গরু চোর সন্দেহে আসামে তিন বাংলদেশী যুবককে পিটিয়ে মেরেছে গ্রামবাসী। অতি সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে করিমগঞ্জ জেলার পাথরকান্দি থানার ভুবরিঘাট গ্রামে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, এদিন বাংলাদেশী ওই তিন যুবক ‘গভীর রাতে সীমান্ত টপকে’ ভুবরিঘাট বাগানের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজু তেলেঙ্গা নামের এক কৃ্যকের বাড়িতে ‘প্রবেশ করে’। সে সময় গোয়াল ঘরে কয়েকজন লোকের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজু ও তার ছেলেরা চিৎকার শুরু করে। তাদের হল্লায় এলাকার কতিপয় লোককে জড় হতে দেখে ‘ওই তিন যুবক পালিয়ে যায়’।
পরে তারা পার্শ্ববর্তী নারাযন তেলেঙ্গার গোয়াল ঘরে ‘প্রবেশ করলে’ জেগে ওঠে পরিবারের লোকেরা। তাদের চিৎকারে ‘ওই তিন য়ুবক’ সেখান থেকেও ‘পালিয়ে গিয়ে পাশের জঙ্গলে আশ্রয় নেয়’।
গ্রাম পুলিশের তৎপরতায় এলাকাবাসী জঙ্গলে ঢুকে তাদের খুঁজতে শুরু করে। ভোরে ওই তিন যুবক জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে আসলে এলাকার লোকজন তাদের পাকড়াও করার চেষ্ট করে।
এ সময় তারা গ্রামবাসীদের হাত থেকে বাঁচতে তাদের ‘হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার’ চেষ্টা করে, শুরু হয় ‘দুই পক্ষের ধ্বস্তাধ্বস্তি’। এ সময় গ্’রামবাসীর গণপ্রহারে’ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তিন যুবকের। ওদের সাথে থাকা ‘বাকিরা ভোরের আলো ফোটার আগেই সীমান্ত টপকিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে য়েত সক্ষম হয়’ বলে এলাকাবসীর দাবী।
এদিকে ঘটনাস্থলে এসে তদন্তে নেমে মৃতব্যক্তিদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আদায় করতে না পারলেও ওদের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটের জুরি এলাকার বলে পুলিশ ধারণা করছে।
পুলিশ জানায়, পিটিয়ে মেরে ফেলা ওই তিন যুবকের কাছে ‘বাংলাদেশী ব্রান্ডের বিস্কুট, জামা কাপড়, তার কাটার হ্যাকস ও ব্যাগ’ পাওয়া গেছে। মৃত ওই যুবকদের বয়স ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশের মধ্যে হবে বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ জানায়, বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশের বিজিবি কমান্ডারকে জানানো হয়েছে।
মৃত দেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তর রিপোর্ট পাওয়ার পরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আনুমতি পেলে মৃত দেহগুলো বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলে সেখানকার পুলিশ জানায়।
এ ব্যাপারে আসামে নিয়ুক্ত গোহাটিস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার ড. শাহ মোহাম্নদ তানভির মনসুর-র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। তবে বৃহস্পতিবার এ ব্যাপরে খোঁজ-খবর নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই ২০২১
গরু চোর সন্দেহে আসামে তিন বাংলদেশী যুবককে পিটিয়ে মেরেছে গ্রামবাসী। অতি সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে করিমগঞ্জ জেলার পাথরকান্দি থানার ভুবরিঘাট গ্রামে।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, এদিন বাংলাদেশী ওই তিন যুবক ‘গভীর রাতে সীমান্ত টপকে’ ভুবরিঘাট বাগানের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজু তেলেঙ্গা নামের এক কৃ্যকের বাড়িতে ‘প্রবেশ করে’। সে সময় গোয়াল ঘরে কয়েকজন লোকের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজু ও তার ছেলেরা চিৎকার শুরু করে। তাদের হল্লায় এলাকার কতিপয় লোককে জড় হতে দেখে ‘ওই তিন যুবক পালিয়ে যায়’।
পরে তারা পার্শ্ববর্তী নারাযন তেলেঙ্গার গোয়াল ঘরে ‘প্রবেশ করলে’ জেগে ওঠে পরিবারের লোকেরা। তাদের চিৎকারে ‘ওই তিন য়ুবক’ সেখান থেকেও ‘পালিয়ে গিয়ে পাশের জঙ্গলে আশ্রয় নেয়’।
গ্রাম পুলিশের তৎপরতায় এলাকাবাসী জঙ্গলে ঢুকে তাদের খুঁজতে শুরু করে। ভোরে ওই তিন যুবক জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে আসলে এলাকার লোকজন তাদের পাকড়াও করার চেষ্ট করে।
এ সময় তারা গ্রামবাসীদের হাত থেকে বাঁচতে তাদের ‘হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার’ চেষ্টা করে, শুরু হয় ‘দুই পক্ষের ধ্বস্তাধ্বস্তি’। এ সময় গ্’রামবাসীর গণপ্রহারে’ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তিন যুবকের। ওদের সাথে থাকা ‘বাকিরা ভোরের আলো ফোটার আগেই সীমান্ত টপকিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে য়েত সক্ষম হয়’ বলে এলাকাবসীর দাবী।
এদিকে ঘটনাস্থলে এসে তদন্তে নেমে মৃতব্যক্তিদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আদায় করতে না পারলেও ওদের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটের জুরি এলাকার বলে পুলিশ ধারণা করছে।
পুলিশ জানায়, পিটিয়ে মেরে ফেলা ওই তিন যুবকের কাছে ‘বাংলাদেশী ব্রান্ডের বিস্কুট, জামা কাপড়, তার কাটার হ্যাকস ও ব্যাগ’ পাওয়া গেছে। মৃত ওই যুবকদের বয়স ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশের মধ্যে হবে বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ জানায়, বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশের বিজিবি কমান্ডারকে জানানো হয়েছে।
মৃত দেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তর রিপোর্ট পাওয়ার পরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আনুমতি পেলে মৃত দেহগুলো বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে বলে সেখানকার পুলিশ জানায়।
এ ব্যাপারে আসামে নিয়ুক্ত গোহাটিস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার ড. শাহ মোহাম্নদ তানভির মনসুর-র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। তবে বৃহস্পতিবার এ ব্যাপরে খোঁজ-খবর নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।