পৃথিবীর সর্বদক্ষিণের বিরাট জলরাশি অ্যান্টার্কটিকা বা কুমেরু মহাসাগর নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। বরফের রাজ্য অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে থাকা চতুর্থ বৃহত্তম এ মহাসগরকে তার সীমাহীন রহস্যের জন্য ইংরেজিতে বলা হয় ‘সি অব ডার্কনেস’। তবে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে কুমেরু মহাসাগরেও।
সম্প্রতি তারই অংশ হিসেবে এই সাগরের তলদেশ থেকে কাদা সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন দেশের একদল গবেষক। তাদের লক্ষ্য, কাদা বিশ্লেষণ করে এই মহাসাগরের রহস্য উন্মোচন। বিশেষ করে শতাব্দীর পুরোনো শিল্প তিমি শিকার কীভাবে অ্যান্টার্কটিকা এবং আমাদের গ্রহের বাকি অংশকে প্রভাবিত করেছে, তা বের করা।
গবেষকরা চলতি বছরের শুরুর দিকে অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপের আশপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে একটি জাহাজ থেকে বিশেষ কোর ড্রিল মেশিন নামিয়ে সাগরের তলদেশের কাদা সংগ্রহ করেছেন। মূল্যবান কাদার নমুনাগুলো বিজ্ঞানীরা ভাগ করে নেবেন এবং বিশ্লেষণ করবেন। গবেষণাটি সমুদ্র এবং জলবায়ুর মধ্যে সম্পর্ক বোঝার জন্য একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ। এরই মধ্যে তারা অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপের আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে সমুদ্রতলের পলির ৪০টিরও বেশি নতুনা সংগ্রহ করেছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের সামুদ্রিক জীবনের অন্যতম সমৃদ্ধ বাসস্থান হলো কুমেরু মহাসাগর। যদিও মাছ ধরা, পর্যটন ১৯৮০-এর দশকে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে, কুমেরু মহাসাগর ছিল বৈশ্বিক তিমি শিকারের কেন্দ্র। এখান থেকে তোলা কাদার নমুনায় থাকা জেনেটিক উপাদান সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রায় হিমায়িত করা হয়েছে।
সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. কার্লোস প্রেক্লার গবেষণার এই অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি তিমির শরীরে প্রচুর কার্বন থাকে, কারণ তারা বিশাল প্রাণী।
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
পৃথিবীর সর্বদক্ষিণের বিরাট জলরাশি অ্যান্টার্কটিকা বা কুমেরু মহাসাগর নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। বরফের রাজ্য অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে থাকা চতুর্থ বৃহত্তম এ মহাসগরকে তার সীমাহীন রহস্যের জন্য ইংরেজিতে বলা হয় ‘সি অব ডার্কনেস’। তবে বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে কুমেরু মহাসাগরেও।
সম্প্রতি তারই অংশ হিসেবে এই সাগরের তলদেশ থেকে কাদা সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন দেশের একদল গবেষক। তাদের লক্ষ্য, কাদা বিশ্লেষণ করে এই মহাসাগরের রহস্য উন্মোচন। বিশেষ করে শতাব্দীর পুরোনো শিল্প তিমি শিকার কীভাবে অ্যান্টার্কটিকা এবং আমাদের গ্রহের বাকি অংশকে প্রভাবিত করেছে, তা বের করা।
গবেষকরা চলতি বছরের শুরুর দিকে অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপের আশপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে একটি জাহাজ থেকে বিশেষ কোর ড্রিল মেশিন নামিয়ে সাগরের তলদেশের কাদা সংগ্রহ করেছেন। মূল্যবান কাদার নমুনাগুলো বিজ্ঞানীরা ভাগ করে নেবেন এবং বিশ্লেষণ করবেন। গবেষণাটি সমুদ্র এবং জলবায়ুর মধ্যে সম্পর্ক বোঝার জন্য একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ। এরই মধ্যে তারা অ্যান্টার্কটিকা উপদ্বীপের আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে সমুদ্রতলের পলির ৪০টিরও বেশি নতুনা সংগ্রহ করেছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের সামুদ্রিক জীবনের অন্যতম সমৃদ্ধ বাসস্থান হলো কুমেরু মহাসাগর। যদিও মাছ ধরা, পর্যটন ১৯৮০-এর দশকে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে, কুমেরু মহাসাগর ছিল বৈশ্বিক তিমি শিকারের কেন্দ্র। এখান থেকে তোলা কাদার নমুনায় থাকা জেনেটিক উপাদান সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রায় হিমায়িত করা হয়েছে।
সৌদি আরবের কিং আবদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. কার্লোস প্রেক্লার গবেষণার এই অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি তিমির শরীরে প্রচুর কার্বন থাকে, কারণ তারা বিশাল প্রাণী।