তালেবানদের নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা গত বছর পাকিস্তানে ঘটা একটা আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ প্রতিষ্ঠান সিএনএন-নিউজ১৮-কে নিশ্চিত করেছেন প্রথম সারির তালেবান নেতা আমির আল মুমিনিন শেখ।
২০১৬ সাল থেকে তালেবানদের প্রধান নেতার পদে ছিলেন আখুন্দজাদা। গত কয়েক মাস ধরেই তার অনুপস্থিতি নিয়ে ছিল নানান জল্পনা। তার অবসান ঘটিয়ে গত শুক্রবার আমির আল মুমিনিন শেখ জানান হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা পাকিস্তানের একটি বাহিনীর দ্বারা সংগঠিত একটি হামলায় ‘শহীদ’ হয়েছেন। এর আগেই অবশ্য আখুন্দজাদার পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী থাকার অথবা মৃত্যুর সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল সিএনএন-নিউজ১৮।
তিনি সবসময় রহস্যময় জীভনযাপন করতেন। কখনো জনসমক্ষে আসতেন না। নিউইয়র্ক পোস্টের হোলি ম্যাককে বলেন, ‘আখুন্দজাদার যে ছবিগুলো ইন্টারনেটে পাওয়া যায়, সেগুলো বহু বছরের পুরোনো।’
তবে অনেকদিন থেকে কোনো হদিস না থাকায় বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি হতে থাকে। তিনি হয়তো বেঁচে নেই এমন ধারণা জোরালো হতে থাকে।
২০১২ সালের মে মাসে তালেবানদের তৎকালীন প্রধান নেতা আক্তার মনিসুর নিহত হওয়ার পর থেকে আখুন্দজাদা তাদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তখন থেকেই তালেবানদের সব ধরনের রাজনৈতিক, সামারিক ও ধর্মীয় বিষয়ে তার মতামতই ছিল শেষ কথা। তবে, এর আগে তিনি ছিলেন নিচের সারির নেতা। মানসুরের সহকারী থেকে যখন তিনি তালেবানদের শীর্ষনেতা হিসেবে আবির্ভুত হন, তখন সার্বিকভাবে তালেবানদের অবস্থাও বেশ বিপর্যস্ত ও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এর আগে তিনি একসময় শীর্ষ তালেবান নেতা মোল্লা ওমরেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেসময় যুদ্ধের পক্ষে ধর্মীয় যুক্তি দাঁড় করাতেন আখুন্দজাদা।
ওমরের মতোই তিনি ছিলেন কান্দাহহারের বাসিন্দা। ১৯৯৬ তেকে ২০০১ পর্যন্ত এই কান্দাহারই ছিল তালেবানদের প্রধান কেন্দ্র।
আফগানিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান রাহমাতুল্লাহ নাবিল বলেন, “তালেবানদের প্রধান বিচারক হিসেবে আখুন্দজাদা যেসব রায় দিতেন তা ছিল খুবই নিষ্ঠুর। বিশেষ করে নারীদের বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অত্যন্ত কট্টর।”
এসময় নাবিল তাকে অভিহিত করেন ছোট মনের, দুর্বল ব্যক্তিত্বের মানুষ হিসেবে। নাবিলে আরো বলেন, “অন্য কোনো দেশে না যাওয়ায় তার দৃষ্টিভঙ্গিও ছিল সংকীর্ণ।”
শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
তালেবানদের নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা গত বছর পাকিস্তানে ঘটা একটা আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছেন বলে সংবাদ প্রতিষ্ঠান সিএনএন-নিউজ১৮-কে নিশ্চিত করেছেন প্রথম সারির তালেবান নেতা আমির আল মুমিনিন শেখ।
২০১৬ সাল থেকে তালেবানদের প্রধান নেতার পদে ছিলেন আখুন্দজাদা। গত কয়েক মাস ধরেই তার অনুপস্থিতি নিয়ে ছিল নানান জল্পনা। তার অবসান ঘটিয়ে গত শুক্রবার আমির আল মুমিনিন শেখ জানান হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা পাকিস্তানের একটি বাহিনীর দ্বারা সংগঠিত একটি হামলায় ‘শহীদ’ হয়েছেন। এর আগেই অবশ্য আখুন্দজাদার পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর হাতে বন্দী থাকার অথবা মৃত্যুর সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদন করেছিল সিএনএন-নিউজ১৮।
তিনি সবসময় রহস্যময় জীভনযাপন করতেন। কখনো জনসমক্ষে আসতেন না। নিউইয়র্ক পোস্টের হোলি ম্যাককে বলেন, ‘আখুন্দজাদার যে ছবিগুলো ইন্টারনেটে পাওয়া যায়, সেগুলো বহু বছরের পুরোনো।’
তবে অনেকদিন থেকে কোনো হদিস না থাকায় বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি হতে থাকে। তিনি হয়তো বেঁচে নেই এমন ধারণা জোরালো হতে থাকে।
২০১২ সালের মে মাসে তালেবানদের তৎকালীন প্রধান নেতা আক্তার মনিসুর নিহত হওয়ার পর থেকে আখুন্দজাদা তাদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। তখন থেকেই তালেবানদের সব ধরনের রাজনৈতিক, সামারিক ও ধর্মীয় বিষয়ে তার মতামতই ছিল শেষ কথা। তবে, এর আগে তিনি ছিলেন নিচের সারির নেতা। মানসুরের সহকারী থেকে যখন তিনি তালেবানদের শীর্ষনেতা হিসেবে আবির্ভুত হন, তখন সার্বিকভাবে তালেবানদের অবস্থাও বেশ বিপর্যস্ত ও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এর আগে তিনি একসময় শীর্ষ তালেবান নেতা মোল্লা ওমরেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সেসময় যুদ্ধের পক্ষে ধর্মীয় যুক্তি দাঁড় করাতেন আখুন্দজাদা।
ওমরের মতোই তিনি ছিলেন কান্দাহহারের বাসিন্দা। ১৯৯৬ তেকে ২০০১ পর্যন্ত এই কান্দাহারই ছিল তালেবানদের প্রধান কেন্দ্র।
আফগানিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান রাহমাতুল্লাহ নাবিল বলেন, “তালেবানদের প্রধান বিচারক হিসেবে আখুন্দজাদা যেসব রায় দিতেন তা ছিল খুবই নিষ্ঠুর। বিশেষ করে নারীদের বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অত্যন্ত কট্টর।”
এসময় নাবিল তাকে অভিহিত করেন ছোট মনের, দুর্বল ব্যক্তিত্বের মানুষ হিসেবে। নাবিলে আরো বলেন, “অন্য কোনো দেশে না যাওয়ায় তার দৃষ্টিভঙ্গিও ছিল সংকীর্ণ।”