প্রশান্ত মহাসাগরে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট সুনামিতে ভেসে যাওয়া টোংগার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ এখন প্রায় বিচ্ছিন্ন; প্রবাসীরা তাদের প্রিয়জনদের খবরের জন্য অপেক্ষায় আছেন উদ্বেগ নিয়ে।
ওশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপ দেশটির রাজধানী নুকু’আলোফা থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে মহাসাগরের তলদেশে শনিবার অগ্ন্যুৎপাত এবং এর প্রভাবে সুনামি হয়। সুনামিতে এক মিটারের বেশি উঁচু জলোচ্ছাস সৃষ্টি হয় এবং টোংগায় আঘাত হানে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি, কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ফলে ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
একজন ব্রিটিশ নারীর ভাই বিবিসিকে বলেছেন, ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে তার বোন অ্যানজেলা গ্লোভারের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। তিনি নিজের কুকুরগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন, ঢেউ তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
সুনামি উৎপত্তিস্থল থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে পেরুর উপকূলেও সেদিন অস্বাভাবিক উঁচু ঢেউয়ের প্রভাব দেখা যায়। পেরুর উত্তরাঞ্চলের একটি সৈকতে ডুবে মারা যান দুইজন।
টোংগার ক্ষয়ক্ষতির একটি ধারণা পেতে নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সেখানে পর্যবেক্ষণ ফ্লাইট পাঠিয়েছে। নিউ জিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে ‘বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ’ হয়েছে। বিশেষ করে টোংগার মূল দ্বীপ টোংগাটাপুর পশ্চিম উপকূলে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
তবে রেড ক্রস আশার বাণী শুনিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যতোটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ক্ষয়ক্ষতির পরিধি তার চেয়ে কম।
ফিজি থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করা রেড ক্রসের সমন্বয়ক কেটি গ্রিনউড বলেন, “টোংগার মূল জনবহুল কেন্দ্রগুলো প্রাথমিকভাবে যতোটা বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল, হাতে পাওয়া তথ্যগুলো একত্রিত করলে ততোটা খারাপ পরিস্থিতির চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। সুতরাং, এটা ভালো খবর।”
বিবিসি জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশ দিয়ে যে কেবলের মাধ্যমে টোংগা বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দ্বীপ দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সেখানকার টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অন্তত দুই সপ্তাহ লাগতে পারে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, টোংগার দুটি ছোট দ্বীপ থেকে সহায়তা চেয়ে পাঠানো সংকেত শনাক্ত করতে পেরেছে তারা।
মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
প্রশান্ত মহাসাগরে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট সুনামিতে ভেসে যাওয়া টোংগার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ এখন প্রায় বিচ্ছিন্ন; প্রবাসীরা তাদের প্রিয়জনদের খবরের জন্য অপেক্ষায় আছেন উদ্বেগ নিয়ে।
ওশেনিয়া অঞ্চলের দ্বীপ দেশটির রাজধানী নুকু’আলোফা থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে মহাসাগরের তলদেশে শনিবার অগ্ন্যুৎপাত এবং এর প্রভাবে সুনামি হয়। সুনামিতে এক মিটারের বেশি উঁচু জলোচ্ছাস সৃষ্টি হয় এবং টোংগায় আঘাত হানে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি, কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ফলে ধ্বংসযজ্ঞের পুরো চিত্র পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
একজন ব্রিটিশ নারীর ভাই বিবিসিকে বলেছেন, ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে তার বোন অ্যানজেলা গ্লোভারের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। তিনি নিজের কুকুরগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন, ঢেউ তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
সুনামি উৎপত্তিস্থল থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার দূরে পেরুর উপকূলেও সেদিন অস্বাভাবিক উঁচু ঢেউয়ের প্রভাব দেখা যায়। পেরুর উত্তরাঞ্চলের একটি সৈকতে ডুবে মারা যান দুইজন।
টোংগার ক্ষয়ক্ষতির একটি ধারণা পেতে নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সেখানে পর্যবেক্ষণ ফ্লাইট পাঠিয়েছে। নিউ জিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে ‘বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ’ হয়েছে। বিশেষ করে টোংগার মূল দ্বীপ টোংগাটাপুর পশ্চিম উপকূলে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
তবে রেড ক্রস আশার বাণী শুনিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যতোটা আশঙ্কা করা হয়েছিল, ক্ষয়ক্ষতির পরিধি তার চেয়ে কম।
ফিজি থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করা রেড ক্রসের সমন্বয়ক কেটি গ্রিনউড বলেন, “টোংগার মূল জনবহুল কেন্দ্রগুলো প্রাথমিকভাবে যতোটা বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল, হাতে পাওয়া তথ্যগুলো একত্রিত করলে ততোটা খারাপ পরিস্থিতির চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। সুতরাং, এটা ভালো খবর।”
বিবিসি জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশ দিয়ে যে কেবলের মাধ্যমে টোংগা বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দ্বীপ দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সেখানকার টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে অন্তত দুই সপ্তাহ লাগতে পারে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, টোংগার দুটি ছোট দ্বীপ থেকে সহায়তা চেয়ে পাঠানো সংকেত শনাক্ত করতে পেরেছে তারা।