alt

আন্তর্জাতিক

মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সাইমন ড্রিং মারা গেছেন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১

একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার খবর যিনি প্রথম পৌঁছে দিয়েছিলেন বিশ্বের কাছে, সেই ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং মারা গেছেন।

তার আত্নীয়দের সূত্রে জানা গেছে গত শুক্রবার রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় সাইমন ড্রিং মারা যান।

তার আত্নীয় ক্রিস বার্লাস লন্ডনে বাংলাদেশী সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশাকে জানিয়েছেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে সায়মন অসুস্থ ছিলেন। গত কিছুদিন ধরে তিনি হার্নিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই তাকে রোমানিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।

বার্লাস জানিয়েছেন সেখানে অস্ত্রোপচারের সময় তার হার্ট অ্যাটাক হয়।

সাইমন ড্রিং দীর্ঘদিন রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে কাজ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

তার স্ত্রী ফিয়োনা ম্যাকফারসন একজন আইনজীবী এবং রোমানিয়াভিত্তিক একটি ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক। ইভা ও ইনডিয়া তাদের যমজ মেয়ে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তানিয়া নামে আরও একটি মেয়ে আছে সাইমনের।

১৯৭১ সালের ২৫মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করার আগে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় অর্ধশত বিদেশি সাংবাদিককে আটকে ফেলে তখনকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে । তাদের হোটেল থেকে সরাসরি বিমানে তুলে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

তবে বৃটিশ পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফের সংবাদদাতা সাইমন ড্রিং সেই আদেশ না মেনে হোটেলে লুকিয়ে থাকেন। প্রায় ৩২ ঘণ্টা হোটেলের লবি, ছাদ, পানশালা, হেঁশেল ইত্যাদি জায়গায় তার শ্বাসরুদ্ধকর সময় কাটে।

২৭ মার্চ কারফিউ উঠে গেলে সায়মন ড্রিং ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন গণহত্যার চিত্র।

নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার প্রথম খবর প্রকাশ করেন ৩০ মার্চ ১৯৭১, ডেইলি টেলিগ্রাফে।

একাত্তরে তার ভূমিকার কারণে সায়মন ড্রিংকে ২০১২ সালে ‘বাংলাদেশের বন্ধু’ — মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননায় ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার।

নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন স্টেশন একুশে টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর সময় সাইমন ড্রিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

১৯৪৫ সালের ১১ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের নরফোকে জন্ম নেওয়া সায়মন ড্রিং সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। যুদ্ধক্ষেত্রের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহতও হয়েছেন একাধিকবার।

ছবি

তুরস্কের একদিনে তুষারপাত, অন্যদিকে দাবানল

রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে হারতে দিতে পারি না : ইইউকে চীন

ছবি

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিল হামাস

ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে রাজি নয় ইরান : ট্রাম্প

ছবি

সিরিয়া কি ‘ইসরায়েলের’ সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে?

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে হামলা করল ইসরায়েল

ছবি

‘আগামী সপ্তাহেই’ গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আশাবাদ ট্রাম্পের

ছবি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে সম্ভাবনা, যুক্তরাষ্ট্র–সমর্থিত প্রস্তাবে সম্মতি হামাসের

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে হড়কা বানে ২৪ জনের মৃত্যু

শিকাগোতে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৪

ছবি

তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি

ছবি

চীনের হামলা মোকাবিলায় ব্যাপক যুদ্ধ প্রস্তুতি তাইওয়ানের

গুপ্তচর সন্দেহ, হাজার হাজার আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক, এটাই চাই : ট্রাম্প

ছবি

গাজায় গণহত্যা চালাতে ‘ক্ষুধা’কে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

ছবি

ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’-এ কী আছে

ছবি

কংগ্রেসে উতরে গেল ট্রাম্পের ‘বিগ, বিউটিফুল বিল’

ছবি

তালেবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

ছবি

র‌্যাপারের অ্যালবাম রিলিজ অনুষ্ঠানে রক্তক্ষয়ী হামলা, পালালো হামলাকারীরা

ছবি

ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ যে প্রভাব ফেলবে যুক্তরাষ্ট্রে

