ইসরায়েলের হামলায় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দেশটির সরকারের প্রধানসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী নিহত হয়েছেন বলে হুতিদের পরিচালিত বার্তা সংস্থা জানিয়েছে। হুতি নেতা মাহদি আল-মাশাতের দেওয়া বিবৃতি উদ্ধৃত করে শনিবার বার্তা সংস্থা সাবা এ তথ্য প্রকাশ করে।

বৃহস্পতিবার সানার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী হামলা চালায়। ইসরায়েল জানায়, জ্যেষ্ঠ হুতি নেতাদের হত্যা করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে।

এর পরদিন শুক্রবার ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মুহাম্মদ আব্দুল করিম আল-গামারি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলিরা সানার বেসামরিক এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। তিনি বলেন, এই হামলার ‘প্রতিশোধ’ নেওয়া হবে।

শনিবার এক বিবৃতিতে আল-মাশাত বলেন, “আমরা তার কয়েকজন সহকর্মী মন্ত্রীর সঙ্গে যোদ্ধা আহমেদ গালেব নাসের আল-রাহাউইয়ের শাহাদাত ঘোষণা করছি। তারা বিশ্বাসঘাতক ইসরায়েলি অপরাধী শত্রুর লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়েছিল।”

আল-রাহাউই ২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে ইয়েমেনের হুতি নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত এক বছরে সরকারের কার্যক্রম ও তৎপরতার মূল্যায়ন করতে সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত একটি নিয়মিত কর্মশালা চলাকালে আল-রাহাউই ও তার মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা ইসরায়েলি হামলার শিকার হন।

টাইমস অব ইসরায়েল চ্যানেল ১২ এর প্রতিবেদনের বরাতে জানা যায়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মূল্যায়ন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীসহ হুতি মন্ত্রিসভার অন্য ১২ জন মন্ত্রী বৃহস্পতিবারের হামলায় নিহত হয়েছেন। তবে চ্যানেল ১২ নেটওয়ার্ক জানায়, এ বিষয়ে আইডিএফ পুরোপুরি নিশ্চিত নয় এবং হামলার ফলাফল স্পষ্টভাবে বুঝতে তারা এখনও কাজ করে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েল তাদের থেকে প্রায় ১,৮০০ কিলোমিটার দূরে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতিদের ওপর ১৬তম বারের মতো হামলা চালায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েল ও লোহিত সাগরে ইসরায়েল-সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে হুতিরা।