গাজা নগরী ও আশপাশের এলাকায় ঘোষিত দুর্ভিক্ষকে ‘মানবতার ব্যর্থতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, এটি ‘মানবসৃষ্ট বিপর্যয়’। শুক্রবার জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্যনিরাপত্তা পর্যবেক্ষণবিষয়ক প্যানেল–আইপিসি গাজা নগরীতে দুর্ভিক্ষ চলছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে অনাহার পরিস্থিতি শনাক্ত করতে কাজ করে। তারা গাজার বিভিন্ন অংশে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মাত্রা পঞ্চম ধাপে উন্নীত করেছে, যা সর্বোচ্চ ও সবচেয়ে ভয়াবহ।
ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিসি) বলেছে, গাজায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ মহাবিপর্যয়ের মধ্যে আছে। ক্ষুধা, চরম দারিদ্র্য ও মৃত্যু এ পরিস্থিতি ডেকে এনেছে। তবে আইপিসির প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, ‘গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।’ অবশ্য ইসরায়েলের এ দাবি শতাধিক মানবাধিকার সংগঠন, বহু প্রত্যক্ষদর্শী, জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সংস্থা এবং যুক্তরাজ্যসহ ইসরায়েলের অনেক মিত্র দেশের বক্তব্যের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
আইপিসি সতর্ক করে বলেছে, অবিলম্বে বড় আকারে সহায়তা না পৌঁছালে গাজায় দুর্ভিক্ষে মৃত্যু ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসে ছড়িয়ে পড়তে পারে দুর্ভিক্ষ।আইপিসির প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, ‘গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।’ অবশ্য ইসরায়েলের এ দাবি শতাধিক মানবাধিকার সংগঠন, বহু প্রত্যক্ষদর্শী, জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সংস্থা এবং যুক্তরাজ্যসহ ইসরায়েলের অনেক মিত্র দেশের বক্তব্যের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘গাজায় যে নারকীয়তা চলছে, সেটি বর্ণনা করার মতো যখন আর কোনো শব্দ নেই বলে মনে হচ্ছিল, তখন নতুন এক শব্দ যোগ হলো—দুর্ভিক্ষ। এটি কোনো রহস্য নয়, এটি একেবারেই মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, নৈতিক ব্যর্থতা ও মানবতার পরাজয়।’
মহাসচিব আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীন ইসরায়েলের ‘স্পষ্ট ও সংশয়হীন দায়বদ্ধতা’ আছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে গাজার জনগণের খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ নিশ্চিত করার দায়িত্বও।
আইপিসির প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, ‘এ দুর্ভিক্ষ পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের পরিকল্পিত বাধার কারণে গাজায় খাদ্য ঢুকতে পারছে না।’ জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ–এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘এটি ইসরায়েলি সরকারের পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা মানবসৃষ্ট অনাহার।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক বলেছেন, দুর্ভিক্ষ সরাসরি ইসরায়েলের অবৈধ পদক্ষেপের ফল। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ইসরায়েল সরকার (গাজায়) সহায়তা ঢুকতে না দেওয়ায় এ বিপর্যয় ঘটেছে।’
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
গাজা নগরী ও আশপাশের এলাকায় ঘোষিত দুর্ভিক্ষকে ‘মানবতার ব্যর্থতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, এটি ‘মানবসৃষ্ট বিপর্যয়’। শুক্রবার জাতিসংঘ-সমর্থিত খাদ্যনিরাপত্তা পর্যবেক্ষণবিষয়ক প্যানেল–আইপিসি গাজা নগরীতে দুর্ভিক্ষ চলছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে অনাহার পরিস্থিতি শনাক্ত করতে কাজ করে। তারা গাজার বিভিন্ন অংশে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মাত্রা পঞ্চম ধাপে উন্নীত করেছে, যা সর্বোচ্চ ও সবচেয়ে ভয়াবহ।
ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিসি) বলেছে, গাজায় পাঁচ লাখের বেশি মানুষ মহাবিপর্যয়ের মধ্যে আছে। ক্ষুধা, চরম দারিদ্র্য ও মৃত্যু এ পরিস্থিতি ডেকে এনেছে। তবে আইপিসির প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, ‘গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।’ অবশ্য ইসরায়েলের এ দাবি শতাধিক মানবাধিকার সংগঠন, বহু প্রত্যক্ষদর্শী, জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সংস্থা এবং যুক্তরাজ্যসহ ইসরায়েলের অনেক মিত্র দেশের বক্তব্যের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
আইপিসি সতর্ক করে বলেছে, অবিলম্বে বড় আকারে সহায়তা না পৌঁছালে গাজায় দুর্ভিক্ষে মৃত্যু ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ দেইর আল-বালাহ ও খান ইউনিসে ছড়িয়ে পড়তে পারে দুর্ভিক্ষ।আইপিসির প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, ‘গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই।’ অবশ্য ইসরায়েলের এ দাবি শতাধিক মানবাধিকার সংগঠন, বহু প্রত্যক্ষদর্শী, জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সংস্থা এবং যুক্তরাজ্যসহ ইসরায়েলের অনেক মিত্র দেশের বক্তব্যের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘গাজায় যে নারকীয়তা চলছে, সেটি বর্ণনা করার মতো যখন আর কোনো শব্দ নেই বলে মনে হচ্ছিল, তখন নতুন এক শব্দ যোগ হলো—দুর্ভিক্ষ। এটি কোনো রহস্য নয়, এটি একেবারেই মানবসৃষ্ট বিপর্যয়, নৈতিক ব্যর্থতা ও মানবতার পরাজয়।’
মহাসচিব আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীন ইসরায়েলের ‘স্পষ্ট ও সংশয়হীন দায়বদ্ধতা’ আছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে গাজার জনগণের খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ নিশ্চিত করার দায়িত্বও।
আইপিসির প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বলেন, ‘এ দুর্ভিক্ষ পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের পরিকল্পিত বাধার কারণে গাজায় খাদ্য ঢুকতে পারছে না।’ জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ–এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘এটি ইসরায়েলি সরকারের পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা মানবসৃষ্ট অনাহার।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক বলেছেন, দুর্ভিক্ষ সরাসরি ইসরায়েলের অবৈধ পদক্ষেপের ফল। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ইসরায়েল সরকার (গাজায়) সহায়তা ঢুকতে না দেওয়ায় এ বিপর্যয় ঘটেছে।’