পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে শতদ্রু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচটি জেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে প্রায় ১৯ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
পাকিস্তানের রাজস্ব বোর্ডের হাইড্রোলজিক্যাল প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, গণ্ডা সিং ওয়ালা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টা তা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (পিডিএমএ) জানিয়েছে, ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির আশঙ্কায় কাসুর, ওকারা, পাকপত্তন, বাওয়ালনগর ও ভেহারিসহ বিভিন্ন জেলায় জরুরি উদ্ধার অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত মোট ১৯ হাজার ৯৪৭ জনকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধারকারী বাহিনীর মুখপাত্র ফারুক আহমদ জানান, নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠায় বাসিন্দাদের সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরানো হচ্ছে। মুলতানের ডিসি ওয়াসিম হামিদ বলেন, সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সিন্ধু নদীর পানি তারবেলা ও কালাবাগ পয়েন্টে বাড়ছে, তবে চেনাব ও রাভি নদী আপাতত বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মূল কারণ শতদ্রু নদীর পানি বৃদ্ধি।
পাঞ্জাবের রিলিফ কমিশনার নাবিল জাভিদ জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আগে থেকেই উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে এবং ত্রাণ শিবিরগুলো পুরোপুরি চালু করা হয়েছে।
রোববার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে শতদ্রু নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচটি জেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে প্রায় ১৯ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
পাকিস্তানের রাজস্ব বোর্ডের হাইড্রোলজিক্যাল প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ডন জানিয়েছে, গণ্ডা সিং ওয়ালা এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে এবং আগামী ৪৮ ঘণ্টা তা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (পিডিএমএ) জানিয়েছে, ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ভারি বৃষ্টির আশঙ্কায় কাসুর, ওকারা, পাকপত্তন, বাওয়ালনগর ও ভেহারিসহ বিভিন্ন জেলায় জরুরি উদ্ধার অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত মোট ১৯ হাজার ৯৪৭ জনকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধারকারী বাহিনীর মুখপাত্র ফারুক আহমদ জানান, নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠায় বাসিন্দাদের সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরানো হচ্ছে। মুলতানের ডিসি ওয়াসিম হামিদ বলেন, সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সিন্ধু নদীর পানি তারবেলা ও কালাবাগ পয়েন্টে বাড়ছে, তবে চেনাব ও রাভি নদী আপাতত বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির মূল কারণ শতদ্রু নদীর পানি বৃদ্ধি।
পাঞ্জাবের রিলিফ কমিশনার নাবিল জাভিদ জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আগে থেকেই উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে এবং ত্রাণ শিবিরগুলো পুরোপুরি চালু করা হয়েছে।