেই কি সে বাংলাদেশি হয়ে যাবে? এটাই প্রমাণ করে এখানে কী ধরনের বিদ্বেষী মানসিকতা কাজ করছে।”
ওয়াইসি আরও বলেন, বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় পর্যালোচনার নামে বিপুলসংখ্যক মুসলমানকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের নাগরিকত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠতে পারে।
তিনি বিজেপি সরকার ও বিরোধী দল উভয়ের নীরবতার সমালোচনা করেন এবং গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞে মোদী সরকারের নীরব অবস্থানকে ‘নেতানিয়াহুর গণহত্যায় পরোক্ষ সমর্থন’ বলে অভিহিত করেন।