জাপানে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন এক বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে- পরিত্যক্ত স্যুটকেস। হোটেল, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায়ও এ সমস্যা এখন নিয়মিত মাথাব্যথা হয়ে উঠছে। নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত স্যুটকেস স্থানীয়দের কাছে কখনো কখনো ভীতির কারণ হয়ে ওঠে। সম্প্রতি ওসাকার ব্যস্ত মিনামি এলাকায় রাস্তার পাশে একটি পুরনো স্যুটকেস পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পাশের কারাওকে বারে কর্মরত ১৯ বছরের এক তরুণী বলেন, ‘ভেতরে কী আছে কে জানে, তাই ভয় লাগে।’ মূলত বিদেশি পর্যটকরা জাপানে কেনাকাটার পর বড় দেখে নতুন স্যুটকেস কিনে নেন। পুরোনো লাগেজের কোনো ব্যবস্থা না করেই তা ফেলে যান। ফলে বোঝা যায় না লাগেজটি ভুলে রেখে যাওয়া, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ফেলে দেওয়া। ওসাকার বেস্ট ওয়েস্টার্ন ফিনো শিনসাইবাসি হোটেলে সম্প্রতি একসঙ্গে তিন-চারটি স্যুটকেস পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী হারানো জিনিসপত্র বিভাগে সেগুলো তিন মাস রাখা হলেও বেশির ভাগ মালিক আর খোঁজ নিতে ফেরেন না। শুধু ২০২৪ সালেই এই স্যুটকেস রাখতে হোটেলটির অতিরিক্ত খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ ইয়েন বা দুই হাজার ডলার।
হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার কেনতারো কানেকো বলেন, ‘ফেলে যাওয়া স্যুটকেস আমাদের কর্মীদের জন্য বড় চাপ। অতিথিদের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে শুরু করে স্যুটকেস নামানো, সবকিছুই তাদের করতে হয়।’ ওসাকা কনভেনশন অ্যান্ড ট্যুরিজম ব্যুরোর জরিপে দেখা যায়, শহরের ৩৪টি হোটেল ও লজের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান পরিত্যক্ত স্যুটকেসকে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
শিনসাইবাসির একটি ডিসকাউন্ট লাগেজ দোকানের কর্মী জানান, অনেক পর্যটক বেশি কেনাকাটা করায় বাধ্য হয়ে বড় স্যুটকেস কেনেন।
সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ৬০ লিটার ধারণক্ষমতার ব্যাগ, যেগুলোর দাম ৭ থেকে ৯ হাজার ইয়েন। শুধু হোটেলে সীমাবদ্ধ নয় এই সমস্যা।
জাপানের বড় বড় বিমানবন্দরেও প্রতিদিন মিলছে ফেলে যাওয়া স্যুটকেস। নারিতা বিমানবন্দর জানিয়েছে, ২০২৪ অর্থবছরে এখানে ১ হাজার ৭৩টি লাগেজ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। কানসাই বিমানবন্দরেও একই চিত্র। গত মাসে চুবু সেন্ট্রেয়ার বিমানবন্দরে এমন অবৈধভাবে স্যুটকেস ফেলে যাওয়ার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে বিপাকে পড়তে হয়। পুলিশ জানায়, ফ্লাইটে নেওয়ার মতো ছোট না হওয়ায় ভেতরের জিনিস অন্য ব্যাগে ভরে পুরোনোটি ফেলে যান তিনি।
বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫
জাপানে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন এক বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে- পরিত্যক্ত স্যুটকেস। হোটেল, বিমানবন্দর থেকে শুরু করে জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায়ও এ সমস্যা এখন নিয়মিত মাথাব্যথা হয়ে উঠছে। নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত স্যুটকেস স্থানীয়দের কাছে কখনো কখনো ভীতির কারণ হয়ে ওঠে। সম্প্রতি ওসাকার ব্যস্ত মিনামি এলাকায় রাস্তার পাশে একটি পুরনো স্যুটকেস পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পাশের কারাওকে বারে কর্মরত ১৯ বছরের এক তরুণী বলেন, ‘ভেতরে কী আছে কে জানে, তাই ভয় লাগে।’ মূলত বিদেশি পর্যটকরা জাপানে কেনাকাটার পর বড় দেখে নতুন স্যুটকেস কিনে নেন। পুরোনো লাগেজের কোনো ব্যবস্থা না করেই তা ফেলে যান। ফলে বোঝা যায় না লাগেজটি ভুলে রেখে যাওয়া, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ফেলে দেওয়া। ওসাকার বেস্ট ওয়েস্টার্ন ফিনো শিনসাইবাসি হোটেলে সম্প্রতি একসঙ্গে তিন-চারটি স্যুটকেস পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী হারানো জিনিসপত্র বিভাগে সেগুলো তিন মাস রাখা হলেও বেশির ভাগ মালিক আর খোঁজ নিতে ফেরেন না। শুধু ২০২৪ সালেই এই স্যুটকেস রাখতে হোটেলটির অতিরিক্ত খরচ হয়েছে প্রায় তিন লাখ ইয়েন বা দুই হাজার ডলার।
হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার কেনতারো কানেকো বলেন, ‘ফেলে যাওয়া স্যুটকেস আমাদের কর্মীদের জন্য বড় চাপ। অতিথিদের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে শুরু করে স্যুটকেস নামানো, সবকিছুই তাদের করতে হয়।’ ওসাকা কনভেনশন অ্যান্ড ট্যুরিজম ব্যুরোর জরিপে দেখা যায়, শহরের ৩৪টি হোটেল ও লজের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান পরিত্যক্ত স্যুটকেসকে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
শিনসাইবাসির একটি ডিসকাউন্ট লাগেজ দোকানের কর্মী জানান, অনেক পর্যটক বেশি কেনাকাটা করায় বাধ্য হয়ে বড় স্যুটকেস কেনেন।
সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ৬০ লিটার ধারণক্ষমতার ব্যাগ, যেগুলোর দাম ৭ থেকে ৯ হাজার ইয়েন। শুধু হোটেলে সীমাবদ্ধ নয় এই সমস্যা।
জাপানের বড় বড় বিমানবন্দরেও প্রতিদিন মিলছে ফেলে যাওয়া স্যুটকেস। নারিতা বিমানবন্দর জানিয়েছে, ২০২৪ অর্থবছরে এখানে ১ হাজার ৭৩টি লাগেজ পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। কানসাই বিমানবন্দরেও একই চিত্র। গত মাসে চুবু সেন্ট্রেয়ার বিমানবন্দরে এমন অবৈধভাবে স্যুটকেস ফেলে যাওয়ার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে বিপাকে পড়তে হয়। পুলিশ জানায়, ফ্লাইটে নেওয়ার মতো ছোট না হওয়ায় ভেতরের জিনিস অন্য ব্যাগে ভরে পুরোনোটি ফেলে যান তিনি।