একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার খবর যিনি প্রথম পৌঁছে দিয়েছিলেন বিশ্বের কাছে, সেই ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং মারা গেছেন।
তার আত্নীয়দের সূত্রে জানা গেছে গত শুক্রবার রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় সাইমন ড্রিং মারা যান।
তার আত্নীয় ক্রিস বার্লাস লন্ডনে বাংলাদেশী সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশাকে জানিয়েছেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে সায়মন অসুস্থ ছিলেন। গত কিছুদিন ধরে তিনি হার্নিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই তাকে রোমানিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
বার্লাস জানিয়েছেন সেখানে অস্ত্রোপচারের সময় তার হার্ট অ্যাটাক হয়।
সাইমন ড্রিং দীর্ঘদিন রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে কাজ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
তার স্ত্রী ফিয়োনা ম্যাকফারসন একজন আইনজীবী এবং রোমানিয়াভিত্তিক একটি ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক। ইভা ও ইনডিয়া তাদের যমজ মেয়ে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তানিয়া নামে আরও একটি মেয়ে আছে সাইমনের।
১৯৭১ সালের ২৫মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করার আগে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় অর্ধশত বিদেশি সাংবাদিককে আটকে ফেলে তখনকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে । তাদের হোটেল থেকে সরাসরি বিমানে তুলে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
তবে বৃটিশ পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফের সংবাদদাতা সাইমন ড্রিং সেই আদেশ না মেনে হোটেলে লুকিয়ে থাকেন। প্রায় ৩২ ঘণ্টা হোটেলের লবি, ছাদ, পানশালা, হেঁশেল ইত্যাদি জায়গায় তার শ্বাসরুদ্ধকর সময় কাটে।
২৭ মার্চ কারফিউ উঠে গেলে সায়মন ড্রিং ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন গণহত্যার চিত্র।
নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার প্রথম খবর প্রকাশ করেন ৩০ মার্চ ১৯৭১, ডেইলি টেলিগ্রাফে।
একাত্তরে তার ভূমিকার কারণে সায়মন ড্রিংকে ২০১২ সালে ‘বাংলাদেশের বন্ধু’ — মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননায় ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার।
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন স্টেশন একুশে টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর সময় সাইমন ড্রিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
১৯৪৫ সালের ১১ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের নরফোকে জন্ম নেওয়া সায়মন ড্রিং সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। যুদ্ধক্ষেত্রের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহতও হয়েছেন একাধিকবার।
মঙ্গলবার, ২০ জুলাই ২০২১
একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার খবর যিনি প্রথম পৌঁছে দিয়েছিলেন বিশ্বের কাছে, সেই ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং মারা গেছেন।
তার আত্নীয়দের সূত্রে জানা গেছে গত শুক্রবার রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় সাইমন ড্রিং মারা যান।
তার আত্নীয় ক্রিস বার্লাস লন্ডনে বাংলাদেশী সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশাকে জানিয়েছেন, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে সায়মন অসুস্থ ছিলেন। গত কিছুদিন ধরে তিনি হার্নিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই তাকে রোমানিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।
বার্লাস জানিয়েছেন সেখানে অস্ত্রোপচারের সময় তার হার্ট অ্যাটাক হয়।
সাইমন ড্রিং দীর্ঘদিন রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে কাজ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
তার স্ত্রী ফিয়োনা ম্যাকফারসন একজন আইনজীবী এবং রোমানিয়াভিত্তিক একটি ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক। ইভা ও ইনডিয়া তাদের যমজ মেয়ে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে তানিয়া নামে আরও একটি মেয়ে আছে সাইমনের।
১৯৭১ সালের ২৫মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করার আগে ঢাকায় অবস্থানরত প্রায় অর্ধশত বিদেশি সাংবাদিককে আটকে ফেলে তখনকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে । তাদের হোটেল থেকে সরাসরি বিমানে তুলে ঢাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়।
তবে বৃটিশ পত্রিকা ডেইলি টেলিগ্রাফের সংবাদদাতা সাইমন ড্রিং সেই আদেশ না মেনে হোটেলে লুকিয়ে থাকেন। প্রায় ৩২ ঘণ্টা হোটেলের লবি, ছাদ, পানশালা, হেঁশেল ইত্যাদি জায়গায় তার শ্বাসরুদ্ধকর সময় কাটে।
২৭ মার্চ কারফিউ উঠে গেলে সায়মন ড্রিং ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন গণহত্যার চিত্র।
নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশে পাকিস্তানী বাহিনীর গণহত্যার প্রথম খবর প্রকাশ করেন ৩০ মার্চ ১৯৭১, ডেইলি টেলিগ্রাফে।
একাত্তরে তার ভূমিকার কারণে সায়মন ড্রিংকে ২০১২ সালে ‘বাংলাদেশের বন্ধু’ — মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননায় ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার।
নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন স্টেশন একুশে টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর সময় সাইমন ড্রিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
১৯৪৫ সালের ১১ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের নরফোকে জন্ম নেওয়া সায়মন ড্রিং সাংবাদিকতা শুরু করেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। যুদ্ধক্ষেত্রের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহতও হয়েছেন একাধিকবার।