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ২ বছর পিছিয়ে গেছে : পেন্টাগন

ছবি

গাজা উপত্যকার ৮৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে

মার্কিন অস্ত্র সহায়তা স্থগিতে রুশ হামলা জোরদারের শঙ্কায় ইউক্রেন

গুপ্তচর সন্দেহে বিপুলসংখ্যক আফগানকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে ইরান

ছবি

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ইউরোপ, বহু দেশে ‘রেড অ্যালার্ট’

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি দুই বছর পিছিয়ে গেছে: পেন্টাগন

ছবি

বালি উপকূলে ফেরি ডুবি, চারজনের মৃত্যু

ছবি

‘গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে রাজি ইসরায়েল’

তৃতীয় দফা ভোটেও জয়, জোহরান এখন নিউইয়র্ক সিটির আনুষ্ঠানিক মেয়র প্রার্থী

ছবি

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের বড় ঘোষণা

মুসলিম দেশ কাজাখস্তানে বোরকা ও নিকাব পরা নিষিদ্ধ

ইরান ভ্রমণে আবারও নাগরিকদের সতর্ক করল চীন

ছবি

হরমুজ প্রণালিতে ইরানের মাইন পাতার প্রস্তুতি, উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

গাজায় ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতিতে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প

ছবি

তেলেঙ্গানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ: নিহত ৪৪, নিখোঁজ ১২ শ্রমিক

ছবি

আরও উত্তপ্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক

tab

আন্তর্জাতিক

মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু সাইমন ড্রিং মারা গেছেন

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১

একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার খবর যিনি প্রথম পৌঁছে দিয়েছিলেন বিশ্বের কাছে, সেই ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং মারা গেছেন।

তার আত্নীয়দের সূত্রে জানা গেছে গত শুক্রবার রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় সাইমন ড্রিং মারা যান।

তার আত্নীয় ক্রিস বার্লাস লন্ডনে বাংলাদেশী সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশাকে জানিয়েছেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে সায়মন অসুস্থ ছিলেন। গত কিছুদিন ধরে তিনি হার্নিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই তাকে রোমানিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।

বার্লাস জানিয়েছেন সেখানে অস্ত্রোপচারের সময় তার হার্ট অ্যাটাক হয়।

সাইমন ড্রিং দীর্ঘদিন রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে কাজ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

তার স্ত্রী ফিয়োনা ম্যাকফারসন একজন আইনজীবী এবং রোমানিয়াভিত্তিক একটি ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক। ইভা ও ইনডিয়া তাদের যমজ মেয়ে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তানিয়া নামে আরও একটি মেয়ে আছে সাইমনের।

১৯৭১ সালের ২৫মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করার আগে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় অর্ধশত বিদেশি সাংবাদিককে আটকে ফেলে তখনকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে । তাদের হোটেল থেকে সরাসরি বিমানে তুলে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

তবে বৃটিশ পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফের সংবাদদাতা সাইমন ড্রিং সেই আদেশ না মেনে হোটেলে লুকিয়ে থাকেন। প্রায় ৩২ ঘণ্টা হোটেলের লবি, ছাদ, পানশালা, হেঁশেল ইত্যাদি জায়গায় তার শ্বাসরুদ্ধকর সময় কাটে।

২৭ মার্চ কারফিউ উঠে গেলে সায়মন ড্রিং ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন গণহত্যার চিত্র।

নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার প্রথম খবর প্রকাশ করেন ৩০ মার্চ ১৯৭১, ডেইলি টেলিগ্রাফে।

একাত্তরে তার ভূমিকার কারণে সায়মন ড্রিংকে ২০১২ সালে ‘বাংলাদেশের বন্ধু’ — মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননায় ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার।

নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন স্টেশন একুশে টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর সময় সাইমন ড্রিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

১৯৪৫ সালের ১১ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের নরফোকে জন্ম নেওয়া সায়মন ড্রিং সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। যুদ্ধক্ষেত্রের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহতও হয়েছেন একাধিকবার।

back to top