সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর বিদেশি দাতা সংস্থাগুলো দেশটি থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯ বিলিয়ন ডলার আটকে দেয়। রাতারাতি দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। ফলে দেশটির অধিকাংশ কর্মকর্তাদের বেতন দিতে সক্ষম হয়নি তালেবান সরকার।
আর এবার মাসের পর মাস ধরে কোনো বেতন না পেয়ে পদত্যাগ করেছেন চীনে নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত জাভিদ আহমাদ কায়েম। গত সোমবার (১০ জানুয়ারি) এক টুইট বার্তায় তিনি নিজেই তিনি নিজেই পদত্যাগের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।
তালেবানের ক্ষমতাগ্রহণের আগে থেকেই ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে চীনে দায়িত্বপালন করছিলেন তিনি।
পদত্যাগের ব্যাপারে আফগান রাষ্ট্রদূত জাভিদ আহমাদ কায়েম একটি টুইটে লিখেছেন, সম্মানজনক দায়িত্বের সমাপ্তি, রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব থেকে আমি পদত্যাগ করছি। আফগানিস্তানের পতাকা ও আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করাটা আমার জন্য খুবই সম্মানের ছিল। ছয় মাস ধরে কোনো বেতন পাননি দূতাবাসে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। এখন শুধুমাত্র ফোন রিসিভ করার জন্য মাত্র একজন স্টাফকে রেখে যাওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও তিনি লিখেছেন, গত আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর চীনে কর্মরত আফগান দূতাবাস কর্মীদের বেতন পরিশোধ করতে অনেক কষ্টে অর্থ সংগ্রহ করতে হয়েছে বলে জানান কায়েম। কষ্ট হলেও উত্তরসূরির জন্য কিছু অর্থ রেখে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নিজের চিঠিতে কায়েম জানিয়েছেন, দূতাবাসে নতুন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; তার নাম শুধু ‘মি. সাদাত’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
কায়েমের পদে কে আসছেন, সে বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের করা অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে দূতাবাসের চাকরি ছেড়ে দেয়ার পর পরবর্তী গন্তব্য কোথায় তা নিয়ে তিনি কিছু জানাননি জাভিদ আহমাদ কায়েম।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন মঙ্গলবার এক দৈনিক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, কায়েম চীন ছেড়ে চলে গেছেন; তবে কখন এবং কোথায় গিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি।
তবে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত ১ জানুয়ারি দেওয়া ওই পদত্যাগপত্রে কায়েম উল্লেখ করেন, ‘যেহেতু আমরা কাবুল থেকে গত ছয় মাস যাবৎ বেতন পাইনি, তাই আর্থিক বিষয়টির সমাধানের জন্য কূটনীতিকদের মধ্য থেকে আমরা একটি কমিটি নিযুক্ত করি।’ পত্রটির ছবিও সোমবার টুইটারে পোস্ট করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওই পত্রে জাভিদ কায়েম উল্লেখ করেন, ‘২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে এক লাখ মার্কিন ডলার অবশিষ্ট আছে।’
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন কায়েম। তার ওই পদত্যাগপত্রে আফগান দূতাবাসের চিত্র তুলে ধরেন তিনি। তিনি জানান, দূতাবাসের পাঁচটি গাড়ির চাবি তিনি তার অফিসে রেখে দিয়েছেন এবং অন্য সব কূটনীতিক চলে যাওয়ার পর কেবল ফোনকল রিসিভ করার জন্য স্থানীয়ভাবে একজন কর্মীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের সীমান্ত রয়েছে। তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীন দেশটিকে সহায়তা করে আসছে।
বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর বিদেশি দাতা সংস্থাগুলো দেশটি থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯ বিলিয়ন ডলার আটকে দেয়। রাতারাতি দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। ফলে দেশটির অধিকাংশ কর্মকর্তাদের বেতন দিতে সক্ষম হয়নি তালেবান সরকার।
আর এবার মাসের পর মাস ধরে কোনো বেতন না পেয়ে পদত্যাগ করেছেন চীনে নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত জাভিদ আহমাদ কায়েম। গত সোমবার (১০ জানুয়ারি) এক টুইট বার্তায় তিনি নিজেই তিনি নিজেই পদত্যাগের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।
তালেবানের ক্ষমতাগ্রহণের আগে থেকেই ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে চীনে দায়িত্বপালন করছিলেন তিনি।
পদত্যাগের ব্যাপারে আফগান রাষ্ট্রদূত জাভিদ আহমাদ কায়েম একটি টুইটে লিখেছেন, সম্মানজনক দায়িত্বের সমাপ্তি, রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব থেকে আমি পদত্যাগ করছি। আফগানিস্তানের পতাকা ও আফগানদের প্রতিনিধিত্ব করাটা আমার জন্য খুবই সম্মানের ছিল। ছয় মাস ধরে কোনো বেতন পাননি দূতাবাসে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। এখন শুধুমাত্র ফোন রিসিভ করার জন্য মাত্র একজন স্টাফকে রেখে যাওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও তিনি লিখেছেন, গত আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর চীনে কর্মরত আফগান দূতাবাস কর্মীদের বেতন পরিশোধ করতে অনেক কষ্টে অর্থ সংগ্রহ করতে হয়েছে বলে জানান কায়েম। কষ্ট হলেও উত্তরসূরির জন্য কিছু অর্থ রেখে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নিজের চিঠিতে কায়েম জানিয়েছেন, দূতাবাসে নতুন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; তার নাম শুধু ‘মি. সাদাত’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
কায়েমের পদে কে আসছেন, সে বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের করা অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে দূতাবাসের চাকরি ছেড়ে দেয়ার পর পরবর্তী গন্তব্য কোথায় তা নিয়ে তিনি কিছু জানাননি জাভিদ আহমাদ কায়েম।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন মঙ্গলবার এক দৈনিক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, কায়েম চীন ছেড়ে চলে গেছেন; তবে কখন এবং কোথায় গিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি।
তবে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত ১ জানুয়ারি দেওয়া ওই পদত্যাগপত্রে কায়েম উল্লেখ করেন, ‘যেহেতু আমরা কাবুল থেকে গত ছয় মাস যাবৎ বেতন পাইনি, তাই আর্থিক বিষয়টির সমাধানের জন্য কূটনীতিকদের মধ্য থেকে আমরা একটি কমিটি নিযুক্ত করি।’ পত্রটির ছবিও সোমবার টুইটারে পোস্ট করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওই পত্রে জাভিদ কায়েম উল্লেখ করেন, ‘২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে এক লাখ মার্কিন ডলার অবশিষ্ট আছে।’
জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন কায়েম। তার ওই পদত্যাগপত্রে আফগান দূতাবাসের চিত্র তুলে ধরেন তিনি। তিনি জানান, দূতাবাসের পাঁচটি গাড়ির চাবি তিনি তার অফিসে রেখে দিয়েছেন এবং অন্য সব কূটনীতিক চলে যাওয়ার পর কেবল ফোনকল রিসিভ করার জন্য স্থানীয়ভাবে একজন কর্মীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের সীমান্ত রয়েছে। তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীন দেশটিকে সহায়তা করে আসছে।