ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ক্রমবর্ধমান স্মার্টফোন আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ ও গবেষণার ভিত্তিতে অভিনব এক আইন গ্রহণ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে মুঠোফোন (মোবাইল ফোন) ও স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি আইন অনুমোদন করেছে দক্ষিণ কোরীয় পার্লামেন্ট, যা আগামী বছর মার্চে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বুধবার পার্লামেন্টে উপস্থিত ১৬৩ সদস্যের মধ্যে ১১৫ জন আইনটির পক্ষে ভোট দেন। যদিও অধিকাংশ স্কুলে আগে থেকেই আংশিক নিষেধাজ্ঞা চালু ছিল, এবার তা আইনের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক করা হলো। এই বিধির বলে ক্লাস চলাকালে বা স্কুল প্রাঙ্গণে ফোন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ক্ষমতা পাবেন শিক্ষকরা। ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও চীনের মতো কয়েকটি দেশে আগে থেকে স্কুলে ফোনের ব্যবহার সীমিত হলেও, দক্ষিণ কোরিয়া আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিষয়টি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। আইন অনুযায়ী, জরুরি পরিস্থিতি, শিক্ষাগত প্রয়োজনে বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহায়ক ডিভাইস ব্যবহারে ছাড় থাকবে।
সরকারি জরিপ অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার পাঁচ কোটি ১০ লাখ মানুষের এক-চতুর্থাংশই ফোনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এ হার ৪৩ শতাংশ, যা প্রতিবছর বাড়ছে।
অনেক কিশোর-কিশোরী স্বীকার করেছে যে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও স্ক্রলিংয়ের সময় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায়।
শিক্ষক ও অভিভাবকেরা মনে করেন, মাত্রাতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, সামাজিকতা এবং অন্যান্য কার্যক্রমে মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে অভিভাবক কিম সান বলেন, অনলাইনে শিশুদের মধ্যে অশোভন ভাষার ব্যবহার ও সাইবার বুলিং বেড়েছে। তবে এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী অবস্থান রয়েছে। রক্ষণশীল কোরিয়ান ফেডারেশন অব টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন আইনটির সমর্থন করেছে। তাদের জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষক ক্লাসে ফোন ব্যবহারের কারণে বিঘ্নের অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে, কোরিয়ান টিচার্স অ্যান্ড এডুকেশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কিছু সদস্য মনে করেন, এটি শিক্ষার্থীদের ফোন ব্যবহার অধিকারের লঙ্ঘন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫
ক্রমবর্ধমান স্মার্টফোন আসক্তি নিয়ে উদ্বেগ ও গবেষণার ভিত্তিতে অভিনব এক আইন গ্রহণ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে মুঠোফোন (মোবাইল ফোন) ও স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি আইন অনুমোদন করেছে দক্ষিণ কোরীয় পার্লামেন্ট, যা আগামী বছর মার্চে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বুধবার পার্লামেন্টে উপস্থিত ১৬৩ সদস্যের মধ্যে ১১৫ জন আইনটির পক্ষে ভোট দেন। যদিও অধিকাংশ স্কুলে আগে থেকেই আংশিক নিষেধাজ্ঞা চালু ছিল, এবার তা আইনের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক করা হলো। এই বিধির বলে ক্লাস চলাকালে বা স্কুল প্রাঙ্গণে ফোন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ক্ষমতা পাবেন শিক্ষকরা। ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও চীনের মতো কয়েকটি দেশে আগে থেকে স্কুলে ফোনের ব্যবহার সীমিত হলেও, দক্ষিণ কোরিয়া আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিষয়টি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। আইন অনুযায়ী, জরুরি পরিস্থিতি, শিক্ষাগত প্রয়োজনে বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সহায়ক ডিভাইস ব্যবহারে ছাড় থাকবে।
সরকারি জরিপ অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার পাঁচ কোটি ১০ লাখ মানুষের এক-চতুর্থাংশই ফোনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এ হার ৪৩ শতাংশ, যা প্রতিবছর বাড়ছে।
অনেক কিশোর-কিশোরী স্বীকার করেছে যে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও স্ক্রলিংয়ের সময় নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খায়।
শিক্ষক ও অভিভাবকেরা মনে করেন, মাত্রাতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, সামাজিকতা এবং অন্যান্য কার্যক্রমে মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে অভিভাবক কিম সান বলেন, অনলাইনে শিশুদের মধ্যে অশোভন ভাষার ব্যবহার ও সাইবার বুলিং বেড়েছে। তবে এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে পরস্পরবিরোধী অবস্থান রয়েছে। রক্ষণশীল কোরিয়ান ফেডারেশন অব টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন আইনটির সমর্থন করেছে। তাদের জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষক ক্লাসে ফোন ব্যবহারের কারণে বিঘ্নের অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে, কোরিয়ান টিচার্স অ্যান্ড এডুকেশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কিছু সদস্য মনে করেন, এটি শিক্ষার্থীদের ফোন ব্যবহার অধিকারের লঙ্ঘন।